Published in The Daily Star on Wednesday, 17 December 2014.
Capital flight rising
Amount tripled in 2012 in one year, global survey says on Bangladesh
Rejaul Karim Byron and Md Fazlur Rahman
The amount of money flown out of Bangladesh through illicit means tripled in 2012 to stand at $1.78 billion, riding mainly on trade misinvoicing.
The figure was $593 million the year before.
On average, $1.31 billion funneled out of the country per year between 2003 and 2012, according to the latest study by the Global Financial Integrity (GFI), a Washington-based research organisation, released on Monday.
The study ranked Bangladesh 51st among 145 developing countries that lost most money to siphoning.
Local experts attribute the serious political instability ahead of the January 5 election for the rise in the illegal outflow of money from Bangladesh.
Among Bangladesh’s South Asian peers, India ranked 4th as $43.96 billion went out of the country every year over the last decade. Nepal was placed at 68th ($754m), Myanmar 72nd ($682m), Afghanistan 104th ($222m), Sri Lanka 105th ($221m), Pakistan 111th ($143m), the Maldives 123rd ($75m) and Bhutan 131st ($45m).
China, Russia and Mexico topped the list in the descending order.
The study — Illicit Financial Flows from Developing Countries: 2003-2012 — estimates nearly $1 trillion of unrecorded money shifted out of emerging markets and developing countries every year during the time. It shows illicit outflows are growing at an inflation-adjusted 9.4 percent a year — roughly double the global GDP growth over the same period.
The GFI uses data from the International Monetary Fund, the World Bank, the UN COMTRADE, the US Department of Commerce and the European Statistics.
The authors combed through discrepancies in balance of payments data and direction of trade statistics, as reported to the IMF, to detect flows of capital that are illegally earned, transferred, and/or utilised.
The authors said the estimates were extremely conservative as they did not include trade misinvoicing in services, same-invoice trade misinvoicing, hawala transactions and dealings conducted in bulk cash.
In a statement, GFI President Raymond Baker said as this report demonstrates illicit financial flows were the most damaging economic problem plaguing the world’s developing and emerging economies.
The fraudulent misinvoicing of trade transactions was revealed to be the largest component of illicit financial flows from developing countries, accounting for 77.8 percent of all the illegal flows. This highlights that any effort to significantly curtail illicit financial flows must address trade misinvoicing.
Joseph Spanjers, an economist of GFI, said emerging and developing countries hemorrhaged a trillion dollars from their economies in 2012 that could have been invested in local business, healthcare, education or infrastructure.
The report recommends that world leaders focus on curbing the opacity in the global financial system, which facilitates these outflows.
Financial regulators should require that all banks in their country know the true owner or owners of any account opened in their financial institution, said GFI.
Regulators and law enforcement authorities should ensure that all the existing anti-money laundering regulations are strongly enforced, it said.
Also, the UN should adopt a clear and concise Sustainable Development Goal to halve trade-related illicit financial flows by 2030.
“It is simply impossible to achieve sustainable global development unless world leaders agree to address this issue head-on. That’s why it is essential for the United Nations to include a specific target next year to halve all trade-related illicit flows by 2030 as part of post-2015 Sustainable Development Agenda,” said Baker, the GFI president.
AB Mirza Azizul Islam, former finance adviser to a caretaker government, Zahid Hussain, lead economist of World Bank, Bangladesh, and Mustafizur Rahman, executive director of Centre for Policy Dialogue, all attributed the rise to the pre-election political instability.
They pointed out that money earned through corruption, crimes and other illegal means are normally sent abroad.
“Ensuring overall political stability and dissipating political uncertainties can help address the problem of this illicit outflow,” Zahid said.
The economist added the amount of money laundered from Bangladesh is quite sizable although it is small in relation to the GDP when compared with developing countries in general and Asia in particular.
About 61 percent of illicit outflows from Bangladesh occur through trade misinvoicing.
The WB economist explained: “There is under-invoicing of both exports and imports. Export under-invoicing are intended to keep the foreign exchange abroad either to avoid foreign exchange surrender requirement or because there is concern about safety of money because of domestic instabilities. Import under-invoicing is intended to minimise payment of import duties.”
Data also suggest that unlawful outflows tend to increase when election approaches in Bangladesh. Outflows in 2006 were much higher than those in 2005 and outflows in 2012 were much higher than those in 2011.
Clearly, political instability induces illicit outflows, Zahid said.
He added import under-invoicing, which causes revenue losses for the government, could be prevented by rationalising the import tax regime. “Export under-invoicing can be prevented by reforming foreign exchange regulation, and the hot money outflows can be restrained through better implementation of anti-money laundering measures.”
Azizul said the increase in the illicit money outflow also became clear from the rise in capital machinery imports in the months ahead of the election in January, although investment did not pick up.
“The illicit outflow has deprived Bangladesh of potential revenue income. Had the money remained in the country, it would have increased the consumption and would have boosted the GDP growth ultimately,” he told The Daily Star yesterday by phone.
Mustafizur of CPD said the illegal money holders took advantage of imports of goods and products carrying zero duties to send their illegally earned money abroad.
“In order to discourage capital flight, the recently established Transfer Pricing Unit at the National Board of Revenue should be strengthened,” he said.
Baker of GFI argues that it would cost only $300m to equip every developing country with the data they need to curtail misinvoicing.
Published in Prothom Alo on Wednesday, 17 December 2014
বাংলাদেশ থেকে পাচার ১৪ হাজার কোটি টাকা
আসজাদুল কিবরিয়া
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার এক বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়ে গেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) নতুন হিসাব অনুসারে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ১৭৮ কোটি ডলার বা ১৩ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা অবৈধ পথে বিভিন্ন দেশে চলে গেছে। আর ২০১১ সালে পাচার হয়েছিল অন্তত ৬০ কোটি ডলার, যা টাকার অঙ্কে চার হাজার ৬৩০ কোটি।
যে পরিমাণ অর্থ ২০১২ সালে অবৈধ পথে বাইরে চলে গেছে, তা বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরের স্বাস্থ্য বাজেটের চেয়েও বেশি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে ১১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
জিএফআই ‘ইলিসিট ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লোজ ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিজ: ২০০৩-১২’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে গত এক দশকে কী পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে বাইরে চলে গেছে, তার প্রাক্কলন করা হয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, নির্বাচনের সময় যখন ঘনিয়ে আসে, তখন আসন্ন অনিশ্চয়তার কারণে অর্থ পাচার বেড়ে যায়। এ কারণেই ২০০৫ ও ২০০৬ সালে বেড়েছে, আবার ২০১২ সালে বেড়েছে। যাঁরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থসম্পদ গড়েন, তাঁরা টাকা পাচার করেন। এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বড় বড় শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নিজেদের পরিবার এবং সন্তানদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার জন্য বিভিন্নভাবে অর্থ বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা মনে করছেন, তাঁরা যেভাবে ব্যবসা, কারখানা ও সম্পদ এ দেশে গড়ে তুলেছেন, তাঁদের সন্তানেরা তা পারবে না।
আইএমএফের এই সাবেক কর্মকর্তা মনে করেন, আগামী দিনেও এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। কোনো আইন করে এটা ঠেকানো যাবে না। কেননা, টাকা পাচারের বিষয়টি অনেকাংশে সুশাসনের সঙ্গে জড়িত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জিএফআই উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে ২০০২-২০১১ সময়কালের টাকা পাচারের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। বর্তমান প্রতিবেদনটি সেটিরই সংশোধিত ও হালনাগাদকৃত রূপ। হিসাবে কিছুটা সংশোধন হওয়ায় গতবারের থেকে এবারের হিসাবে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের পরিমাণের ক্ষেত্রেও বেশ পরিবর্তন দেখা গেছে।
যেমন, গতবারের হিসাব অনুসারে ২০১১ সালে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ২৮০ কোটি ডলার পাচার হয়েছিল। হালনাগাদ হিসাবে এটি কমে হয়েছে মাত্র ৬০ কোটি ডলার। একইভাবে নতুন হিসাবে ২০১০ সালে পাচার হয়েছে ৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা গতবারের হিসাবে ছিল ২১৯ কোটি ডলার। আর ২০০৯ সালে পাচার হয়েছে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা আগের হিসাবে ছিল ১৪০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তবে ২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সময়কালে গতবারের প্রাক্কলনের সঙ্গে নতুন প্রাক্কলনে খুব বড় ব্যবধান নেই।
অবৈধভাবে অর্থ বাইরে চলে যাওয়ার প্রাক্কলনে এক বছরের ব্যবধানে কেন এত বড় পার্থক্য দেখা দিল? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল জিএফআইয়ের কাছে। ই-মেইল জবাবে জিএফআইয়ের যোগাযোগ পরিচালক ক্লার্ক গাসকোয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জিএফআই অর্থ পাচারের হিসাব নির্ণয় করে থাকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে। আইএমএফ নিয়মিতই এসব পরিসংখ্যান সংশোধন ও হালনাগাদ করে। ফলে জিএফআইকেও হালনাগাদ পরিসংখ্যান ধরে অর্থ পাচারের প্রাক্কলন করতে হয়। আর তাই এক বছরের ব্যবধানে সর্বশেষ চার বছরের পাচার হয়ে যাওয়া টাকার পরিমাণে অনেক পার্থক্য দেখা দিয়েছে। তবে পুরোটাই রক্ষণশীল হিসাব। পাচার করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ আরও বেশি হবে।’
জিএফআই ১৫১টি দেশের অর্থ পাচারের হিসাব প্রাক্কলন করেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশর অবস্থান ৫১তম। নতুন প্রাক্কলন অনুসারে এক দশকে (২০০৩-২০১২) বাংলাদেশ থেকে অন্তত এক হাজার ৩১৬ কোটি ডলার (এক লাখ কোটি টাকা) পাচার হয়েছে। তার মানে এই সময়কালে গড়ে প্রতিবছর পাচার হয়েছে ১৩১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
আলোচ্য ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে ২০০৬ সালে, যার পরিমাণ ২৬৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে ২০ হাজার ৫৭৬ কোটি। তারপর ২০০৭ সালে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ২৪৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার (১৮ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা)।
জিএফআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভ কার ও অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্পানজারস উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে টাকা পাচারের হিসাব নির্ণয় করেছেন। ডেভ কার এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্থনীতিবিদ ছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন দেশের লেনদেনের ভারসাম্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেছেন। এসব পরিসংখ্যান নেওয়া হয়েছে আইএমএফের কাছ থেকে।
জিএফআই বলছে, ট্রেড মিসইনভেয়সিং বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চালানের গরমিলের মাধ্যমেই বেশি পরিমাণ অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ পণ্য আমদানি-রপ্তানির চালানে প্রকৃত মূল্য আড়াল করে কমবেশি দেখিয়ে একদিকে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে মোটা অঙ্কের অর্থ দেশে না এনে বাইরেই রেখে দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও খাদ্যপণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই। কাজেই এসব পণ্য আমদানিতে বাড়তি মূল্য দেখিয়ে টাকা পাচার হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। আবার রপ্তানির অর্থ পুরোটা সঠিকভাবে দেশে না এনে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার সুযোগ আছে। এটাও টাকা পাচার। জিএফআই যে ট্রেড মিসইনভয়েসিংয়ের কথা বলেছে, তা যথেষ্ট যৌক্তিক।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি: জিএফআই বলছে, ২০০৩-১২ সময়কালে উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে অন্তত ছয় লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার অবৈধ পথে বেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে ২০১২ সালেই বেরিয়ে গেছে ৯৯ হাজার ১২০ কোটি ডলার, যা কিনা আগের বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি।
জিএফআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৩-২০১২ সময়কালে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে চীন থেকে, যার পরিমাণ এক লাখ ২৫ হাজার কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে আছে রাশিয়া, ৯৭ হাজার ৩৮৬ কোটি ডলার। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে নাম রয়েছে যথাক্রমে মেক্সিকো (৫১ হাজার ৫২৬ কোটি ডলার) ও ভারত (৪৩ হাজার ৯৪৯ কোটি ডলার)। পঞ্চম স্থানে আছে মালয়েশিয়া (৩৯ হাজার ৪৮৭ কোটি ডলার)। আর ভারত থেকে ২০১২ সালে নয় হাজার ৪৭৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার অবৈধ পথে বাইরে চলে গেছে।