Professor Mustafizur Rahman on industries’ infrastructure and safety

Published in The Daily Star on Tuesday, 3 March 2015.

Turning population into resource is the key

Leading academic urges govt to pay heed to technical skills development

Star Business Report

Bangladesh must equip its huge population with vocational skills to help industries, a leading academic said yesterday.

“If we can do that, we will become a labour supply nation. Then foreign countries would recruit our people paying all the expenses, visa fees and air fares,” said Syed Saad Andaleeb, vice-chancellor of Brac University.

“If we can’t develop their skills we will not be have the negotiation power,” he said at a workshop styled “Labour Markets and Growth” at Brac Centre Inn in the capital.

Brac Institute of Governance and Development of Brac University organised the programme in association with Rand Corporation of the US and the University of Sussex.

Andaleeb, a former professor of marketing at the Sam & Irene Black School of Business of Pennsylvania State University, said a part of the diaspora in the US is ready to contribute to the development of Bangladesh.

“They are ready to come back in full force and contribute — they just want a platform.”

For example, if the government can give them a number of technical schools the non-resident Bangladeshis will not only bring technology and knowledge but also money.

“These people want to impart skills training that would meet the needs of various industries, whose requirement for skilled people varies. With their help, we have tremendous room for transforming the nation.” Andaleeb also took a swipe at the local universities, including the private ones, which, he said, have turned into coaching centres. “Universities would have to work for knowledge dissemination, knowledge imagination, creation of knowledge, use of knowledge and knowledge extension. That is what western universities did. Universities also need to work with others through innovation that will have a positive social impact.”

Arastoo Khan, member of the Planning Commission, said education is the key to helping workers from the informal sectors move to formal jobs. Besides, skills development by the technical and vocational institutions is needed to make graduates market-ready.

“Bangladesh would have to tap its demographic dividend,” he said, adding that the country looks to benefit from the 80 million jobs that will leave China in the next one decade. Mosharraf Hossain Bhuiyan, industries secretary, said the government would attach importance to small and medium enterprises and attracting foreign investment in its next industrial policy.

The government also plans to allocate industrial plots to private sector and foreign investors to boost industrialisation in the country, he said.

Mustafizur Rahman, executive director of Centre Policy Dialogue, said there are structural difficulties that hold back informal industries from moving to the formal sector, adding that policy interventions is needed in this regard.

Labour activist Nazma Akter said compensation package is important for workers in both the formal and informal sectors.

For example, female workers in the garment sector cannot continue to work after they reach 40. They do not get anything from their employers, so they return home empty-handed and eventually end up as beggars, she said.

Nazneen Ahmed and Selim Raihan, professors of economics at Dhaka University, also spoke, while Sultan Hafeez Rahman, executive director of BIGD, moderated the workshop. Krishna Kumar and Shanthi Nataraj from Rand Corporation and Minhaj Mahmud from BIGD and Farzana Munshi from Brac University made a presentation on formal and informal labour nexus and growth.

Amalavoyal Chari of University of Sussex made a presentation on privatisation and productivity growth.


Published in Prothom Alo

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মশালা

উৎপাদন বাড়াতে চাই সরকারি খাতের উন্নয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে বেসরকারি খাতের ভূমিকাকেই প্রাধান্য দিতে হবে। বেসরকারি খাতের উন্নয়ন হলে শ্রমশক্তির আকার ও দক্ষতা বাড়বে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

শ্রমবাজার ও প্রবৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় গতকাল সোমবার বক্তারা এ কথা বলেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় দুটি অধিবেশন হয়। বিআইজিডি শ্রমবাজার নিয়ে একটি গবেষণা করার উদ্যোগ নিয়েছে। সে জন্য বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও মতামত নিতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি শিল্পসচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, মজুরি বেশি হওয়ায় মালয়েশিয়া, চীন, থাইল্যান্ডের শিল্পকারখানা অন্য দেশে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এসব বিনিয়োগ আনতে পারলে বাংলাদেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

সরকার আর কোনো রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেবে না বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৭৭টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এগুলোর বেশির ভাগই এখন উৎপাদনে নেই।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিব বলেন, জনগণকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মেধাবী প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে এনে শিল্পোন্নয়নে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিদেশের জাহাজনির্মাণ শিল্পে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি প্রকৌশলী রয়েছেন। তাঁদের দেশে এনে কাজে লাগানো যায়।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আরাস্তু খানের মতে, বাংলাদেশে এখন জনসংখ্যা বোনাসের যুগ চলছে। এর ফলে বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী শ্রমশক্তিতে যুক্ত হচ্ছেন। এ যুবশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি উদাহরণ দেন, চীন থেকে বিভিন্ন দেশে শিল্পকারখানা স্থানান্তরিত হচ্ছে। এতে আট কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। বাংলাদেশে সেই বিনিয়োগ আনতে পারলে কর্মসংস্থান আরও বাড়বে।

দ্বিতীয় কর্ম-অধিবেশনে সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আমলাভয়াল চারি বেসরকারীকরণ ও উৎপাদন প্রবৃদ্ধি শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের বেসরকারীকরণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তবে এ প্রবন্ধের উপস্থাপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম রায়হান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক নাজনীন আহমেদ। তাঁরা মনে করেন, অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়ে খুব বেশি লাভ হবে না।

সকালের অধিবেশনে শ্রমবাজার, কারখানার কর্মপরিবেশ, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান শিল্পকারখানায় কর্মপরিবেশ উন্নত করার ওপর জোর দেন। তাঁর সঙ্গে একমত প্রকাশ করে শ্রমিকনেত্রী নাজমা আক্তার বলেন, ‘নারীর নিরাপত্তা, সুবিধা, মজুরি—এসব বিষয়ে দর-কষাকষি কতটা করতে পারছি, আর কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে।’

এই অধিবেশনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম এ সাত্তার মণ্ডল, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমান, বিআইজিডির প্রধান গবেষক সিমিন মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। দুটি কর্ম-অধিবেশনেই সভাপতিত্ব করেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক সুলতান হাফিজ রহমান।