Professor Rehman Sobhan on sustainability and poverty eradication

while addressing, as the Guest of Honour, the conference “Towards Sustained Eradication of Extreme Poverty in Bangladesh,” organised by Bangladesh Bank and Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) at the Planning Commission during 8-9 April 2015.

Published in Dhaka Tribune on 10 April 2015.

Economists for poor’s access to productive assets, equal income opportunities

Tribune Report

The governments should ensure the access of poor people to productive assets and make equal opportunities for income to achieve 7% GDP growth, said an eminent economist.

“Governments should have target to bring qualitative changes in the life of lower segment of population by 2021 for a sustainable growth,” economist Rehman Sobhan, chairman of Centre for Policy Dialogue, told the closing session of a two-day conference titled “Towards Sustained Eradication of Extreme Poverty in Bangladesh” in Dhaka yesterday.

“The finance minister should be able to deconstruct the sources of growth, not just sectors as recognised by economists but specific categories of people and income levels that how are they contributing to the growth process.”

Sobhan said the government should not prioritise only the members of the Metropolitan Chamber of Commerce and Industry (MCCI) and the Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industry (FBCCI), but also recognise the small enterprises, farmers and microenterprises. “They all are actually contributing to growth.”

The conference was jointly organised by Bangladesh Bank and Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) at the NEC conference room of the Planning Commission.

Mashiur Rahman, Economic Affairs Adviser to the Prime Minister attended the conference as chief guest while Atiur Rahman, Bangladesh Bank governor, was special guest.

The economists proposed a strategy to achieve zero extreme poverty – the extreme poverty eradication should be prioritised in the next five-year plan of the government.

They also proposed greater budget allocation for poverty eradication using the national social security strategy and social protection programmes.

Bangladesh Bank forecasts that poverty rate will come down to single digit by 2028, said Atiur Rahman.

He emphasised on expansion of CSR (corporate social responsibility) activities to reduce the poverty gap.

 

Published in The Daily Star

Rooting out extreme poverty should top agenda: analysts

Star Business Report

The government’s next five-year development plan must prioritise rooting out extreme poverty by way of allocating more budgetary resources for the poorest of the poor, experts at a two-day conference said.

The two-day conference, Towards Sustained Eradication of Extreme Poverty in Bangladesh, also called for investing more in developing human capital and ensuring quality opportunity so the extreme poor become more resilient.

Policymakers, economists, researchers and development activists also said the country needs to strengthen the government’s institutional capacity to support and coordinate extreme poverty eradication initiatives carried out by the government and civil society organisations.

There could be a permanent secretariat within the planning commission to spearhead efforts to eradicate extreme poverty, according to one of the recommendations compiled by the organisers.

The General Economics Division of the planning commission organised the conference in collaboration with Bangladesh Bank and the Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) at the auditorium of the National Economic Council in Dhaka.

Riding on steady economic growth in the last one decade and strong investments in socio-economic development, the country has already seen exceptional progress in terms of reducing the number of its citizens living in poverty and extreme poverty.

However, despite decade-long public and private sector interventions supported by multilateral and bilateral donors, extreme poverty in Bangladesh remains high, afflicting 17.6 percent of the population, said Bangladesh Bank Governor Atiur Rahman.

“Amid our devoted movement towards uplifting the extreme poor from the destitute circle, it is also important to make sure that in the long-run they don’t get stuck just above the extreme poverty line due to lack of opportunities that impede progress towards better livelihoods.”

He said the sporadic off-and-on attention is never sufficient for quick headway against extreme poverty.

“Besides sustained GDP growth rate, respectable rates, continuous strong engagement and abiding commitment towards opening up meaningful opportunities for all to participate and benefit from inclusive growth will be needed in the diverse programmes tackling various dimensions of extreme poverty.”

The governor added the social safety net programmes need to be designed in a more efficient manner to avoid mis-targeting and to target more and more poor.

Rehman Sobhan, chairman of the Centre for Policy Dialogue, said poverty eradication has to be sustainable, and the economy’s expansion has to be all-participatory.

The government plans to bring down the country’s extreme poverty rate to 4.5 percent by 2021.

Mashiur Rahman, economic affairs adviser to the prime minister, and KAS Murshid, director general of BIDS, also spoke.

 

Published in Prothom Alo

‘টেকসই উপায়ে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণ’ শীর্ষক সম্মেলনে অধ্যাপক রেহমান সোবহান
অতিদরিদ্রদের উৎপাদনে সম্পৃক্ত করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দারিদ্র্য বিমোচনকে টেকসই করতে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রক্রিয়ায় সমাজের সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। বর্তমানে অতিদরিদ্ররা এই প্রক্রিয়ায় খুব বেশি সম্পৃক্ত নেই। তাই দরিদ্র ও অতিদরিদ্ররা যেন অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজন করতে পারে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) উন্নয়নে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া দরকার। এতে সমাজের নিচের দিকের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। বদৌলতে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।

‘টেকসই উপায়ে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান এসব কথা বলেন। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

রেহমান সোবহান বলেন, সম্পদের অভাবে তারা উৎপাদন-প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছে না। সে জন্য দরিদ্র মানুষ যাতে উৎপাদন করতে পারে, তাদের এমন সম্পদ দিতে হবে। ফলে সব মানুষের অংশগ্রহণেই জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে।

রেহমান সোবহানের মতে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে বলা হচ্ছে। এই ৭ শতাংশ একটি সংখ্যা মাত্র। কিন্তু প্রবৃদ্ধির সুফল কোন শ্রেণির মানুষ পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে, সেটাই দেখার বিষয়।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কীভাবে তৈরি হবে—এ বিষয়ে রেহমান সোবহান ভারতের দুগ্ধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘আমুল’-এর উদাহরণ দেন। তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি পল্লি এলাকার খামারিদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল দুধ সংগ্রহ করে। আমুলের পশ্চাৎসংযোগ শিল্প হিসেবে পল্লি এলাকায় বিপুলসংখ্যক দুগ্ধ খামারি বা উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।

রেহমান সোবহান মনে করেন, দরিদ্র মানুষের উৎপাদন করার মতো সম্পদ নেই। এটা শুধু দারিদ্র্যের কারণ নয়, এটা বৈষম্যও।

অতিদারিদ্র্য, অতিদারিদ্র্যের কাছাকাছি, দারিদ্র্য—এই তিন ধরনের মানুষের জন্য পৃথক ও বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দেন এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। তাঁর মতে, এসব মানুষের জন্য আলাদা কর্মসূচি নিলে পুনরায় তারা আর দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাবে না।

সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যাংক বিপুল অর্থ সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমে খরচ করে। এখন প্রশ্ন হলো, সিএসআর করে দরিদ্র মানুষের উপকার করব নাকি সুদের হার কমিয়ে অনেক বেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। যাতে বেশি লোকের কর্মসংস্থান হয়।’

মসিউর রহমান পরামর্শ দেন, গরিব মানুষের কল্যাণে যে অর্থ খরচ করা হয়, তা যেন বিনিয়োগের মনোভাব নিয়ে করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য অতিদরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে ওঠানো। কিন্তু এটা করতে গিয়ে খেয়াল রাখতে হবে, জীবনমান আরও উন্নত করার সুযোগের অভাবে তারা যেন অতি দারিদ্র্যসীমার কিছুটা ওপরে উঠে আটকে না থাকে। তাহলে তারা পুনরায় অতিদারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারে।’

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে যেসব সুপারিশ উঠে এসেছে, সেগুলো সমাপনী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন জিইডির সদস্য শামসুল আলম। সুপারিশসমূহ হলো: জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হতে হবে, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা-কৌশল ব্যবহার করে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণে বরাদ্দ বাড়ানো, সফল ও চিহ্নিত উপকারভোগীদের জীবিকা উন্নয়নের কর্মসূচিগুলোর আওতা বৃদ্ধি, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অতিদারিদ্র্য দূরীকরণের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার, মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং অতিদারিদ্র্যবিষয়ক সচিবালয় স্থাপন।

শামসুল আলম মনে করেন, জিডিপির ৩ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেই দেশের ১ কোটি ৭০ লাখ অতিদারিদ্র্য মানুষকে দুরবস্থা থেকে বের করে আনা সম্ভব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ। তাঁর মতে, বাজার হলো দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার। তাই দরিদ্র মানুষকে বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।

এই সম্মেলনের বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে দেশি-বিদেশি অর্থনীতিবিদ, গবেষক, বিশেষজ্ঞরা তাঁদের মতামত উপস্থাপন করেন। এই সম্মেলন আয়োজনে সহায়তা করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিআইডিএস।