Dr Rounaq Jahan on major barriers for democracy in Bangladesh

Published in The Daily Star and Prothom Alo on Sunday, 20 April 2014.

Flourishing of Democracy
Dynastic politics major barrier

Says Prof Rounaq Jahan

Staff Correspondent

Dynastic leadership and lack of democratic practices inside political parties are the major challenges for the advancement of democracy in Bangladesh, eminent political scientist Prof Rounaq Jahan said yesterday.

“Political parties are a major component of democracy. How democracy will flourish if democracy is absent inside the parties?” she said in her lecture, “Political Parties in Bangladesh: Challenges of Democratization”, at the capital’s Asiatic Society of Bangladesh.

Political parties do not regularly hold councils to choose new leadership and do not take opinions of grassroots leaders in nominating candidates in most cases, the former Dhaka University professor said. “Democratic practices are absent here.”

Prof Rounaq laid stress on a qualitative change in the country’s political culture. “People should continue their attempts to change the culture by being involved in politics. It’s not possible to change the political culture staying outside of politics,” she remarked.

The analyst identified intra-party violence as a dominant feature in recent times, mostly in the ruling party. This mainly occurs due to a lack of democratic practices inside the parties, she said.

Rounaq, also distinguished fellow of the civil society think tank, Centre for Policy Dialogue (CPD), shed light on businesspersons’ coming to politics and stressed that there should be a law restricting such people from using political clout to expand their businesses.

She observed that since the “democratic era” started in 1991 in the country, small political parties had been gradually marginalised, and they were joining alliances led by Awami League and BNP.

Although Jatiya Party is considered one of the largest parties, the recent upazila parishad election results suggest that the party is losing popularity and strength, she said.

Prof Rounaq also observed that there was a lack of transparency in collecting and spending funds of political parties.

Talking about students’ politics, she said absence of elections to the students unions at universities was the main reason holding back the emergence of talented student leaders.

Asiatic Society of Bangladesh President Prof Amirul Islam, General Secretary Prof Ahmed A Jamal, dozens of intellectuals, academics, and civil society members attended the event organised on the occasion of the institution’s 3rd monthly general meeting.


Published in Prothom Alo

গণতন্ত্রায়ণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে রওনক জাহান
দলগুলোতে পরিবারতন্ত্র ক্রমাগত সুদৃঢ় হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে পরিবারতন্ত্র ক্রমাগত সুদৃঢ় হচ্ছে। এতে দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক আচরণ কমে আসছে। যার প্রভাবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা মারাত্মক-ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তা ছাড়া, সরকারে থাকার সময় দল, সরকার ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য মোটেই শুভ নয়।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির মাসিক সাধারণ সভায় ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল: গণতন্ত্রায়ণের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বক্তব্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে সোসাইটির মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রওনক জাহান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘পারিবারিক উত্তরাধিকার’কে গুরুত্ব দেওয়াকে ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দলের প্রধানকে অবশ্যই দলীয় কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়া উচিত। তাহলে তাঁর পক্ষে দলের অভ্যন্তরে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কথা উল্লেখ করে বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, দলগুলো যেভাবে চলছে, তার পরিবর্তন হওয়া দরকার। যাঁরা এই পরিবর্তন চান, তঁ াদের রাজনীতিতে আসা উচিত। রাজনীতির মধ্যে থেকেই পরিবর্তনে তাঁদের ভূমিকা রাখতে হবে। নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি না হওয়ার জন্য রওনক জাহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াকে অনেকাংশে দায়ী করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন হলে কিছু নেতৃত্ব সৃষ্টি হতো। এখন অনেকেই কিছুদিন দলীয় কার্যালয়ে ঘোরাঘুরি করে নিজেদের নেতা দাবি করেন। তাঁরা কেন নেতা, কে তাঁদের নেতা বানিয়েছেন, তা বোঝা যায় না।

রওনক জাহান গণতন্ত্রায়ণের অন্য চ্যালেঞ্জগুলো তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের পর বিএনপি ও আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় এসেছে। দেখা গেছে, রাষ্ট্র পরিচালনার সময় দলীয় লোকদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে গিয়ে তারা পরিচালনা পদ্ধতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। দলকে সরকার ও উন্নয়নকাজ থেকে আলাদা করতে পারছে না। সহিংসতায় জড়াচ্ছে। এমনকি দলের তহবিলে কোনো ধরনের স্বচ্ছতা আনতে পারছে না।

রওনক জাহান বলেন, দলগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আদর্শিক অবস্থান থেকে সরে এসেছে। ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাবানদের হাতে রাজনীতি চলে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে নারী সাংসদদের অর্ধেকের বেশি বাবা বা স্বামীর উত্তরাধিকার সূত্রে নির্বাচিত হয়েছেন। দলগুলোর সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব কেউই নির্বাচিত হন না। তাঁরা উত্তরাধিকার সূত্রে হওয়া দলীয় প্রধানের পছন্দের লোক হিসেবে পদে যান।

মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় সোসাইটর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আহমেদ এ জামাল উপস্থিত ছিলেন।