Professor Rounaq Jahan on balance of power between the Prime Minister and the President, published in BBC Bangla on Sunday, 16 August 2015.
বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ১২৫তম পর্বে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. রওনক জাহান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
এ-পর্বে দর্শকদের যে প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা হযেছে –
১. সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে কমিশন গঠনের জন্য একটি নাগরিক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, অনেক দিন ধরে চলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে তা কি বিবেচনা করা উচিত?
২. ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা কি কেবলই একটি সামরিক অভ্যুত্থান ছিল, নাকি তাকে বাংলাদেশকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করার একটি চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে?
৩. ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে এখনও কেন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র পাহাড়ী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত হচ্ছে?
৪. শিক্ষা যদি মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি হয়, তাহলে শিক্ষার কোন স্তরে কর আরোপের কি যুক্তি থাকতে পারে?
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ালে সংকট বাড়বে- আইনমন্ত্রী
বিবিসি বাংলা
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন নাগরিক সমাজের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ালে রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হবে।
শনিবার ঢাকায় বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে তিনি বলেন সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রীর হাতেই ক্ষমতা থাকে। তিনি বলেন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এখন ক্ষমতার ভারসাম্য যথেষ্ট রয়েছে।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি নাগরিক সংগঠনের দিক থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে গণতন্ত্রের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখা দরকার।
সেই প্রেক্ষাপটে একজন দর্শক প্রশ্ন করেন সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে কমিশন গঠনের জন্য একটি নাগরিক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, অনেক দিন ধরে চলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে তা কি বিবেচনা করা উচিত?
অনুষ্ঠানের আরেকজন প্যানেলিস্ট যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান মনে করেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানো হলে দেশে দ্বৈতশাসনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি পাকিস্তানের উদাহরণ দেন।
তিনি বলেন , “ আমরা পাকিস্তানে দেখেছি, প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিতেন কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে ডিসমিস (বরখাস্ত) করতেন।”
তবে অন্যতম প্যানেলিস্ট বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। মি: নোমান বলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করেন, সে কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
মি: নোমান বলেন , “দেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতার প্রয়োগ প্রহনযোগ্য হচ্ছে না।” রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়লে দ্বৈতশাসনের আশংকা তিনি নাকচ দেন।
একজন দর্শক প্রশ্ন তোলেন “ক্ষমতার ভারসাম্য বা সুষ্ঠু নির্বাচনের পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করে একটি নির্বাচন কমিশনের উপর। আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশনের উপর আমরা কেন আস্থা রাখতে পারছি না?”
অপর একজন দর্শক বেনজির ভুট্টোর ‘ডটার অব দ্য ইস্ট’ বই পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন যে একজন প্রেসিডেন্টের হাতে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা চলে আসলে সেটা মাথার উপর সুতা দিয়ে তরবারি ঝোলার মত আতংক কাজ করে।
তিনি এ থেকে এটা মনে করেন “প্রেসিডেন্টের বেশি ক্ষমতা দেয়া হলে সামরিক বাহিনীর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ তৈরি হবে।”
অনুষ্ঠানের অপর প্যানেলিস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন ভারসাম্যের জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার কোন প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের সংবিধানে এটি উল্লেখ করা আছে।
অধ্যাপক ইসলাম বলেন রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে গণতন্ত্র না থাকলে শুধু সংবিধান সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমালে লাভ হবে না।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হাইকোর্টের ফর্মুলা
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন হতে পারে বলে সম্প্রতি হাইকোর্ট যে রূপরেখা দিয়েছে সেটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন,“সংবিধানে যা লেখা আছে, সেটা না বদলিয়ে কেউ যদি বলে এটার বিপরীত কিছু করতে হবে, সেটা গ্রহণযোগ্য যে নয় তা শুধু না, সেটা অসাংবিধানিক।”
বাংলাদেশে বিগত পাঁচই জানুয়ারি নির্বাচনে অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করা হয়েছিল।
গতবছর রিটগুলো আদালত খারিজ করে দিলেও সম্প্রতি তার পূর্ণাংগ রায় প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , আদালত তার রায়ে আগামী নির্বাচন নিয়ে একটি রূপকল্প বা ফর্মুলা দিয়েছে।
বিভিন্ন খবরের কাগজে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে দুটি ফর্মুলা দিয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী হাইকোর্ট প্রথম ফর্মুলায় বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলো থেকে ভোটের হারের অনুপাতে নতুন ৫০ জন মন্ত্রী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই সরকারের মন্ত্রীসভা গঠন করবেন। হাইকোর্টের দ্বিতীয় ফর্মুলায় বলা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল প্রথম চার বছর ক্ষমতায় থাকবে। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল সর্বশেষ এক বছর ক্ষমতায় থাকবে।
হাইকোর্ট যে রূপরেখা দিয়েছে সেটিকে সরকার বিবেচনা করতে পারে কিনা? এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “আমার মনে হয়না হাইকোর্ট এ ধরনের প্রস্তাব দিতে পারে।”
আইনমন্ত্রী বলেন হাইকোর্টের রায় যদি ডাইরেকটিভ (নির্দেশনামূলক) হয় তাহলে সেটি অসাংবিধানিক। যদি অবসারভেশান (পর্যবেক্ষণ)হয় তাহলে সেটা সেই আলোকেই দেখা হবে।
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রূপরেখাকে তেমন কোন গুরুত্ব দেননি। মি: নোমান মনে করেন রাজনৈতিক দলগুলোকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
মি: নোমান বলেন ,“এখানে কোর্ট অথবা পার্লামেন্টে ৫০ জনকে সিলেক্ট করে, তাদের মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করিনা।” তবে অনুষ্ঠানের আরেকজন প্যানেলিষ্ট অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে হাইকোর্ট যদি কোন প্রস্তাব করে তাহলে সেটিও আমলে নেয়া উচিত।
অধ্যাপক ইসলাম বলেন , “সবাই এখন চায় যে নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়। তবে সে সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারবো না। এটা নিতে হবে জনপ্রতিনিধিদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে।”
আরেক প্যানেলিস্ট ড: রওনক জাহান মনে করেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ালে দেশে ‘দ্বৈতশাসনের’ পথ তৈরি হতে পারে। অধ্যাপক জাহান এক্ষেত্রে পাকিস্তানের উদাহরণ তুলে ধরেন।
শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড
কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের চল্লিশ বছর পূর্ণ হয়েছে।
একজন দর্শক প্রশ্ন করেন “১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা কি কেবলই একটি সামরিক অভ্যুত্থান ছিল, নাকি তাকে বাংলাদেশকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করার একটি চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে।”
অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন শেখ মুজিব হত্যা শুধুই একটি সামরিক অভ্যুত্থান ছিল না। এর সাথে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরের শক্তিও জড়িত বলে তিনি মনে করেন।
অধ্যাপক ইসলাম বলেন “তখন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ ছিল। অন্যদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের আপত্তি ছিল।”
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আওয়ামী লীগের ভেতরেও কিছু ব্যক্তির সমর্থন ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন দর্শক মন্তব্য করেন “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা ছিল ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কাজ। আজকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশে যা কিছু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে সব এই জন্য হচ্ছে।”
শেখ মুজিবের আদর্শ নিয়ে আরও একজন দর্শক মন্তব্য করেন যে তরুণ প্রজন্ম হিসেবে তাঁরা শুধু কয়েকটা দিন, ‘দেশাত্মবোধক গান’, ‘৭ই মার্চের ভাষণ’ বা কয়েকটা ছবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। তিনি বলেন “বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শে এখনও আমরা প্রবেশ করতে পারিনি।”
তবে বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের একটি অংশের সাথে বিপথগামী কিছু সেনা অফিসার তাঁকে হত্যা করেছে।
মিঃ নোমান বলেন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের ভেতরেরই একটি অংশ শেখ মুজিবুরের নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল। এছাড়া তৎকালীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল।
মিঃ নোমান মনে করেন সে প্রেক্ষাপট না থাকলে ১৫ই আগস্টের ঘটনা নাও ঘটতে পারতো।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের পেছনে অবশ্যই রাজনীতি কাজ করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধীরা খন্দকার মোশতাকের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে কিছু বিপথগামীদের দিয়ে একাজ করিয়েছে।” তিনি দাবী করেন বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সুবিধাভোগীদের একজন।
তবে বিএনপি নেতা মিঃ নোমান বিষয়টিকে নাকচ করে দেন।
অধ্যাপক রওনক জাহান মনে করেন শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের পরে তৎকালীন বাংলাদেশের মূলনীতিতে আঘাত এসেছিল। বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সমাজকে ভিন্নপথে নিয়ে যাবার চেষ্টা হয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা
সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সম্প্রতি পাঁচজন সশস্ত্র পাহাড়ি নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ শতাধিক রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
সে প্রেক্ষাপটে মোঃ সাব্বির আহমেদ নামে একজন দর্শক প্রশ্ন করেন, “১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে এখনও কেন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র পাহাড়ি গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত চলছে?”
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতার পেছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে। তিনি বলেন “এখানে মিয়ানমারেরও ব্যাপার আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই এলাকায় শান্তি না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এইখানেও বাতাস দেয়ার চেষ্টা করে।”
বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান এ ব্যাপারে মনে করেন যখন চুক্তি করা হয়েছিল তখন পাহাড়িদের ভেতরের সংকট সরকার গভীরভাবে সরকার লক্ষ্য করেনি।
তিনি উল্লেখ করেন “আমরা বিভিন্ন দেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখি যে অস্ত্র যারা একবার হাতে নেয়, সে অস্ত্রকে নামিয়ে ফেলার প্রক্রিয়াটা দীর্ঘমেয়াদী হয়।”
তিনি মনে করেন খুব সহসা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরবে না।
রওনক জাহান মনে করেন চুক্তির বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেয়া হলে সময়ের সাথে সাথে সেটা ঠিক হবে না।
রওনক জাহানের সাথে একমত পোষণ করে অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন যে চুক্তি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি বলেই পাহাড়িরা হতাশ।
১৯৯৭ সালের চুক্তিটি বিএনপি সরকার আসার পর এটি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন আনিসুল হক । তবে সম্পূর্ণ না হলেও ১৯৯৭ চুক্তির আগে “পার্বত্য চট্টগ্রামের যে অবস্থা ছিল এখন তার অনেক উন্নতি হয়েছে” বলেও মনে করেন তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে একজন দর্শক বলেন পাহাড়ি অঞ্চল শান্ত থাকলে সেখান থেকে ভালো কিছু অর্জন সম্ভব এবং এজন্য সরকারের এই অশান্ত পরিবেশ ঠিক করার উদ্যোগ নেয়া উচিৎ।