Published in Prothom Alo on Friday, 16 January 2015
পাঁচ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশের পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি কয়েক গুণ বেশি হারে বাড়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বড় ধরনের ঘাটতি বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদকৃত লেনদেনের ভারসাম্য সারণি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, আলোচ্য সময়কালে পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৪৮ কোটি ১০ লাখ ডলার, যেখানে গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে এর পরিমাণ ছিল ২২৫ কোটি ডলার।
আলোচ্য সময়কালে এফওবিভিত্তিক রপ্তানি ও আমদানি বেড়েছে যথাক্রমে দশমিক ৯১ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। এফওবিভিত্তিক হিসাব মানে আমদানি-রপ্তানির জন্য জাহাজীকৃত পণ্যের প্রকৃত মূল্যভিত্তিক হিসাব। আর তাই রপ্তানির জন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান এবং আমদানির জন্য কাস্টমসের সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) মূল্যের সঙ্গে কিছুটা পার্থক্য দেখা যায়।
আমদানি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এর আগে অর্থনীতির প্রথম প্রান্তিক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) বলেছিল, ‘তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উৎসাহিত হয়ে ব্যবসায়ীরা মূলধনি যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানি শুরু করেছেন, যা সার্বিক আমদানিকে বাড়িয়েছে।’
তবে অনেকেই মনে করছেন, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি যতটা হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে, বাস্তবে হয়তো ততটা নয়। বরং ওভার ইনভেয়সিং করে বা অতি মূল্য দেখিয়ে দেশের বাইরে কিছু অর্থ পাচার হচ্ছে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ৩ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, বিনিয়োগ হয়নি, বরং বাইরে টাকা পাচার হয়েছে। সিপিডি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সময়কালের তথ্য তুলে ধরে বলেছে, এই সময়কালে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছে ৪৪ থেকে ৫৯৫ শতাংশ পর্যন্ত। আমদানি এত বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি সন্দেহজনক। আমদানি ব্যয়ের আড়ালে টাকা পাচার হতে পারে।
লেনদেনের ভারসাম্য সারণি থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ১৩১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে এটি ছিল ১১২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত। এমনকি চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেও প্রায় ৪৫ কোটি ডলারের ঘাটতি ছিল। চতুর্থ মাসে গিয়ে ঘাটতি অনেক বেড়ে গেছে, যা পঞ্চম মাসেও অব্যাহত আছে।
সাধারণভাবে চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝানো হয়। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। আর ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে ঋণ নিতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
আলোচ্য সময়কালে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বেশ বেড়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে যেখানে পোর্টফোলিও বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৫ কোটি ডলার, সেখানে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৩৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
সার্বিকভাবে অবশ্য লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। আলোচ্য সময়কালে লেনদেনের ভারসাম্যে ১১৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে, যেখানে ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে এটি ছিল ২০৪ কোটি ডলার।
Published in Bhorer Kagoj
বিপর্যয়ের মুখে অর্থনীতি
বিএনপি জোটের টানা অবরোধের ১১ দিনে ক্ষতি ১৬ হাজার কোটি টাকা
টুটুল রহমান : অবরোধের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীসহ দেশের সকল পেশার মানুষ। অবরোধের কারণে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প খাত, পরিবহন খাত, পর্যটন খাত, কৃষি, ব্যাংক ও বিমা খাত গভীর সংকটের মুখে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অবরোধের কারণে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে গত ১১ দিনে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, উৎপাদন ব্যবস্থা বন্ধ থাকার পরও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের খরচ রয়েছে, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে হচ্ছে। পরিশোধ করতে হবে সুদসহ ব্যাংকের ঋণ। এতে খরচ বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু আয় বন্ধ। এর ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ ঋণখেলাপি হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেক ব্যবসায়ী।
সময়মতো বিদেশি ক্রেতাদের পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্টরা। এ খাতে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা। বেশির ভাগ পরিবহন চলতে না পারার কারণে পরিবহন খাত প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পর্যটন খাতের মূল মৌসুমে আশঙ্কাজনকহারে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে দেশের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ২ শতাংশ অর্জিত হতে পারে।
শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শীতের সবজি বিক্রি করতে না পেরে লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষক। লাখ লাখ টাকার গাড়ি প্রতিদিন পুড়ছে রাস্তাঘাটে। প্রাণহানির ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে অনেক পরিবার অনিশ্চিত অন্ধকারে পতিত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বলেছে, একদিনের হরতাল বা অবরোধের কারণে দেশের প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। আর এই ক্ষতির বেশির ভাগ হয় ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, অবরোধের কারণে গার্মেন্টস খাত ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে। এখন বিদেশি ক্রেতাদের পোশাক ‘ক্রয় আদেশ’ দেয়ার উপযুক্ত সময়। চলমান অবস্থার কারণে তারা বাংলাদেশে আসছে না। তাদের প্রতিনিধিদেরও কোনো নির্দেশ দিচ্ছে না।
প্রতিদিনের ক্ষতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার অঙ্কে প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। এ হিসেবে একদিনের অবরোধে আমাদের ৬৯৫ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। আর প্রতিদিন এই শিল্পে প্রকৃত উৎপাদনের মূল্যমান হচ্ছে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা। যদি উৎপাদন হরতাল বা অবরোধের কারণে ৫০ শতাংশও বিঘ্নিত হয়, তাহলে প্রতিদিন উৎপাদন ব্যাহত হয় অন্তত ২১৫ কোটি টাকার। আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, রপ্তানির পণ্য বন্দরে পৌঁছাতে না পারলে পরবর্তীতে ওই পণ্য বিমানে পাঠাতে হবে। এতে গার্মেন্টস খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। এছাড়া বিদেশে ইমেজ সংকটেও পড়বে বাংলাদেশ।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, হরতার-অবরোধের কারণে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড
ভেঙে পড়ে। সব সময় আমরা এ ধরনের কর্মসূচির বিরোধী। বিশ্বব্যাপী মন্দার প্রভাব যখন কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি, তখন রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ইমেজ সংকট আরো বাড়বে। বিশেষ করে পোশাক রপ্তানিতে ‘লিড টাইম’ বেড়ে যাবে।
অবরোধের কারণে গভীর সংকটে দেশের পরিবহন খাত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের জিডিপির ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ অবদান রাখছে পরিবহন খাত। সার্বিকভাবে হরতাল-অবরোধে তাদের প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। পরিবহন মালিকরা জানান, ঢাকা থেকে সারা দেশে বাসে প্রতিদিন ২ লাখ যাত্রী চলাচল করে। অবরোধের কারণে ৭৬ হাজার বাস এবং পণ্য পরিবহনকারী যান চলাচল করতে পারছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, সারা দেশে বাস-ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান রয়েছে ৩ লাখ। এর মধ্যে প্রতিদিন আড়াই লাখ গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু হরতাল-অবরোধে তারা প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী বলেন, সারা দেশে তাদের ১ লাখ ২৭ হাজার পরিবহন রয়েছে। এর বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে।
অবরোধের কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ সময়ে কক্সবাজারে ১ লাখ পর্যটক থাকে। বর্তমানে তা ১ হাজারে নেমে এসেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার পর্যটকবাহী গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু বর্তমানে তা ১০০ থেকে ১৫০-এ নেমে এসেছে। বর্তমানে কক্সবাজারের হোটেলগুলোর ৯০ শতাংশ রুম খালি রয়েছে। অন্যদিকে, ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলগুলোর রুম বুকিং ৫০ শতাংশ কমে গেছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, একদিনের হরতালের কারণে ক্ষতির পরিমাণ ৮৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিবহন খাতে ক্ষতি ৩০৩ কোটি টাকা, কৃষি খাতে ২৮৮ কোটি টাকা, বস্ত্র ও গার্মেন্ট খাতে ২৫০ কোটি টাকা এবং পর্যটন খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা। গবেষণায় আরো বলা হয়, ২০১৩ সালের ৬ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতি হয়েছে ৪৯ হাজার কোটি টাকা।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আনিসুল হক ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের বলা না বলায় কিছু আসে যায় না। গণতন্ত্রের নামে সব জায়েজ। এমনকি জনগণকে খুন করাতেও কোনো সমস্যা নেই। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ক্ষ্যান্ত করা যাবে না। দেশের এই পরিস্থিতির কারণে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করার পাশাপাশি তিনি বিদেশি ক্রেতাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিদেশি ক্রেতারা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। তাদের এ দেশীয় প্রতিনিধিরা অপেক্ষায় আছেন ঊর্ধ্বতনদের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য। তারা হয়তো ব্যবসা এ দেশ থেকে নিয়ে যেতে পারেন। কারণ বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে তারা তাদের পণ্য সময়মতো দেশে নিতে পারবে কিনা সে বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা রপ্তানিমুখী শিল্পের জণ্য সুখকর নয়। আমরা অচিরেই একটি স্বস্তিমূলক পরিবেশ চাই। তা নাহলে অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা, দেশের ভাবমূর্তি এমনকি গণতন্ত্র দীর্ঘমেয়াদে সংকটে পড়বে।
এ পরিস্থিতে আলোচনার ভিত্তিতে দুপক্ষকে সমাধান খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন শীর্ষ এই ব্যবসায়ী। নাহলে দেশের অর্থনীতির যে অগ্রযাত্রা তা ব্যাহত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।