Published in মানব জমিন on Friday 12 June 2020
যে কোনো সাফল্যের জনকের সংখ্যা অনেক। তেমনি জনপ্রিয় কৌতূকপূর্ণ মন্তব্যগুলোর উৎস নিয়েও রয়েছে বিচিত্র সব কথোপকথন। উদাহরণস্বরূপ, ‘তিন ধরণের মিথ্যা কথা রয়েছে: মিথ্যা, নিন্দিত মিথ্যা, এবং পরিসংখ্যান’।
এই বাক্যটি কার, সেটা ভুলভাবে কেউ কখনও বলে থাকেন, এটা অসাধারণ লেখক মার্ক টোয়েনের। কেউ বলেন, এটা তো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিজরেইলি বলেছেন। তবে, এটি অত্যন্ত সম্ভব যে. এই শিক্ষামূলক মন্তব্যটি রেডিক্যাল ইংরেজ রাজনীতিবিদ স্যার চার্লস ডাইকের। তবে ওই বাক্যটি যেই প্রথম বলুন না কেন, যে বড় সত্যটি এখনও আড়ালে পড়ে আছে। সেটি হলো, মিথ্যা নিয়ে বলা ওই বাক্যের মধ্যে পরিসংখ্যান সংক্রান্ত ধারণাটিই সবথেকে বেশি অনাদরে পড়ে থাকে। অথচ প্রকৃত সত্য মূর্ত থাকে বলেই পরিসংখ্যানেরই বিরাট কর্তৃত্ব থাকার কথা।
যারা আমাদের মতো পরিসংখ্যান ব্যবহার করে জীবিকা নির্বাহ করেন, পরিসংখ্যান ব্যবহার সম্পর্কে তাদের দ্বিগুণ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
উল্লিখিত গৌরচন্দ্রিকার তাৎক্ষণিক প্রাসঙ্গিকতা হলো আসন্ন ( ১১ জুন সংসদে পেশ করা হয়েছে) ২১ তম জাতীয় বাজেট। যা কিনা একটি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আনুমানিক প্রবৃদ্ধি বিষয়ক প্রকাশনা। এটি কোনও গোপন বিষয় নয় যে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গল্পটি তার উন্নয়ন ভাষ্যের সঙ্গে প্রোথিত থাকে। এই গল্পের একটি অংশ হলো জিডিপির হার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের জিডিপির অনুমিত প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান এবং অর্থনীতি সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট পারফরম্যান্স সূচকগুলোর মধ্যে অসামঞ্জস্যতার গুরুতর ঘাটতি বিষয়ে স্বাধীন সূত্রগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রক্সি সূচকগুলোর মধ্যে রয়েছে বেসরকারী বিনিয়োগ, বেসরকারী খাতে ক্রেডিট প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব গ্রহণ, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি এবং জ্বালানি খরচ। গত বছর, আমি বলেছিলাম যে “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানটি এখন একটি উড়ন্ত ঘুড়ির মতো। যেটি সুতো এবং নাটাইয়ের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ছে। ‘ এর অর্থ হলো, সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে প্রদর্শিত উন্নয়ন আনুমানিক পরিসংখ্যানগুলোকে যথেষ্ট সমর্থন করে না।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানগুলো এবং সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর নিরীক্ষিত পরিবর্তনসমূহের মধ্যকার দৃশ্যমান অসঙ্গতিগুলো আমাদের সাম্প্রতিক উন্নয়ন–উপখ্যানেরই একটি ব্যাখ্যা নির্দেশ করে। সর্বাধিক প্রভাবশালী বর্ণনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ অর্থনীতি একটি অনন্য উৎপাদনশীলতার বিকাশ ঘটিয়েছে, এরকম তত্ত্বকেই সমর্থন করে। আর এই দৃশ্যকল্পটি হলো, কম মূলধন এবং ইনপুট দিয়ে অধিক উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। যদিও এই দাবীগুলো করার যে ভিত্তি, সেই প্রযুক্তিগত রুপান্তরকরণ যে বাস্তবে সত্যি ঘটেছে, সেটা দাবি করা চলে না। কারণ বিষয়টি এখনও প্রমাণের জন্য অপেক্ষমান।
সদ্য সমাপ্ত হতে চলা অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, ২০১৯–২০২০ এর জন্য প্রবৃদ্ধির যে হার অনুমান করা হয়েছিল, তার সত্যতা সম্পর্কে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। এ সংক্রান্ত তথ্য বিতর্কটি কোভিড -১৯ এর বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধার এবং প্রত্যাবর্তনমূলক হস্তক্ষেপের বিষয়ে সাক্ষ্য–প্রমাণ ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য নীতি আলোচনা থেকে আমাদের বিচ্যুত করতে পারে।
২০১৯-২০২০ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের বিষয়ে একটি সাধারণ ঐকমত্য আছে যে, এটি ৮ দশমিক ২ শতাংশের পরিকল্পিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম হবে। মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পরে আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) একইরকম ইঙ্গিত দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এই অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর আগে একই রকম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। সম্প্রতি, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) অনুমান করেছে যে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫ শতাংশ হতে পারে।
এই পটভূমিতে একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক পদাধিকারী উল্লেখ করেন যে, মহামারী-প্রভাবিত অর্থনৈতিক পতন সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি বিদায়ী অর্থবছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। প্রকৃতপক্ষে, এমন দাবিই হয়তো ব্লুমবার্গকে একটি নিবন্ধ প্রকাশের জন্য উৎসাহিত করেছিল। যাতে তারা উল্লেখ করে যে, এই গতি বলছে যে, ” বিশ্ব যখন একদিকে তখন বাংলাদেশ অন্যদিকে। সে নিজকে সবার থেকে একটা আলাদা অবস্থানে রেখেছে।‘ কেউ কেউ ভাবতে পারেন যে, সেই প্রতিবেদনে (বাংলাদেশের প্রতি) একটা সূক্ষ্ম বিদ্রুপের ইঙ্গিত ছিল কিনা।
অনেক দেশ ত্রৈমাসিক জিডিপি হার প্রকাশের অনুশীলন চালু করেছে। কারণ তারা জানে জিডিপি কতটা বাড়বে, সেটা সঠিকভাবে অনুমান করতে পারাটা একটা শক্ত চ্যালেঞ্জপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশেও এরকমটা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা বারংবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও, এই ভাল অনুশীলনটি বাংলাদেশে এখনও চালু করা হয়নি। বরং শ্রমবাজার জরিপের ত্রৈমাসিক মূল্যায়ন, যা একবার শ্রমশক্তি জরিপের অধীনে চালু করা হয়েছিল, সেটি দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, আমাদের একটি প্রতিবেশী দেশেই, জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানকে স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সামাল দেয়ার একটি সাম্প্রতিক প্রয়াসের ঘটনা ঘটে। আর তাতে এটাই ধরে পড়ে যে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, যা অনুমান করা সমিচীন ছিল, তার থেকে ঢের বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি সেখানে একটি বড় ধরণের রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করে।
পরিসংখ্যানের পর্যাপ্ততা এই সময়ে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগের দীর্ঘায়িত ‘সাধারণ ছুটি’ চলাকালীন ডেটা সংগ্রহ এবং তার যাচাইকরণকে একটি ‘প্রয়োজনীয় পরিষেবা’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি। চলমান বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট গোষ্ঠী, তাদের কার্যক্রম এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তার কি প্রভাব পড়েছে, তার কোনো একটা মূল্যায়ন জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্বশীল করে প্রস্তুত করতে পারিনি। তাই উল্লিখিত ধরণের অনিশ্চিত বেজলাইন ডেটার কারণে মধ্য মেয়াদে (৩ থেকে ৫ বছর) কোনো প্রদর্শন, যা সাধারণত বাজেটের সাথে উপস্থাপন করা হয়, সেটা করার ভিত্তি হবে নড়বড়ে। ঐতিহ্যগতভাবে অনগ্রসর গোষ্ঠীগুলোর (সদ্য দরিদ্র হওয়া ব্যক্তিদেরসহ) জন্য আমাদের অর্থনীতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু উল্লিখিত অবস্থাটি এবারে একটি ‘প্রতিকূল বাছাই’ এবং ‘নৈতিক বিপত্তি’র মধ্যে একটি আন্তসম্পর্ক সৃষ্টি করেছে।
আমাদের সাধারণ ভাষা বা জাতীয় নিরাপত্তার মতোই সরকারী পরিসংখ্যানসমূহ ‘জনসাধারণের মঙ্গল’ হিসেবেই চিত্রিত হয়। অথচ পরিসংখ্যানের গুণগতমানের প্রতি জনগণের আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ। এটা কেবলমাত্র সরকারের নীতিমালা এবং ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার জন্যই নয়, বাজার সুষ্ঠুভাবে পরিচালন এবং ভোক্তাদের যৌক্তিক আচরণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আফসোসের বিষয়, সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারী খাতের পেশাদাররা, সরকারি তথ্য সংগ্রহ, তার প্রতি নির্ভরশীল থাকা এবং সর্বোপরি ডেটার ব্যবহারযোগ্যতা সম্পর্কে ক্রমাগতভাবে অস্বস্তি প্রকাশ করছেন।
নিষ্প্রাণ বিস্তারিত বিবরণে না গিয়ে আমি বরং এটুকুই উল্লেখ করতে পারি যে, বাংলাদেশের অনেকগুলো প্রাথমিক সূচক সম্পর্কিত তথ্য প্রায়শই একটি সরকারি উৎস থেকে অপর কোনো সরকারি উৎসে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে থাকে। একটির সঙ্গে অন্যটির মিল থাকে না। অনেক বিভাগীয় খাতভিত্তিক পরিসংখ্যানগুলো সেকেলে, বেইজলাইন নির্ভর। অথবা পুরানো প্রযুক্তিগত সহগগুলোর ভিত্তিতে করা হয়। অনেক উদীয়মান কার্যকলাপ অনুমানের আওতার বাইরে থাকে। পরিসংখ্যানগুলোর বিলম্বিত প্রকাশ তাদের কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ করে। অনেক ক্ষেত্রে, ধারণাসমূহ এবং সংজ্ঞায় সংশ্লেষ আনার অভাব ঘটে। এর পাশাপাশি মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং অ্যাকাউন্টিং অনুশীলনের পার্থক্যের কারণে ডেটা বৈষম্য দেখা দেয়।
বিভ্রান্তিকর ডেটা ব্যবহারের বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে, যদি আমরা ফিসক্যাল ফ্রেমওয়ার্কের (আর্থিক রুপরেখা) জন্য তথ্য কি উপায়ে সংগ্রহ করা হয়, সেদিকে নজর দেই। সরকারের আয়–ব্যয়ের ভারসাম্য রীতিগতভাবে সংশোধিত বাজেট থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়। এক্ষেত্রে সাধারণত মার্চ পর্যন্ত তথ্য দেখানো হয়, এটা কখনও জুনের শেষ পর্যন্ত ‘প্রকৃত প্রদর্শিত’ ডেটা হিসেবে দেখানো হয় না। এই অনুশীলনের কারণে, উদাহরণস্বরুপ, রাজস্ব সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত টার্গেট আপাতদৃষ্টিতে পরিমিত বলে মনে হয়। তবে বাস্তবে স্ফীত (ইনফ্লেটেড) বেইজ অঙ্কের কারণে এটি হয় অত্যন্ত বেশি। এর ফলস্বরূপ, ২০১৯–২০২০ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা থেকে রাজস্ব আয়ের ঘাটতি হতে পারে সোয়া লাখ কোটি টাকা — অর্থাৎ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার এক-তৃতীয়াংশ।
বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং ভোক্তা চাহিদার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভেরিয়েবলস বা চলকের বিষয়ে প্রকৃত তথ্য না থাকায় বাংলাদেশে নীতি নির্ধারকরা (এবং বিশ্লেষক) ব্যাপকভাবে ডেটা ঘাটতির মুখোমুখি হন। অন্যদিকে, ডেটা এবং তথ্য সম্পর্কিত চাহিদা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বয়ে আনছে এক অপ্রতিরোধ্য ‘ডেটা বিপ্লব’। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যর (এসডিজি) যুগে নাগরিকরা আর গড়পড়তা কিছু পেয়ে সন্তুষ্ট থাকেন না। ‘কাকে পিছনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে’, তা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের সামনে দরকার একটি সম্পূর্ণ পৃথক চিত্র। প্রশাসনিক ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, রিমোট সেন্সিং ডেটা, বেসরকারী সংস্থাগুলির ‘বিগ ডেটা’, বেসরকারী উৎস থেকে পাওয়া শক্তিশালী ডেটা ইত্যাদি আমাদের জাতীয় তথ্য চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য সমাধানের একটি নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করছে।
পরিসংখ্যান আইন (২০১৩) এর আওতায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) হল সরকারী তথ্যের অতন্দ্রপ্রহরী। পরিসংখ্যান উন্নয়নের জন্য তার রয়েছে একটি চিত্তাকর্ষক জাতীয় কৌশল (এনএসডিএস)। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারগণ বিশেষত কোর পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে ওই সংস্থাটির সক্ষমতা তৈরিতে নিযুক্ত রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের বর্ধিত পেশাদারিত্বের জোর এতটা প্রবল হতে পারে না , যা কিনা রাজনৈতিকভাবে অনুমোদিত আরো বেশি সংখ্যার (ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে বড় করে দেখানো) ঐতিহ্যকে মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট বলে গণ্য হবে।
বিচারবিভাগীয় তত্ত্ব অনুযায়ী, মাঝে মধ্যে এমনটা উল্লেখিত হয় যে, তিন ধরণের মিথ্যাবাদী রয়েছে: সাধারণ মিথ্যাবাদী, নিন্দিত মিথ্যাবাদী এবং বিশেষজ্ঞ সাক্ষী। আমাদের মধ্যে যাদেরকে সন্দেহজনক মানের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করতে হবে, তাদেরকে বিশেষ করে বাজেট মওসুমে মনোযোগী হওয়ার দরকার আছে । আমরা যেন আমাদেরকে ওই তৃতীয় শ্রেণির (মানে বিশেষজ্ঞ সাক্ষী) মিথ্যাবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করি।