Published in প্রথম আলো on Sunday, 17 January 2016
শেষ হলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পুরস্কার বিতরণ
শরীরের জন্য খেলা, মনের জন্য বই
‘শরীরের জন্য যেমন খেলাধুলা, তেমনি মনের জন্য প্রয়োজন বইপড়া’—বই নিয়ে এমন মত প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘প্রযুক্তি যতই এগিয়ে যাক না কেন, ছাপা অক্ষরে বই পড়ার মজা সবচেয়ে বেশি। তাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ভবিষ্যতে এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে এবং বাংলাদেশ আরও পরিশীলিত হবে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর রমনার বটমূলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত দুই দিনব্যাপী পুরস্কার বিতরণ উৎসবের শেষ দিনে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। শেষ দিনে অতিথিদের কাছ থেকে ঢাকা মহানগরের ৩১টি স্কুলের ২ হাজার ১২১ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ৩৭ বছর আগে মাত্র ১৫ জন পাঠক নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পথচলা শুরু হলেও বর্তমানে পাঠকসংখ্যা কয়েক লাখ গুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে বই পড়া লোকের সংখ্যা কমে গেলেও আমাদের দেশে এ সংখ্যা অনেক বেড়েছে, তা কেন্দ্রের পাঠকসংখ্যা বৃদ্ধির পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়। সুতরাং এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, আগামীর পৃথিবী হবে আমাদের, বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ।’
শিশু সাহিত্যিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আরও সুন্দর বাংলাদেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মতো বই পড়ানো ও পুরস্কার বিতরণের এত বড় কাজ পৃথিবীতে আর কেউ পরিচালনা করছে কি না, তা জানা নেই। তাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ, রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি খন্দকার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
পরে সন্ধ্যায় কয়েক হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে…’ গানটি গেয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। দুই দিনের উৎসবের তিনটি পর্বে ঢাকা মহানগরের ১১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারের বইসহ উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে গ্রামীণফোন।