Published in The Daily Star on Thursday, 18 August 2016
Bangladesh to lead charge towards SDGs
UN official says
Star Business Report
The United Nations hopes Bangladesh would emerge as a leader in the sustainable development goals, repeating its success in pulling off the millennium development goals.
Bangladesh has become a role model in South Asia and in the world in achieving the MDGs, the predecessor of SDGs, said Nagesh Kumar, head of UN-ESCAP South and South-West Asia Office.
“We believe Bangladesh would again lead the way in achieving the SDGs,” he told a seminar at the Prime Minister’s Office in Dhaka yesterday. He also praised the country’s leadership and commitment towards SDGs.
The Governance Innovation Unit (GIU) of the PMO organised the discussion styled “Achieving sustainable development goals: key policy priorities and implementation challenges for South Asia and Bangladesh”.
Despite their economic dynamism and remarkable MDG achievements, South Asian countries account for 37 percent of the world’s poor, and nearly half the world’s malnourished children.
The countries also suffer from a number of development and infrastructure deficits, Kumar said in a presentation.
With nearly one-fourth of the world’s population, South Asia has a critical role in the global achievement of SDGs.
“If South Asia does not achieve the SDGs, the world will not achieve it. The onus is on us to deliver,” Kumar said.
Among some policy recommendations, the UN official said rapid economic growth is necessary through sustainable industrialisation.
“We have seen growth in the region for a while but this growth is not creating enough jobs. This is not a healthy situation. Bangladesh also has to create jobs.”
Although each country will have to tap the potential for generating more resources from domestic sources, the role of official development assistance for the least-developed countries remains critical.
“Bangladesh should receive twice the aid it receives now,” he said.
The government has put in place resources such as money, people and intellect to achieve the SDGs, said Abul Kalam Azad, principal secretary of the PMO.
SDGs are important for those who live in Bangladesh and those who are yet to be born in the country, said Gowher Rizvi, international affairs adviser to the prime minister.
The government has adopted many of the SDGs in its Seventh Five-Year Plan before the UN adopted the 2030 agenda. “So, we are ahead of the curve.”
The adviser, however, said achieving SDGs would be a difficult task as the goals are enormous. “And the government alone can’t do it. There should be joint efforts.”
He urged ministries to go beyond their set tasks and cooperate with each other to speed up implementation.
Qazi Kholiquzzaman Ahmad, chairman of Palli Karma-Sahayak Foundation, called for policy and institutional cohesion. “We need reorientation of the development administration and the approach has to be people-centric,” he added.
Debapriya Bhattacharya, distinguished fellow of the Centre for Policy Dialogue, raised the question whether regional cooperation could play any role in achieving the SDGs, as there was no regional approach in the MDGs. He, however, said the region could develop infrastructure using money, time and intellect.
He also stressed good governance, law and order, human rights and equity and justice in accomplishing the SDGs.
The rise of militancy and terrorism is a threat to achieving some of the SDGs, said Md Shahidul Haque, foreign affairs secretary.
He also stressed the need for new financing for achieving the goals.
Resources are available but it has to be looked into whether the countries are able to maximise whatever foreign assistance is being received, said Ainun Nishat, professor emeritus of Brac University.
In Bangladesh, there is institutional framework in place that can take the job creation agenda forward, said Asif Ibrahim, a business leader.
“We want to work with the government on the 2030 agenda,” said Ibrahim, a former president of Dhaka Chamber of Commerce and Industry.
Skilled population is the key to achieving SDGs, said Namita Halder, private secretary of the prime minister.
The government has taken the SDGs seriously and aligned the Seventh Five-Year Plan and the Perspective Plan of 2040 in line with the 2030 agenda, said Abdul Halim, director general of the GIU.
Iftekharuzzaman, executive director of Transparency International Bangladesh, and Devabrata Chakraborty, director of the GIU, also spoke.
Published in প্রথম আলো on Thursday, 18 August 2016
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সেমিনার
এসডিজি বাস্তবায়নে দরকার সব পক্ষের সমন্বিত অংশগ্রহণ
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাতসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বিত অংশগ্রহণ জরুরি। আর দক্ষিণ এশিয়ায় এই লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় অগ্রাধিকারের পরিবর্তে আঞ্চলিক পন্থায় গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা এই অভিমত দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট ‘এচিভিং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজিস): কি পলিসি প্রায়োরিটিজ অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন চ্যালেঞ্জেস ফর সাউথ এশিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএন-এসকাপ) দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া দপ্তরের প্রধান নাগেশ কুমার। স্বাগত বক্তব্য দেন জিআইইউর মহাপরিচালক আবদুল হালিম।
নাগেশ কুমার তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। এসডিজি পূরণের পথে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ। এমডিজি অর্জনে সাফল্য ও অর্থনীতিতে বহুমাত্রিকতা থাকার পরও বিশ্বের প্রায় ৩৭ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী, প্রায় অর্ধেকের মতো অপুষ্টির শিকার হওয়া শিশুর বাস দক্ষিণ এশিয়ায়। দক্ষিণ এশিয়ায় এসডিজি পূরণ না হলে সারা বিশ্ব তা পূরণ করতে পারবে না। এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দৃশ্যমান হলেও তা যথেষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে না। এই পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য সহায়ক নয়।
সেমিনারের সূচনা বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, ‘এমডিজির অভিজ্ঞতায় আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এসডিজি অর্জন দুরূহ। কারণ, এবার অনেকগুলো লক্ষ্য পূরণ করার আছে। সরকার একা এবং সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, সংস্থা এককভাবে তা পূরণ করতে পারবে না। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার ও নাগরিক সমাজকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ সেমিনারের নির্ধারিত আলোচক পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, এসডিজিতে বাংলাদেশের জোরালো রাজনৈতিক অঙ্গীকার আছে। এই লক্ষ্য অর্জনে সব পক্ষের সমন্বিত অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
মুক্ত আলোচনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, উন্নয়নের জন্য যে সম্পদের প্রয়োজন, তা দেশগুলোর আছে। তবে বিদেশি যে সহায়তা পাওয়া যায়, তার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিয়ে ভাবতে হবে। টেকসই পরিবেশের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিতে হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসডিজি অর্জনে সুশাসন, আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার, সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দেন। তাঁর মতে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক জোরদার করা, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তসীমান্ত অপরাধসহ শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। অতীতে যেভাবে বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ফোরাম হয়েছিল, তেমনি এসডিজিতে দক্ষিণ এশিয়ার পরবর্তী ১৫ বছরের প্রতিফলন ঘটাতে ওই নাগরিক ফোরাম গঠনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি নাগরিক সমাজসহ সব পক্ষকে এসডিজি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করাটাও জরুরি।
পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বলেন, এমডিজির সঙ্গে এসডিজির বড় পার্থক্যটা হচ্ছে, এটি একটি রাজনৈতিক ঘোষণা, কোনো কারিগরি বিষয় নয়। এসডিজিতে শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়টি এসেছে, যদিও উন্নত বিশ্ব এটিকে লক্ষ্য হিসেবে রাখতে অনীহা প্রকাশ করেছিল। এসডিজি বাস্তবায়নে অংশীদারত্ব ও অর্থায়নের বিষয়টি জরুরি। নতুন বিনিয়োগ ও অর্থায়ন ছাড়া ২০৩০ সালের অ্যাজেন্ডা সৃজনশীল উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যাবে না। লক্ষ্য অর্জনের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন পক্ষের, বিশেষ করে ব্যবসায়ী খাতের অংশগ্রহণকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এসডিজি অর্জনে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন।