Published in The Daily Star on Sunday, 18 September 2016
India, Bangladesh must create value chains to boost trade
Economist Rehman Sobhan says at a dialogue organised by The Daily Star and IPAG
Star Business Report
India and Bangladesh have failed to create value chains in the manner that China has done with its neighbours to spur regional economic development, eminent economist Rehman Sobhan said yesterday.
This has become one of the major constraints to stimulating exports from Bangladesh to India, which is the third largest economy in the world by purchasing power parity, according to Sobhan.
Prof Sobhan made the comments at a dialogue on Bangladesh-India relations, jointly organised by The Daily Star and the Institute for Policy, Advocacy, and Governance or IPAG at the newspaper’s office in Dhaka.
International production and trade are increasingly organised within global value chains where different stages of production are located across different countries. Globalisation motivates firms to restructure their operations internationally through outsourcing and offshoring of activities.
Firms try to optimise their production by locating different activities across different sites.
The past decades have witnessed a strong trend towards the dispersion of value chain activities such as design, production, marketing and distribution.
Bangladesh accounted for only $650 million or 0.2 percent of India’s total imports worth $390 billion last year though the country enjoys duty-free access to the India market, Sobhan said.
Even without any free trade agreement, countries such as Indonesia, Malaysia, Thailand and even Myanmar and Sri Lanka have higher exports to India than Bangladesh, he said.
Besides the limitations in entrepreneurship and export diversification, the economist said, Bangladesh has some structural constraints, such as the failure to create value chains that hurt the promotion of trade between the two countries.
On the contrary, China’s trade with its neighbours is booming.
“In fact, China has become their (neighbours’) biggest export market because of the value chains that have been created in the trade between China and its neighbours,” Sobhan said.
For example, he said, parts and accessories of electronic devices are manufactured in different countries and those are shipped to China for assembly. The products carry the ‘made in China’ label when they are sold across the world.
Bangladesh imported goods worth $13.6 billion from China in 2015 and the trade gap stood at nearly $13 billion, but nobody takes it into cognizance and nobody gets agitated like they do seeing $5 billion trade gap with India, he said.
According to the World Trade Organisation, global value chains are able to benefit from the respective comparative advantages of various countries. Firms slice their demand and supply chains into parts, varying the final products and their price according to consumers’ tastes and socio-economic characteristics.
The electronics industry, one of the world’s most important goods-producing sectors, is a very representative example of the importance of value chains. For example, different parts of a personal computer or a camera will be made in different countries before assembling the final product.
Published in দৈনিক ইনকিলাব on Sunday, 18 September 2016
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ৪৪ বছরেও কাঙ্খিত রূপ পায়নি : রেহমান সোবহান
কূটনৈতিক সংবাদদাতা
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুুল মুহিত বলেছেন, পটুয়াখালীর পায়রা বাংলাদেশের অনেক ভালো একটি সমুদ্রবন্দর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর আমার ধারণা, চীন ও ভারত এই প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ-ভারত সর্ম্পক : উন্নয়ন ও আগামীর চ্যালেঞ্জ শীর্ষক দিনব্যাপী আলোচনার সমাপনী অধিবেশনের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। রাজধানীর ডেইলী স্টার সেন্টারে একদিনের এই সংলাপটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ও বেসরকারি সংস্থা আইপিএজি।
বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন বাংলাদেশের সাফল্যের মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। ২০৩০ সাল নয়, বাংলাদেশ দারিদ্র্য মুক্তির বছর হিসেবে ২০২৪ সালকেই নির্ধারণ করেছে। উন্নয়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে এর আগেই তা সম্ভব হবে।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) জন্য একটি ‘খুব আকর্ষণীয়’ এলাকা। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট নিয়ে মুহিত বলেন, সীমান্ত হাট খুব বেশি বাড়ানো হয়নি তবে আরো কিছু সীমান্ত হাট বাড়ানো হতে পারে। তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের সমন্বয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো বড় খাত নিয়ে বলেন, ভুটানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসতে পারে।
তবে তিনি ভারতীয় দর্শকদের জন্য বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে বাধার ক্ষেত্রে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ খাতে বেসরকারী খাতের মাধ্যমে ২০ লাখ রুপির বিরাট ফি ধার্য করে তা আটকে দেয়া হয়েছে।
আলোচনার শুরুতে দুদেশের বিদ্যমান নানান বিষয়াদি তুলে ধরা হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে। সংলাপের শুরুতেই ঢাকাস্থ ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে চায় ভারত। এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে তার দেশ। তবে অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডির চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে নানারকম সংলাপ হলেও ৪৪ বছরেও তা কাক্সিক্ষত রূপ পায়নি। বাংলাদেশ-ভারতের মাঝে এই সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে এই সংলাপের শুরু ১৯৭২ থেকে। যদিও তা বাস্তবে খুব বেশি সফলতার মুখ দেখেনি। আর প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমানের মতে, দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের অনেক সুবিধাই আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত এমন কোনো বিশেষ বাণিজ্য পদ্ধতি আদায় করতে পারেনি যেখান থেকে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সেশনে আরো বক্তব্য রাখেন, ডেইলী স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, ড. আইনুন নিশাত, আইপিএজির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মুনির খসরু, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম, ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার রজিত মিটার, কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) সদস্য পঙ্কজ তান্দন, এসিআই লিমিটেডের এমডি ড. আরিফ দৌলা, এনার্জি এন্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের ফেলো নিত্য নন্দা, ডেইলী স্টারের উপ-সম্পাদকীয় সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম, ভারতের দ্য হিন্দুর ডিপ্লোমেটিক এন্ড স্ট্রাটেজিক অ্যাফেয়ার্স এডিটর সুহাসিনী হায়দার এবং আইডিএসএ রিসার্স ফেলো শ্রুতি এস পাটনায়েক প্রমুখ।