Published in বাংলাদেশ প্রতিদিন on Tuesday 7 April 2020
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের প্রতিটি খাত ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য নিজেও সে কথা বলেছেন। সংশ্লিষ্টরা সে মোতাবেক কাজ করলেই তা সম্ভব। বর্তমানে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজকর্ম বন্ধ আছে। অর্থবছরের শুরু থেকেই এবার রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি রয়েছে। এখন করোনাভাইরাসের কারণে তার ঘাটতি আরও বাড়বে। আমরা ধারণা করছি, এটা ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ফলে এ প্যাকেজের অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি সামনের দিনগুলোয় সরকারের উচিত হবে কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় কমিয়ে আনা। আর অপ্রয়োজনীয় খাতগুলোকে বাদ দেওয়া। এ প্যাকেজের আওতায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর, বস্তিবাসীর খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। এখানে একটা বিষয় খুবই জরুরি যা হলো, যাদের জন্য এটা ঘোষণা করা হয়েছে তাদের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এ প্যাকেজের কোনো সার্থকতা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তা আমাদের জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর আওতায় সবাইকে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেটারই বাস্তবায়ন হতে হবে। পৃথিবীর অন্য সব দেশও এমন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলো তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মকান্ড স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে। এজন্য এর উপযুক্ত ব্যবহার হতে হবে। তবে এ প্যাকেজের অর্থ কোন কোন উৎস থেকে আসবে তা পরিষ্কার করা হয়নি। সরকার বলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কথা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কথা। কিন্তু এগুলো পরিষ্কার বক্তব্য নয়। সরকার হয়তো ভাবছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে অর্থ চাইবে। পৃথিবীর অনেক দেশই ইতিমধ্যে তাদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। আমাদের দাবিগুলোও খুব দ্রুত তাদের কাছে পেশ করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।