Professor Mustafizur Rahman highlights salient resolutions from the dialogue on “Integrating Trade Issues in Post-2015 International Development Framework: Ongoing Debates and Potential Opportunities,” on the side lines of WTO MC9, published in Prothom Alo, on 9 December 2013.
সময় এসেছে বাণিজ্যকে বৈষম্য হ্রাসে ব্যবহারের
নিজস্ব প্রতিবেদক, বালি (ইন্দোনেশিয়া) থেকে
সময় এসেছে আয়-বৈষম্য হ্রাসে বাণিজ্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাণিজ্যের মাধ্যমেই অর্জিত হয়। কিন্তু, অনেক উন্নয়নশীল দেশে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও আর্থসামাজিক বৈষম্য না কমে বরং বেড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ডব্লিউটিও সম্মেলনের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশাল সেন্টার ফর ট্রেড অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিটিএসডি) তিন দিনব্যাপী বালি বাণিজ্য ও উন্নয়ন সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আলোচনায় এ অভিমত উঠে আসে। আরও চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে এই আলোচনার আয়োজন করে সিপিডি।
সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
ডব্লিউটিওতে নেপালের রাষ্ট্রদূত শংকর ডি বৈরাগী বলেন, শুধু বাণিজ্য দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) এগিয়ে যেতে পারবে না। এলডিসিগুলোকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
বক্তারা ২০১৫ পরবর্তী এমডিজির (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) কর্মপরিকল্পনায় বাণিজ্যকে আরও নিবিড় ও অর্থবহভাবে সম্পৃক্ত করতে গুরুত্বারোপ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, এমডিজির অষ্টম লক্ষ্যের মধ্যে বাজারসুবিধা রয়েছে। কাজেই আগামীতে এদিকে জোর দিতে হবে। এ জন্য বাণিজ্য নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, তাদের মধ্যেও সংস্কার আনতে হবে।
আলোচনা শেষে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশি সাংবাদিকদের জানান, মূলত চারটি বিষয় এই আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট বিধিবিধানগুলো কিছুটা পুনর্বিন্যাস করার বা নতুনভাবে সাজানো, যেন তা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সহায়ক হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতের ফলে গরিব দেশগুলো নতুনভাবে নাজুকতার মধ্যে পড়েছে। বাণিজ্যের জন্য সাহায্য ও অর্থায়ন যেন ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
বাণিজ্য সহজীকরণে অবকাঠামো উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য কাজে লাগাতে হবে।
আয়-বৈষম্য কমানোর জন্য বাণিজ্যকে কাজে লাগাতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের বর্তমান কাঠামোয় উন্নত দেশগুলো এখন উন্নয়নশীল ও এলডিসিকে তাদের পণ্যের বাজার হিসেবে দেখে থাকে। বাণিজ্য সম্পর্কটা তাই যেন আর পূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠতে পারছে না। উন্নত দেশগুলো যদি এই দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনে, যদি আলোকিত স্বার্থ নিয়ে দেখে, তাহলে আর বাজার হিসেবে না দেখে সত্যিকারের অংশীদারি হিসেবে দেখতে পারবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, উন্নয়নশীল ও গরিব দেশগুলোর মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটলে, ক্রয়ক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়লে যে উন্নত দেশগুলোর পণ্য ও সেবার বাজার বাড়বে, সেটা বিবেচনা করা উচিত। এবং সে জন্যই বাণিজ্য উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়ানো উচিত।