Op-eds and editorials citing third reading of the State of the Bangladesh Economy in FY2015-16

Published in The New Nation on Sunday, 29 May 2016

Paradox of higher growth

AS per media report the economy of Bangladesh is now estimated to exceed 7 percent growth rate but despite this phenomenal growth, job creation in the economy remained at low causing the number of unemployed people to grow. Thus higher economic growth and slow down in job creation appear to be highly paradoxical raising basic question on the quality of such growth. When the country’s economic growth was 6 percent, employment generation was exponentially growing, but since 2013 why it is falling is quite misleading. The Center for Policy Dialogue (CPD) made the issue public at a pre-budget press briefing blaming much of public budgetary resources going to unproductive expenditure like paying huge salary to public servants. As a result public expenditure to productive sector is going less to create enough jobs. Moreover since private investments remained sluggish because of high interest rate and political risk, job creation in the private sector has also lost steam. So when the government estimates growth rate in terms of budgetary expenditure, it is jumping but as less money is going to manufacturing and other productive expenditures, mills and new factories are growing less to cause the slow down in job market.According to Bangladesh Bureau of Statistics, the number of jobs rose impressively during 2002-2013, by 13.6 lakh per year. But the number appears to have fallen to only three lakh a year since 2013. So, can we take that the GDP growth does not ensure enough job creation to benefit the greater section of the society. This inverse relationship between growth rate and job creation is not acceptable to the nation. It is also surprising that the economy is expected to get rid of the 6 percent growth trap to go above at a time when private investment declines as percentage of gross domestic product and tax collection remains low. The government should realize the dubious scenarios of the economy and must pay more attention to raising private investment to create more jobs through budgetary measures in the coming fiscal year. Boost in private investment may help create meaningful job creation for the unemployed people of the country.Government should forget the buzzword of 7 percent GDP growth. Because only high growth is not enough; its quality and bringing benefits to people by way of more jobs are other income generation activity important to attain. What is worrying is that authority concerned has no glaring attention about quality of growth except tall claims of impressive developments. In our view higher growth rate is not enough, it must be visible in the ground.


 

Published in বণিকবার্তা  on Friday, 27 May 2016

প্রবৃদ্ধি বাড়লেও অন্য সূচকে অবনমন শঙ্কা

অর্থনীতির টেকসই ভিত গড়ার অন্তরায়

দেশে উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধি বাড়ছে বটে, কিন্তু অন্যান্য সূচকে এর যথাযথ প্রতিচ্ছাপ পড়ছে না। বরং কিছু সূচকে দেখা দিচ্ছে অবনমন শঙ্কা। এটি দেশের টেকসই অর্থনৈতিক ভিত গড়ার অন্তরায়। কয়েক বছর ধরে দেশের মোট দেশজ উত্পাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশে থাকার ধারাবাহিকতায় চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৭ শতাংশে উন্নীত হতে চলেছে। এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে সমস্যা হলো, প্রবৃদ্ধি বাড়ার ফলে অন্যান্য খাতে এর যে প্রতিফলন থাকার কথা, সেটা এখনো দৃশ্যমান নয়। দেখা যাচ্ছে, এ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও কর্মসংস্থান হয়েছে গত দেড় দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। ব্যক্তিখাতেও অব্যাহতভাবে কমছে বিনিয়োগ; আবার রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধিও অনেক কম। উল্লিখিত সূচকগুলোর এ অবনমন প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার ক্ষেত্রে শঙ্কা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আমরা চাইব, বিষয়টি আমলে নিয়ে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

সাধারণত জিডিপি বাড়লে কর্মসংস্থানও বাড়ে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অনুপাতে কর্মসংস্থান বাড়েনি বললেই চলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর লেবার ফোর্স সার্ভে প্রতিবেদনই এর বড় প্রমাণ। আলোচ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ ও ’১৫ সালে দেশে মোট ছয় লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে। অর্থাত্ এক বছরে মাত্র তিন লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে। অন্যদিকে উত্পাদন খাতে কর্মসংস্থান বাড়েনি, উল্টো কমেছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, গত দুই বছরে শিল্প খাতে ১০ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি হলেও এ সময়ে খাতটিতে কর্ম হারিয়েছেন ১২ লাখ শ্রমিক। এটি কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রবণতারই প্রতিচ্ছবি। এমন অবস্থা চলতে থাকলে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের উচ্চাশা পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়বে। কাজেই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সরকারের মনোযোগ দিতে হবে।

এদিকে প্রতি বছর বড় অঙ্কের অর্থ দিতে হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পুনঃঅর্থায়নের জন্য। অন্যদিকে ব্যাংকগুলোয় জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। শেয়ারবাজারের অবস্থাও নাজুক। এ অবস্থায় আর্থিক খাতের সংস্কারে একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের কথা বিশেষজ্ঞরা বললেও এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াতে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র (এনএসএসএস) প্রণয়ন করা হলেও এ নীতি বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগ খুব একটা দৃশ্যমান নয়। নিশ্চয়ই জনগণের করের অর্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় পুনঃঅর্থায়ন না করে সে অর্থ সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় করলে তা সম্পদের বণ্টন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সহায়তা করত। এতে প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হতো। একই অবস্থা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও। এ দুই খাতে অব্যাহতভাবে বরাদ্দ কমছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে এ খাতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।


 

Published in মানবকন্ঠ  on Friday, 27 May 2016

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে উদ্যোগ নিন

বিনিয়োগ বন্ধ্যা কাটছে না। সরকারের উদ্যোগ নেই এমনটি বলা যদিও সঙ্গত নয় তবুও কেন এই বিনিয়োগ বন্ধত্ব তা অনুসন্ধান জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ এর সঙ্গে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং সামগ্রিক অর্থে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্পর্ক জড়িত রয়েছে। সরকার বারবার বলে আসছে, চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। কিন্তু একইসঙ্গে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য কিছু দাতা সংস্থা বারবারই এর বিরোধিতা করে আসছে। তারা বলছে, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে পারিপার্শ্বিক যে সহায়ক পরিবেশ এবং ক্ষেত্র বিশেষে উন্নয়ন প্রয়োজন তা নেই। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগও (সিপিডি) মনে করছে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকারের আশাবাদ সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি  বাড়লেও শিল্প খাতে তেমন কর্মসংস্থান বাড়েনি। রাজস্ব আয় কমেছে। শ্রম ও পুঁজির উৎপাদনশীলতায়ও অগ্রগতি নেই। যা কিনা অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছে সিপিডি। ২৫ মে ২০১৬ তারিখ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।

একটি বিষয় বিবেচনায় আনা জরুরি যে চলতি অর্থ বছর শেষ হতে মাত্র কয়েকটি দিন বাকি রয়েছে। আগামী মাসেই নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। কোনো বছরই বিভিন্ন খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার হয় না। বছর শেষে খরচের ধুম পড়ে যায়। এর কারণ হলো, নইলে নতুন অর্থবছরে সংশ্লিষ্ট খাতে নতুন বরাদ্দ মিলবে না। এতে তাড়াহুড়া করে সরকারের অর্থ ব্যয় নিশ্চিত হলেও প্রয়োজনীয় খাতে বিনিয়োগ এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে তা কোনো কাজে আসছে না। সুতরাং বাজেট প্রণয়নের সময়েই এদিকে দায়িত্বশীলদের নজর দিতে হবে। বাজেট প্রণয়ন বাস্তবসম্মত না হলে সরকারের আয় ও ব্যয়ে সামঞ্জস্য থাকে না এবং এটি প্রতি অর্থবছরের নিয়মিত চিত্র। সিপিডি মনে করছে, নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে তিনটি বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া জরুরি। প্রথমত, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমে আসায় আর্থিক খাতে সরকারকে স্বস্তি দিয়েছে। এই  বাড়তি প্রাপ্তিকে দেশের কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করা উচিত। তৃতীয়ত, সামাজিক নিরাপত্তায় আরো বরাদ্দ দিতে হবে। তবে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতিতে ৬টি ইতিবাচক দিক রয়েছে। মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকা, সুদের হার নি¤œমুখী, বৈদেশিক লেনদেন ও চলতি হিসাবের ভারসাম্য ইতিবাচক, মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল এবং বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ ইত্যাদি। এটি কম বড় কথা নয়। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংকিং খাতে চুরি-ডাকাতি, ভ্যাট আইন নিয়ে সংশয়-এসব বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে হবে। কারণ এসব বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিনিয়োগ পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে না এবং একই কারণে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হচ্ছে না।

প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কিংবা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশ যতই এগিয়ে যাক না কেন বিপুল সংখ্যক বেকারের বোঝা কাঁধে থাকলে তাতে কোনো কিছুই অর্থবহ হবে না। বরং বিভিন্ন আর্থিক খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সেইসঙ্গে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তা অনেক বেশি কার্যকর ফল বয়ে আনবে। এ ক্ষেত্রে সিপিডির পরামর্শ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা ইতিবাচক ফলই বয়ে আনবে বলে বিশ্বাস করি।


Published in ভোরের ডাক  on Friday, 27 May 2016

প্রবৃদ্ধি আছে কর্মসংস্থান নেই

সিপিডির মূল্যায়ন নিয়ে ভাবতে হবে

বাংলাদেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধির যুগে প্রবেশ করেছে। সারা পৃথিবী গড়ে যখন ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭ শতাংশ। কিন্তু প্রবৃদ্ধি বাড়ার সাথে সাথে অন্যান্য যেসব খাতে উন্নতি হওয়ার কথা, বিশেষ করে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সেইভাবে প্রবৃদ্ধি তো হচ্ছেই না। বরং এ দুই খাতে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে গেছে। সিপিডির গবেষণা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রবৃদ্ধি বাড়বে কিন্তু সেইভাবে বিনিয়োগ বাড়বে না, কর্মসংস্থান বাড়বে না সেটা যৌক্তিক নয়। এই পরিসংখ্যান অর্থনীতির জন্য কোনো ভালো বার্তা বয়ে আনছে না। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপের কথা উল্লেখ করে সিডিপি জানায়, ২০১৩ সালের পর দুই বছরে সাত লাখ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে; কিন্তু এর আগের ১০ বছর প্রতি বছর গড়ে ১৩ লাখ করে কর্মসংস্থধান হয়েছে। সিপিডির ফেলো বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমানে সামাজিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রবণতা আছে, সহনীয় মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক ঋণের সুদ হার কম, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য, টাকার স্থিতিশীল বিনিময় হার প্রভৃতি। এগুলো সবই বিনিয়োগ সহায়ক। কিন্তু এ সময় পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বিনিয়োগ কমে গেছে। তবে বেসরকারি বিনিয়োগ কমার পেছনে অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দায়ী। যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার পর্যায়ে উন্নীত করা যায়, তাহলে বিনিয়োগ ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ সাথে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল এবং কিছু আফ্রিকান দেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। এটা নিশ্চয় ভালো খবর যে, বাংলাদেশ ওই দলে আছে। কিন্তু প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ, সুশাসন, সামাজিক সাম্য প্রভৃতি দরকার। তা কিভাবে সম্ভব হবে তা আমাদের রাজনীতিকদের ভাবতে হবে।