সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় কীভাবে মোকাবেলা করা যাবে – ড. ফাহমিদা খাতুন

Published in বণিকবার্তা on Wednesday 18 March 2020

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ এখনো অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত দেশের মধ্যে একটি। ডাক্তার ও বিজ্ঞানীরা এ মহামারী রোধ করতে এবং ওষুধ আবিষ্কার করতে বিনিদ্র রজনী পার করছেন। তবে এরই মধ্যে এ প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এবং পরিস্থিতি প্রতিদিন বিবর্তিত হচ্ছে। তাই অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানগুলো করোনার প্রভাব বিষয়ে কিছুটা ধারণা দিতে পারে মাত্র। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ভর করবে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। যেমন করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা কতখানি, কত সময় ধরে তা বিরাজ করবে এবং নীতিনির্ধারকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি প্রশমিত করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলন বা আঙ্কটাড বৈশ্বিক আয় ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কমবে বলে ধারণা করছে। ফলে বিশ্বের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে চলে যাবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক হিসাব করেছে, কভিড-১৯-এর কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে শূন্য দশমিক শূন্য ৮৯ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৪০৪ শতাংশ জিডিপি কমে যেতে পারে। অর্থের হিসাবে এটি হবে ৭৭ থেকে ৩৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

করোনা ভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব বিভিন্নভাবে অনুভূত হবে। প্রথম প্রভাবটি চীনের ওপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নির্ভরশীলতার কারণে হবে। ক্রয়ক্ষমতার সমতার ভিত্তিতে যদি হিসাব করা হয়, তাহলে বিশ্বের জিডিপির ১৯ শতাংশের বেশি চীনে সৃষ্টি হয়। তাই চীনা অর্থনীতির ওপর যেকোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ। বিশ্ব বাণিজ্যে চীনের অংশ প্রায় ১৩ শতাংশ। দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারকও বটে। মোট বৈশ্বিক আমদানির ১১ শতাংশ হয় চীনের মাধ্যমে। সরবরাহজনিত জটিলতার মাধ্যমেও বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হবে। চীন যেহেতু বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদনকারী এবং রফতানিকারক দেশ, তাই চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হলে বিশ্বের উৎপাদন ব্যাহত হবে। চীন প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের সর্বোচ্চ সরবরাহকারী দেশ এবং শতাধিক দেশে সে তার পণ্য সরবরাহ করে। চীন বৈশ্বিক উৎপাদনের মধ্যবর্তী স্তরের প্রায় ২০ শতাংশ পণ্য উৎপাদন করে, যা দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সচল থাকে। পণ্যের চাহিদা ও দাম কমে যাওয়ার কারণেও বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব অনুভূত হবে। চীন যদি তার দেশে তেলের ব্যয় কমিয়ে দেয়, তাহলে বিশ্বে তেলের চাহিদা ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে।

চীনের ওপর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নির্ভরতা অনেক। চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে চীনের সঙ্গে। বাংলাদেশের আমদানির বৃহত্তম উৎস হচ্ছে চীন। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য, তৈরি পোশাক খাত তার কাঁচামালের জন্য চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। চামড়াজাত পণ্য এবং ওষুধ উৎপাদনের জন্যও চীন থেকে বাংলাদেশ কাঁচামাল আমদানি করে থাকে।

বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের যে প্রবৃদ্ধি, তা অনেকাংশেই চীনা বিনিয়োগের কারণে বেড়েছে। চীন বর্তমানে বাংলাদেশের পরিবহন ও জ্বালানি খাতসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু কভিড-১৯-এর কারণে এগুলোর কার্যক্রম অনেকটা মন্থর হয়ে গেছে। নির্মাণসামগ্রীর সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে নিযুক্ত অনেক চীনা শ্রমিক তাদের দেশে আটকা পড়েছেন। ফলে প্রকল্পগুলো শেষ হতে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে বাংলাদেশ সরকারের আরো অর্থ নেয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে, যার অর্থ হচ্ছে আরো ঋণের বোঝা বাড়া।

চীনের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতির এত নির্ভরশীলতার কারণে এটি অনুমেয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে বাংলাদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আঙ্কটাড পূর্বাভাস করেছে, করোনাভাইরাসজনিত কারণে যদি চীন থেকে মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি ২ শতাংশ কমে যায়, তবে এর জন্য বাংলাদেশের ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হবে। চামড়া খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার পরিমাণ ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। টেক্সটাইল ও পোশাক খাতের ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হবে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক হিসাব করেছে, করোনাভাইরাসের প্রভাব যদি খুব প্রকট হয় অর্থাৎ এটি যদি কমপক্ষে ছয় মাস বিরাজমান থাকে, তাহলে বাংলাদেশ তার জিডিপির প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ হারাবে। অর্থাৎ করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ৩ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া এটিও ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার কারণে বাংলাদেশের ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩০ জন চাকরি হারাতে পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে রফতানি ও আমদানির মাধ্যমে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর পরিমাণ ৩৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো দেশগুলো বাংলাদেশের প্রধান রফতানি কেন্দ্র। আবার মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলো বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের অন্যতম উৎস। সুতরাং সেসব দেশের ওপর করোনাভাইরাসজনিত অর্থনৈতিক প্রভাব বাংলাদেশের ওপর অনেকখানি পড়বে।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব নয়। তাই নীতিনির্ধারকদের ক্ষতির মাত্রা ও পরিমাণ কমাতে দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আশু করণীয় সুপারিশমালা তুলে ধরা হলো।

প্রথমত, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত ডাক্তারি পরীক্ষার সুবিধা, স্বাস্থ্যকর্মী, ওষুধ, হাসপাতালের বিছানা এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধাসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে। এর জন্য আর্থিক বরাদ্দ দিতে হবে। সরকারের উচিত হবে দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং দেশে ফেরা প্রবাসীদের জন্য যথাযথ চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা। আমাদের জনসংখ্যা অনুযায়ী চিকিৎসকের সংখ্যা অপর্যাপ্ত। এক্ষেত্রে চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়নরত জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদেরও কাজে লাগানো যেতে পারে। আর করোনাভাইরাসের রোগীদের আলাদা করে রাখার জন্য যথেষ্ট জায়গা নেই। এক্ষেত্রে স্কুলগুলোকে সাময়িকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের যেসব আমদানি পণ্য প্রয়োজন, বিশেষ করে যেসব কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করা হয়, সেগুলোর জন্য সরকারের অবিলম্বে বিকল্প উৎসের সন্ধান করা উচিত। সেক্ষেত্রে দাম বেশি হতে পারে। তবুও ওষুধ ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতির মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলো আমদানির জন্য জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে। তাছাড়া এগুলো আমদানির জন্য সাময়িক শুল্ক ছাড় দেয়া যেতে পারে। কিছুটা কম প্রয়োজনীয় জিনিসের আমদানি আপাত বন্ধ রাখা যেতে পারে।

তৃতীয়ত, করোনাভাইরাস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্য সরকার একটি কর্মসংস্থান সহায়তা স্কিম শুরু করতে পারে। দক্ষতা নবায়ন ও পুনঃপ্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিকল্প কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। যারা ছোট ব্যবসা করতে চান, তাদের সহজ শর্তে মূলধন দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্প সময়ের জন্য একটি বিশেষ আর্থিক স্কিম শুরু করা যেতে পারে।

চতুর্থত, সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে ছোট ব্যবসাকে সাহায্য করার জন্য ব্যাংকগুলোর পর্যাপ্ত তারল্য থাকতে হবে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের স্বাস্থ্য ভালো নয়। অনেক ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য ব্যাংকগুলোকে রিফিন্যান্সিং স্কিমের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারে, যাতে তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাগুলোর জন্য ঋণ, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণগুলো আরো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করতে হবে, যাতে সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্তরা এ সুযোগ পায়।

পঞ্চমত, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং করোনার ফলে চাকরি হারানো লোকদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় এনে সাময়িকভাবে সহায়তা দেয়া যেতে পারে। তবে তাদের বাছাই করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।

ষষ্ঠত, করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগপূর্ণ সময়টিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে, যার ফলে অর্থনীতি শ্লথ হয়ে যাবে। কাজেই কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থনীতিতে বিনিয়োগ চাঙ্গা করতে হবে। তবে এ বিনিয়োগ দক্ষভাবে পরিচালনা করতে হবে। তাছাড়া সরকার সামাজিক ব্যয় বাড়িয়ে স্বল্প আয়ের লোক এবং দরিদ্রদের সুরক্ষা করতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কমার ফলে আমরা কিছুটা সাশ্রয় করতে পারব। এতে করে আমরা স্বাস্থ্য খাতে আরেকটু বেশি খরচ করার সুযোগ পেতে পারি।

সপ্তমত, এ জাতীয় সংকটের সময়গুলোতে সাধারণত মুদ্রানীতির মাধ্যমেও সহযোগিতা দেয়া হয়। ব্যবসায়িক লোকসানের ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নেয়া এবং ব্যবসাকে পুনর্জীবিত করার জন্য সুদের হার কমানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুদিন আগেই দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণের ওপর সুদের হার কমানোর নির্দেশ দিয়েছে, যা এপ্রিল থেকে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এর সুবিধা না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা ক্ষুদ্রঋণের অর্থ পরিমাণে কম থাকে। ব্যাংকগুলোর পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা ব্যয় বেশি হওয়ায় বাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ দিতে আগ্রহ বোধ করে না। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সহযোগিতা দিতে হবে এবং নজরদারি বাড়াতে হবে।

অষ্টমত, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য নেয়া সব ব্যবস্থা কার্যকরীভাবে পরিচালনা করতে হবে। এর বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে হতে হবে, যাতে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি এবং ভুক্তভোগী নয় এমন ব্যক্তিরা সরকারের এ সুবিধাগুলো নিতে না পারে।

সবশেষে, করোনাভাইরাস নিয়ে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এখনো বেশির ভাগ লোক এ ভাইরাস কীভাবে ছড়াতে পারে, এর প্রতিরোধ কী কী করণীয়, কোথায় এর চিকিৎসা পাওয়া যায় সে ব্যাপারে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নয়। তাই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সম্পর্কিত সামগ্রিক বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

অর্থাৎ সবার আগে করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকটিতেই মনোযোগ দিতে হবে। জীবনের মূল্য সবকিছুর চেয়ে বেশি। আমরা চীন থেকে শিখতে পারি কীভাবে এত বড় এবং এত জনবহুল একটি দেশ করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এত কম সময়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। চীনের সরকারি উদ্যোগ, কঠোর শৃঙ্খলা ও সুচারু ব্যবস্থাপনা একটি সফল দৃষ্টান্ত।

 

ড. ফাহমিদা খাতুন: নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)