সত্যিকারের পুনর্বণ্টনমূলক বাজেট প্রণয়ন করতে হবে

    এসডিজির মূল দর্শনই হচ্ছে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবেনা। এ দর্শন বাস্তবায়নের জন্য যে কর্মকৌশল গ্রহণের কথা বলা হয়েছে তা হলো হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচ বা সমগ্র সমাজ পদ্ধতি। এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আর এসব কর্মসূচিতে সম্পদ বরাদ্দ দেওয়া এবং ব্যবহারের প্রধানতম মাধ্যম হচ্ছে জাতীয় বাজেট। এ বাজেট মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা কতটা পূরণ করতে পারছে, তা নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। যাদের উদ্দেশ্য করে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তারা বাজেট থেকে সুফল পাচ্ছেন কি না, স্থানীয় পর্যায়ে থেকে এ বিষয়গুলোকে তারা কীভাবে মূল্যায়ন করছেন, তা সঠিকভাবে জানা জরুরি। বাজেটের আওতায় বিভিন্ন খাতের কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো আসলে যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, এই উন্নয়নের ফল সবাই সমানভাবে পেল কি না, অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য রয়েছে কি না প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করা। এ সংলাপের অন্যতম উদ্দেশ্য। বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির আলোকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ এর নিরিখে তাদের প্রত্যাশা জানতে সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের সহায়তায় সুপারিশ সংগ্রহ করে। সংগ্রহকৃত এসব সুপারিশমালা উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে এরই পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম সমাজের এসব ব্যক্তিকে নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ মে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে ‘আইএমএফ-এর সময়কালে জাতীয় বাজেটে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে?’ শীর্ষক একটি নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে। সংলাপে নাগরিক সমাজ, অসুবিধাগ্রস্ত মানুষদের প্রতিনিধি, শিক্ষক এবং সাংবাদিক সহ সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রায় দুই শতাধিক জনপ্রতিনিধি অংশ নেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত উপস্থাপন করেন।

    অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের বক্তব্য উপস্থাপনের আহ্বান জানান।

    প্রকাশকাল: জানুয়ারি ২০২৫

    Download Briefing Note