CPD Working Paper 91
২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে নারী সংবেদনশীলতা
 যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজেট হচ্ছে তার কর্মকাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কেননা বাজেটের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ ছাড়া নীতিমালা বা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কোন প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য বাজেটের মাধ্যমে অনেকখানি প্রভাবিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত প্রাধিকারগুলোও বাজেটে প্রতিফলিত হয়। তেমনি জাতীয় বাজেটের মাধ্যমেও আয়-ব্যয়ের যে হিসাব নিকাশ এবং বরাদ্দ করা হয়ে থাকে তাতে রাষ্ট্রীয় নীতিমালার কেন্দ্রবিন্দুগুলোও প্রতিভাত হয়ে থাকে। যদিও একসময় ধারণা করা হতো যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে বাজেট তৈরি হয় সেগুলো জেন্ডার নিরপেক্ষ, কিংবা অর্থের যে সংখ্যাগুলো সেখানে উল্লেখ করা হচ্ছে তার প্রভাব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার ওপর নিরপেক্ষভাবে পড়ে। সু² বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, এটি আসলে সত্য নয়। যেভাবে বিভিনড়ব কর্মকাণ্ডে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, কিংবা কর এবং রাজস্ব নীতিমালাগুলো যেভাবে তৈরি করা হয়, তার প্রভাব নারী ও পুরুষের ওপর ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় পড়ে। শুধু তাই নয়, এই বরাদ্দ এবং নীতিমালার প্রভাব ধনী-গরীব, শহরবাসী, গ্রামবাসী তথা সমাজের একেক অংশের ওপর একেকভাবে পড়ে। তাই তাদের চাহিদা অনুযায়ী বাজেট প্রণীত না হলে তা হয় বৈষম্যমূলক। কেননা সমাজের একেক অংশের ভূমিকা, দায়িত্ব এবং সক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্যগুলো এমনভাবে তৈরি যা কিনা নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি অসমতা সৃষ্টি করে এবং নারীকে একটি অসুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যায়। বাজেট বিশ্লেষনের মাধ্যমে বোঝা যায় একটি দেশের সরকার নারী-পুরুষের মধ্যকার অসমতা দূর করার জন্য কী ধরনের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকে।
যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজেট হচ্ছে তার কর্মকাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কেননা বাজেটের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ ছাড়া নীতিমালা বা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কোন প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য বাজেটের মাধ্যমে অনেকখানি প্রভাবিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত প্রাধিকারগুলোও বাজেটে প্রতিফলিত হয়। তেমনি জাতীয় বাজেটের মাধ্যমেও আয়-ব্যয়ের যে হিসাব নিকাশ এবং বরাদ্দ করা হয়ে থাকে তাতে রাষ্ট্রীয় নীতিমালার কেন্দ্রবিন্দুগুলোও প্রতিভাত হয়ে থাকে। যদিও একসময় ধারণা করা হতো যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে বাজেট তৈরি হয় সেগুলো জেন্ডার নিরপেক্ষ, কিংবা অর্থের যে সংখ্যাগুলো সেখানে উল্লেখ করা হচ্ছে তার প্রভাব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার ওপর নিরপেক্ষভাবে পড়ে। সু² বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, এটি আসলে সত্য নয়। যেভাবে বিভিনড়ব কর্মকাণ্ডে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, কিংবা কর এবং রাজস্ব নীতিমালাগুলো যেভাবে তৈরি করা হয়, তার প্রভাব নারী ও পুরুষের ওপর ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় পড়ে। শুধু তাই নয়, এই বরাদ্দ এবং নীতিমালার প্রভাব ধনী-গরীব, শহরবাসী, গ্রামবাসী তথা সমাজের একেক অংশের ওপর একেকভাবে পড়ে। তাই তাদের চাহিদা অনুযায়ী বাজেট প্রণীত না হলে তা হয় বৈষম্যমূলক। কেননা সমাজের একেক অংশের ভূমিকা, দায়িত্ব এবং সক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্যগুলো এমনভাবে তৈরি যা কিনা নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি অসমতা সৃষ্টি করে এবং নারীকে একটি অসুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যায়। বাজেট বিশ্লেষনের মাধ্যমে বোঝা যায় একটি দেশের সরকার নারী-পুরুষের মধ্যকার অসমতা দূর করার জন্য কী ধরনের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকে।
নারী বাজেট প্রণয়নের জন্য গত প্রায় দেড় দশক ধরে আন্তর্জাতিকভাবেই সরকারগুলোর ওপর নানা ধরনের চাপ রয়েছে। এর পেছনে যুক্তি হচ্ছে, শুধু কথার ফুলঝুড়ি বা কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করেই নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়, এর জন্য অর্থ প্রয়োজন। সাধারণত বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে সরকারগুলোর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বরাদ্দকৃত অর্থের প্রভাব কার ওপর কতখানি পড়লো কিংবা এর ফলে জেন্ডার বৈষম্য বাড়লো কি কমলো তা নিয়ে কখনও চিন্তা করা হয় না। জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট তৈরি করার জন্য দাবীর পেছনে এই বিষয়গুলো অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
বর্তমান প্রবন্ধে ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে কতখানি জেন্ডার সংবেদনশীলতা প্রকাশ পেয়েছে তা আলোচনার একটি প্রয়াস চালানো হয়েছে। তবে তার আগে নারী সংবেদনশীল অর্থনীতি এবং নারী বাজেট বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনার সূত্রপাত করা হয়েছে যা আগামী অর্থবছরের বাজেট বিশে−ষণের ভিত্তি রচনা করবে।
লেখকঃ ফাহমিদা খাতুন
প্রকাশকালঃ আগষ্ট ২০১০



