জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ সারসংক্ষেপ: পরিবহন-ও-যোগাযোগ

    সারাদেশকে একটি অভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা বর্তমান সরকারের অন্যতম উন্নয়ন অঙ্গীকার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সড়কসেতুকালভার্ট ও ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ করেছে। এর আওতায় সারাদেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক তৈরী হয়েছে। বিগত ২৫ জুন২০২২ তারিখে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এক্সপ্রেসওয়ের যুগে প্রবেশ করেছে। এছাড়া জাতীয় মহাসড়কগুলোর উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।  

    বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে দেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি জেলায় মোট ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছেযার মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার। এছাড়া কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সড়ক টানেল নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। 

    যানজট নিরসন এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে সরকার ৬টি মেট্রো রেল লাইনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ গত ২৮ ডিসেম্বর২০২২ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুভ উদ্বোধন করেন। ২০২৫ সালের মধ্যে মেট্রোরেল কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। এছাড়া ২০২৬ সালের মধ্যে পাতাল এবং উড়ালসহ মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২১টি স্টেশনবিশিষ্ট আরেকটি মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে  উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক আরো বিস্তৃত হবে এবং গণপরিবহণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে বলে আশা করা যায়।  

    বর্তমান সরকার ৩০ বছর মেয়াদী রেলওয়ে মাস্টার প্লানের আওতায় নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। রেল খাত উন্নয়নে ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৭৩৯.৭ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ২৮০.৩ কিলোমিটার মিটার গেজ রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর৭৩২টি নতুন রেল সেতু নির্মাণ এবং ১৪৪টি নতুন ট্রেন চালু করেছে বর্তমান সরকার। 

    যাত্রী পরিবহনে নৌ পথের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকার চারপাশে ১১০ কিলোমিটার বৃত্তাকার নৌপথ নির্মাণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে এর ২য় পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে। ৩.৩ কি.মি. দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।  

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। বিমানবন্দরে ২,৩০,০০০ বর্গমিটার আয়তনের তৃতীয় টার্মিনাল ভবন৬৩,০০০ বর্গমিটার আয়তনের এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালে এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

    প্রকাশকাল: জুন ২০২৩

    Download Policy Brief