কৃষি বাজেটের যথাযথ ব্যবহার বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রূপকল্প ২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ বাস্তবায়নের চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে কৃষি উন্নয়ন এবং কৃষকের কল্যাণ নিশ্চিতে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ।
খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির গুরুত্ব বিবেচনায় জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখা হয়ে থাকে। খাদ্য, মৎস্য এবং পশু সম্পদের উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সরকারের একটি অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ অর্থনৈতিক কৌশল। এ লক্ষ্যে জাতীয় বাজেটে প্রান্তিক কৃষক এবং গ্রামীণ কৃষি উৎপাদন খাতে উল্লেখযোগ্য প্রণোদনা এবং সহায়তার বিধান রাখা হচ্ছে। এছাড়া টেকসই কৃষি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীলতা সম্পন্ন কৃষি ব্যবস্থার উদ্ভাবনে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার সকল ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন প্রকার ফসলের উন্নত এবং প্রতিকূলতাসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন, চাষাবাদ প্রযুক্তি আবিষ্কার, উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ, সুলভ মূল্যে সার ও বীজসহ কৃষি উপকরণ সরবরাহ, সেচ এলাকা সম্প্রসারণ, উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষকের উৎপাদন খরচ সীমিত রাখতে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। বিগত অর্থবছরগুলোর ন্যায় আগামী অর্থবছরেও সারে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রকাশকাল: জুন ২০২৪