জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের সম্প্রসারণ এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত অগ্রগতি বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অর্জন। অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে এ খাতের অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেশের শিল্পোন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার পাশাপাশি বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন এবং সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার প্রদান করে এর উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে সরকারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক শতভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রিড যুগোপযোগী করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনার অংশ হিসাবে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রমের আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ হতে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রিড আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত হতে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন শেষে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব বিবেচনায় এর উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রকাশকাল: জুন ২০২৪