জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ সারসংক্ষেপ: বিজ্ঞান, ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

    বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত বাজেট বরাদ্দ বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের উদ্ভাবন, আধুনিকায়ন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মূল সহায়ক। ডিজিটাল এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করে আসছে। এ সংক্রান্ত সরকারের পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অবকাঠামো খাতসমূহে তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি দৃশ্যমান হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, বিগত ১৫ বছরে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে।

    সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে দেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো বৃদ্ধি পেয়েছে, সহজলভ্য হয়েছে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এমবিপিএস ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ, যার সর্বনিম্ন মূল্য ২০০৮ সালে ছিল ২৭ হাজার টাকা, বর্তমানে তা ৬০ টাকায় নেমে এসেছে। মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়েছে। সারাদেশে ৯ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টার, ১৬ হাজারের অধিক উদ্যোক্তা, যাদের ৫,৩৪৪ জন নারী, এবং সাড়ে আট হাজার পোষ্ট ই-সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সেবা নিতে পারছে। ইতোমধ্যে, ২,৪০০ এর অধিক সেবাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা, যা ২০০৮ সালে মাত্র ৪০ লক্ষ ছিল, তা ২০২৪ সালে প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে উপরোক্ত তথ্যগুলো ডিজিটাল বাংলাদেশে এগিয়ে যাবার ইঙ্গিত বহন করে।

    প্রকাশকাল: জুন ২০২৪

    Download Policy Brief