রূপকল্প ২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ‘নারীর ক্ষমতায়ন’, ‘শিশু কল্যাণ’ বতর্মান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি অন্যতম স্তম্ভ। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু কল্যাণের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার জেন্ডার সমতা উন্নয়ন, প্রসূতি ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন, নারী ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণ এবং এ সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য মধ্যমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সরকার নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু কল্যাণমুখী নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করছে। বর্তমানে ৪৪টি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগে জেন্ডার বাজেট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীন নিবন্ধিত মহিলা সমিতিভূক্ত দরিদ্র মহিলা এবং দুঃস্থ ও অসহায় মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাঁদের তৈরী পোষাক/পণ্য সামগ্রী বিক্রয়ের জন্য রাজস্ব বাজেটের আওতায় অধিদপ্তরের সদর কার্যালয়ে বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র “অঙ্গনা” পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও, ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রামের আওতায় ২ বছর চক্রাকারে ১০.৪০ লক্ষ উপকারভোগী মহিলাদের মাসিক ৩০ কেজি প্যাকেটজাত খাদ্য (চাল) এবং উন্নয়ন প্যাকেজ সেবা (প্রশিক্ষণ, সঞ্চয় ও ঋণ) প্রদান করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে, শিশু দিবাযত্ন আইন ২০২১ প্রণীত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৫টি দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। নির্যাতিত, অসহায় ও দুঃস্থ মহিলা ও শিশুর আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল’ পরিচালিত হচ্ছে। নারী ও শিশু কল্যাণকে গুরুত্ব প্রদানে সরকার আসন্ন অর্থবছরে মহিলা ও শিশু খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে।
প্রকাশকাল: জুন ২০২৪