শিক্ষা বাজেট উন্নত মানবসম্পদ সৃষ্টি, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরি, সামাজিক সাম্যতা এবং টেকসই উন্নয়নের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার মান উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতির ভিত তৈরীতে ভূমিকা রাখছে। বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমে অধিভুক্তির হার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে (২০২২ সালে এর হার ছিল ১৭ শতাংশ)। শিক্ষা খাত পরিকল্পনা (২০২০-২৫) শিক্ষা খাতের উন্নততর পরিকল্পনা, সমন্বয় ও শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে।
শিক্ষা অবকাঠামো সম্প্রসারণের সাথে সাথে বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিস্তারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া ও সাউন্ড সিস্টেম বিতরণ এবং শিক্ষকদের এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ সরকারের একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৩ হাজার ৭০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ এবং ৯ হাজার ৪১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া, ১০০ টি উপজেলায় প্রতিটিতে ১ টি করে মোট ১০০ টি টেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩টি নতুন মাদ্রাসা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশের ১ হাজার ৩৬ টি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যার অনুপাত ২০০৬ সালের ১ঃ৫২ থেকে উন্নীত হয়ে ২০২২ সালে ১:৩৩ হয়েছে। ইংরেজী ও গণিতসহ অন্যান্য বিষয়ে ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৯ কোটি ৩৮ লক্ষ ৩ হাজার ৬০৬টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির হার ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমান বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকাশকাল: জুন ২০২৪