এসডিজি’র মূল দর্শনই হচ্ছে ‘কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না’। এ দর্শন বাস্তবায়নের জন্য যে কর্মকৌশল গ্রহণের কথা বলা হয়েছে তা হলো হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচ বা সমগ্র সমাজ পদ্ধতি। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচিতে সম্পদ বরাদ্দ দেওয়া এবং তা ব্যবহারের প্রধানতম মাধ্যম হচ্ছে জাতীয় বাজেট। এই বাজেট মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা কতটা পূরণ করতে পারছে, তা নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। যাদেরকে উদ্দেশ্য করে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তারা বাজেট থেকে সুফল পাচ্ছেন কি না এবং স্থানীয় পর্যায়ে থেকে এ বিষয়গুলোকে তারা কীভাবে মূল্যায়ন করছেন, তা সঠিকভাবে জানা জরুরি। বাজেটের আওতায় শিক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো আসলে যথাযথভাবে বরাদ্দের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারছে কি না, শিক্ষায় বিনিয়োগের সুফল টার্গেট গ্রুপ সঠিকভাবে পেল কি না, অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য রয়েছে কি না প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের কারিগরি শিক্ষার কার্যকারিতা মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ২০২৪ সালের ২ মে সিপিডি’র উদ্যোগে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এর সহায়তায় এবং নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ও ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাজেশন (ইএসডিও)-এর সার্বিক সহযোগিতায় পঞ্চগড়ে ‘যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সংলাপের আয়োজন করে। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, নারী উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এ সংলাপে অংশ নেন।
প্রকাশকাল: মে ২০২৫