প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোগও জরুরি

    এসডিজি’র মূল দর্শনই হচ্ছে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। এ দর্শন বাস্তবায়নের জন্য যে কর্মকৌশল গ্রহণের কথা বলা হয়েছে তা হলো হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচ বা সমগ্র সমাজ পদ্ধতি। এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচিতে সম্পদ বরাদ্দ দেওয়া এবং তা ব্যবহারের প্রধানতম মাধ্যম হচ্ছে জাতীয় বাজেট। এই বাজেট মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা কতটা পূরণ করতে পারছে, তা নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। যাদেরকে উদ্দেশ্য করে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তারা বাজেট থেকে সুফল পাচ্ছেন কি না এবং স্থানীয় পর্যায়ে থেকে এ বিষয়গুলোকে তারা কীভাবে মূল্যায়ন করছেন, তা সঠিকভাবে জানা জরুরি। বাজেটের আওতায় শিক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো আসলে যথাযথভাবে বরাদ্দের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারছে কি না, শিক্ষায় বিনিয়োগের সুফল টার্গেট গ্রুপ সঠিকভাবে পেল কি না, অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য রয়েছে কি না প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রেক্ষিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার ওপরে স্থানীয় প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অংশগ্রহণে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। যার ফলাফল উপস্থাপনের লক্ষ্যে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এবং ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর সহযোগিতায় স্থানীয় সমাজের নানা অংশীজনদের নিয়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুন নীলফামারী জেলায় “প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিস্থিতি: আমাদের করণীয়” শীর্ষক নাগরিক সংলাপ এর আয়োজন করে। সংলাপে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, অভিভাবক, শিক্ষা উদ্যোক্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রায় দুই শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত উপস্থাপন করেন।

    প্রকাশকাল: জানুয়ারি ২০২৪

    Download