জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ সারসংক্ষেপ: স্বাস্থ্য

    স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার। ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ৬টি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের উন্নয়ন পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে “মানব স্বাস্থ্য হল উন্নয়ন”। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ এর পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ১৬টি জাতীয় গাইডলাইন২৯টি নির্দেশিকা৪টি এসওপিএবং ১৩টি গণসচেতনতামূলক উপকরণ তৈরী করা হয়েছে। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে ১২ হাজার ৮৬০টি শয্যা এবং ১ হাজার ১৮৬টি আইসিইউ স্থাপন করেছে সরকার। এছাড়া সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালে কমপক্ষে ৫টি শয্যা কোভিড রোগীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সারাদেশে ১৬২টি পরীক্ষাগারে আরটিপিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে এবং ৬৬৬টি কোভিড-১৯ i¨vwcW এন্টিজেন টেস্ট সেন্টারের মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে।  

    বর্তমান সরকার ‘সবার জন্য সুলভ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্বাস্থ্য সেবা’ এবং স্বাস্থ্যখাতে ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য’ অর্জনের পর টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর আওতায় টিকাদান কর্মসূচী ইপিআই এর ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। ১৯৮৫ সালে ইপিআই এর আওতায় ছিল ২ শতাংশ শিশুযা বর্তমানে ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া কৈশোরকালীন জন্মহারকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে ২০১৭-২০৩০ সাল মেয়াদের জন্য একটি ‘জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্যকৌশলপত্র’ অনুমোদিত হয়েছে এবং বর্তমানে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।  

    এছাড়া প্রান্তিক জনগণের কাছে সরাসরি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর কার্যকর মাধ্যম হিসেবে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৮৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। উল্লেখ্যবর্তমান সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশব্যাপী প্রতি ছয় হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে মোট ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেয়এবং ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়।  

    স্বাস্থ্য খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের আওতায় সাধারণ জনগণের জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যা এবং ৬টি জেলা সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালজাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শয্যাসংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে ‘স্কিন ব্যাংক’ এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।  

    স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় স্বাস্থ্যপুষ্টি ও জনসংখ্যা খাতে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ এর কৌশল হিসেবে জনবলের সংখ্যা ও গুণগতমানের উন্নয়ন সাধন করছে সরকার। এ পরিকল্পনা ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে চিকিৎসা ও নার্সিং শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়নের উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। 

    প্রকাশকাল: জুন ২০২৩

    Download Policy Brief