বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিকাশ বর্তমান সরকারের একটি বিশেষ অঙ্গীকার। সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপে গড়ে তোলার জন্য বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের মূল লক্ষ্য হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা, উন্নয়ন, প্রসার এবং এর ফলাফলের সফল প্রয়োগের মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়ন সাধন করা। সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করা। সে উদ্দেশ্য সাধনকল্পে সরকার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপর জোর দিচ্ছে।
বর্তমান সরকার ৪টি মূল স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের কাজ করছে। এগুলো হলো- ক) কানেকটিভিটি, খ) দক্ষ মানব সম্পদ, গ) ই-গর্ভমেন্ট এবং ঘ) আইসিটি শিল্পের প্রমোশন। বর্তমান সরকারের উদ্যোগের ফলে মোবাইল সিম এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথাক্রমে ১৮ কোটি এবং ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে সরকার বিস্তারিত কার্যক্রমসহ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ- আইসিটি মাস্টার প্লান’ প্রণয়ন করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দেশের জনগণকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সিটিজেন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৬ সালের মধ্যে ২০ হাজার তরুণ তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
দেশের জনগণকে স্বচ্ছতার সাথে এবং সহজে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে ‘স্মার্ট গর্ভমেন্ট’ এর মাধ্যমে আর ‘স্মার্ট ইকোনমি’র অনুষঙ্গ হবে দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন, ক্যাশলেস সোসাইটি, স্টার্ট-আপ ইত্যাদি। বর্তমান সরকার স্টার্ট-আপ এর বিকাশে ২০১৫ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ২,৫০০ স্টার্ট-আপ রয়েছে এবং এ খাতে বিনিয়োগ এসেছে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার, যা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান করছে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের। সর্বোপরি ‘স্মার্ট সোসাইটি’ হবে এমন সোসাইটি, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’ এর অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে এবং সকলের অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করবে।
প্রকাশকাল: জুন ২০২৩