Published in সমকাল on Friday 3 May 2019
কবিগুরু প্রচলিত অর্থে অর্থনীতিবিদ ছিলেন না। ছিল না তার এ ক্ষেত্রে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তবে তার ছিল একটি সৃষ্টিশীল পারিবারিক পরিবেশ, ছিল তার ব্যাপক পাঠাভ্যাস। দেশের গ্রামীণ জীবনকে প্রত্যক্ষ করেছেন কাছ থেকে; লক্ষ্য করেছেন ঔপনিবেশিক শাসন কীভাবে জাতীয় অর্থনৈতিক বিকাশকে শৃঙ্খলিত করে। একই সাথে প্রাচ্য-প্রতীচ্যের সমাজ ও সভ্যতাকে পর্যালোচনা করেছেন গঠনমূলক দৃষ্টিতে। তাই তার বিস্তৃত রচনাবলি গভীরভাবে পাঠ করলে আমরা লক্ষ্য করি সাম্প্র্রতিককালে যেসব অর্থনৈতিক উন্নয়ন চিন্তা আমাদের ব্যস্ত রাখছে, তার বহু কিছু রবিঠাকুরের মনোযোগ লাভ করেছিল প্রায় শত বছর পূর্বে।
উপরোক্ত এবং অন্য বহুবিধ উপাদান রবিঠাকুরকে আর্থ-সামাজিক বিবর্তন সম্বন্ধে দিয়েছিল একটি গভীর ইতিহাসবোধ ও উন্নয়ন অর্থনীতির মূল দ্বন্দ্বগুলো সম্বন্ধে প্রাঞ্জল ধারণা। তাই তার বিশ্ববীক্ষার মাঝে উজ্জ্বলভাবে স্থান পেয়েছে উন্নয়ন দর্শন এবং তৎসঞ্জাত সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন তথা জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রস্তাবনা।
আজকের এই ক্ষুদ্র নিবন্ধে নিতান্তই বিক্ষিপ্তভাবে আমি বিশ্বকবির স্বদেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন চিন্তার কতিপয় দিক স্মরণ করতে চাই।
দেশ, মানুষ ও দারিদ্র্য
কবিগুরুর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চিন্তার সূচনাবিন্দুটি ছিল দেশপ্রেম। সেই দেশপ্রেম তার জন্য কোনো বায়বীয় বিষয় ছিল না। তার জন্য, ‘দেশকে ভালবাসিবার প্রথম লক্ষণ ও প্রথম কর্তব্য দেশকে জানা।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘দেশে জন্মালেই দেশ আপন হয় না। যতক্ষণ দেশকে না জানি… ততক্ষণ সে দেশ আপনার নয়।’
সমাজ ও অর্থনীতির বস্তুগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিতকে জানা বা বোঝার ওপর পেশাদার অর্থনীতিবিদরা যে গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন, সেটার কথাই এখানে বলা হয়েছে। দেশজ বৈশিষ্ট্যকে অনুধাবন করতে না পারলে যে সঠিক আর্থ-সামাজিক নীতি প্রণয়ন করা যায় না, তাই বোধহয় রবীন্দ্রনাথ বোঝাতে চেয়েছেন। তবে তার এই স্বদেশ চিন্তার মধ্যে মানবতাবোধই প্রধান। তিনি বলেছেন, ‘যে প্রত্যেক লোকের মধ্যে সমস্ত দেশকে দেখিতে পায় না, সে মুখে যাহাই বলুক দেশকে যথার্থভাবে দেখে না।’ স্বদেশ চিন্তার মানবিক দিকের পাশাপাশি কবিগুরু স্বরাজ চিন্তার রাজনৈতিক দিকের প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বলেছেন, ‘বিদেশী রাজা চলিয়া গেলেই যে আমাদের স্বদেশ হইয়া উঠিবে তাহা নহে। দেশকে আপন চেষ্টায় দেশ করিয়া গড়িয়া তুলিতে হয়।’
রবীন্দ্রনাথের উন্নয়ন চিন্তার সূচনাবিন্দু যেমন দেশকে জানার ভেতর দিয়ে আত্মোপলব্ধি, তেমনি সেই প্রকাশিত স্বদেশ-স্বরাজ চিন্তার মূল উপকরণ হলো মনুষ্যত্বের বন্ধন। এক্ষেত্রে তার ভাববাদী চিন্তার পাশাপাশি বস্তুবাদী চিন্তার প্রকাশ কম দেখি না। তিনি বলেছেন, ‘আধপেটা অবস্থায় কোন জাতের মনুষ্যত্ব রক্ষা হয় না।’ ওই পঙ্ক্তিটি যেন সুকান্তকে অনুপ্রাণিত করেছিল লিখতে – ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’। আমরা লক্ষ্য করি, কবিগুরু দারিদ্র্য কাউকে ‘মহান’ করে এমনটা মনে করেননি। তিনি লিখেছেন ‘ঐশ্বর্যকে অধিকার করিবার শক্তি যাহাদের আছে দারিদ্র্য তাহাদেরই ভূষণ। … এই জন্য ত্যাগের দারিদ্র্যই ভূষণ, অভাবের দারিদ্র্য ভূষণ নহে।’
রবীন্দ্রনাথ শুধু যে দারিদ্র্যের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, তাই নয়; তিনি বৈষম্যকেও চরমভাবে ধিক্কার দিয়েছেন। আজ আমরা যারা দারিদ্র্য বিমোচনের সাফল্যের পাশাপাশি দেশে ক্রমবর্ধমান আয় ও সুযোগের বৈষম্য দেখে চিন্তিত হই, তাদের জানা দরকার যে এই নেতিবাচক প্রবণতাটি কবিগুরু বহু আগেই চিহ্নিত করেছিলেন। তার ভাষায়, ‘ধনের ধর্মই অসাম্য।’ আবার বলছেন, ‘ধন নির্মম, নৈর্ব্যত্তক।’ মার্কেন্টাইলবাদী অর্থনীতিতে সম্পদ সৃষ্টির সাথে যখন পুঁজিকেন্দ্রিক মূল্যবোধ উৎকটভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল, সেটাকে তিনি নিন্দা জানালেন অকুণ্ঠভাবে। ‘আজকের দিনে পৃথিবীতে মানুষের সকল অনুষ্ঠানের মধ্যে এই বাণিজ্যের অনুষ্ঠান সবচেয়ে কুশ্রী।’ লিখলেন, ‘আজকাল কুলশীল রীতিনীতি বুদ্ধি বিদ্যা সমস্ত ছাপিয়ে চোখে পড়ে ধনের বৈশিষ্ট্যতা। এই বৈশিষ্ট্যতার গৌরবই মানুষের সবচেয়ে বড় অগৌরব।’ এ যেন মার্কসের ‘পুঁজি আসক্তি’রই [ক্যাপিটাল ফেটিশিজম] অন্য ব্যাখ্যা।
আমরা প্রায়ই বলি – দেশ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ক্ষুদ্র শোষক গোষ্ঠী, অন্যদিকে ব্যাপক শোষিত জনমানুষ। এর উপলব্ধি রবিঠাকুরের ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে এভাবে, ‘দেশের যে অতি ক্ষুদ্র অংশে বুদ্ধি-বিদ্যা-ধন-মান, সেই শতকরা পাঁচ পরিমাণ লোকের সঙ্গে পঁচানব্বই পরিমাণ লোকের ব্যবধান মহাসমুদ্রের ব্যবধানের চেয়ে বেশী। আমরা এক দেশে আছি, অথচ আমাদের এক দেশ নয়।’ আরেক জায়গায় তিনি বলছেন- ‘ইংরেজীতে যাকে বলে এক্সপ্লয়টেশন, অর্থাৎ শোষণ নীতি, বর্তমান সভ্যতার নীতিই তাই। নূ্যনাংশিক বৃহদাংশিককে শোষণ করে বড় হতে চায়; এতে ক্ষুদ্র-বিশিষ্টের স্টম্ফীতি ঘটে, বৃহৎ-সাধারণের পোষণ ঘটে না।’
কৌতূহলোদ্দীপক হলো যে, ধনবাদী সমাজে গণতন্ত্র চর্চার সীমাবদ্ধতাও কবিগুরুর দৃষ্টি এড়ায়নি। ‘যেখানে মূলধন ও মজুরির মধ্যে অত্যন্ত ভেদ আছে সেখানে ডেমক্রেসি পদে পদে প্রতিহত হতে বাধ্য।’ এ যেন সমাজের অর্থনৈতিক ভিত্তির সাথে রাজনৈতিক উপরিকাঠামোর দ্বন্দ্বাত্মক সম্পর্কের মার্ক্সীয় অভিজ্ঞানের আরেক সূত্রায়ন।
ক্রমবর্ধমান ‘ধন-বৈষম্যের অগৌরব’ যে একসময় সমাজ বিপ্লব ডেকে আনতে পারে এবং সেটাকে ঠেকানোর জন্য যে সমাজের কায়েমী স্বার্থ সচেষ্ট থাকে সেটাও রবীন্দ্রনাথ জানতেন। তার ভাষায়, ‘ধনের বৈষম্য লইয়া সমাজে যখন পার্থক্য ঘটে তখন ধনীর দল সেই পার্থক্যকে সমূলে ঘুচাইতে ইচ্ছা করে না, অথচ সেই পার্থক্যটা যখন বিপদজনক হইয়া ওঠে তখন বিপদটাকে ঠেকো দিয়া ঠেকাইয়া রাখিতে চায়।’ কবিগুরু যেন এই কথার ভেতর দিয়ে পুঁজিবাদী সমাজের মূল দ্বন্দ্বের প্রতি ইঙ্গিত করে সংস্কারবাদী চিন্তার প্রতি তির্যক মন্তব্য করছেন।
ভিক্ষা নয়, ভরসা
তাহলে কবিগুরু দেশ ও সমাজে পরিবর্তন কীভাবে আনতে চেয়েছিলেন? তার জন্য পরিবর্তন চিন্তা-ভাবনার মূল ভিত্তি ছিল ইতিবাচক আত্মবিশ্বাস ও জাতীয় সম্মানবোধ। তিনি তাই বিশ্বাস করতেন ‘আমাদের দেশে সকলের চেয়ে বেশী দরকার হাতে ভিক্ষার ঝুলি তুলিয়া দেওয়া নয়, মনে ভরসা দেওয়া।’ দেশ ও জাতির বিকাশের জন্য নিজের ওপর বিশ্বাস বা আস্থার প্রয়োজনীয়তা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন এইভাবে – ‘যে দেশে গরিব ধনী হইবার ভরসা রাখে সে দেশে সেই ভরসাই একটা মস্ত বড় ধন। আমাদের দেশের টাকার অভাব আছে, সেটা বলিলে সবটা বলা হয় না। আসল কথা আমাদের দেশে ভরসার অভাব।’ লক্ষণীয় বিষয়, ‘গরিব ধনী হইবার ভরসা’ বর্তমানকালে প্রচলিত আর্থ-সামাজিক প্রত্যয়, সামাজিক অগ্রাভিমুখী চলিষ্ণুতার [সোশ্যাল মোবিলিটি] সমার্থক।
রবীন্দ্রনাথ তাই জাতীয় অর্থনৈতিক বিকাশের ধারাকে বর্ণনা করেছেন এভাবে – ‘আমাদের দেশকে সম্পূূর্ণভাবে কেউই কেড়ে নিতে পারে না, এবং সেই দেশকে বাইরে থেকে দয়া করে কেউ আমাদের হাতে তুলে দেবে এমন শক্তি কারও নেই।’ এ যেন বৈদেশিক সাহায্য থেকে যে অর্থনৈতিক পরনির্ভরশীলতা সৃষ্টি হয়, তার সমালোচনা। এই সমালোচনা আরও তীক্ষষ্টভাবে প্রকাশিত হয়, যখন তিনি বলেন, ‘ভিক্ষার দ্বারা কেহ কখনো সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারে না। উপরন্তু বিদেশকে যতক্ষণ আমরা কিছু দিতে পারি না, বিদেশ হইতে ততক্ষণ আমরা কিছু লইতেও পারি না; লইলেও তাহার সঙ্গে আত্মসম্মান থাকে না বলিয়াই তাহা তেমন করিয়া আপনার হয় না, সংকোচে সে অধিকার চিরদিন অসম্পূূর্ণ ও অসঙ্গত হইয়া থাকে।’
কবিগুরু শুধু যে ‘বৈদেশিক পরনির্ভরশীলতা’র সমালোচক ছিলেন তাই নয়, অতিমাত্রায় সরকার-নির্ভরশীলতারও বিরুদ্ধে ছিলেন। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী উদ্যোগকে আহ্বান করে তিনি বলেছেন – ‘সরকার বাহাদুর-নামক একটা অমানবিক প্রভাব ছাড়া অভাব নিবারণের আর কোন উপায় আমাদের হাতে নাই, এ রকম ধারণা মনে বদ্ধমূল হতে দেওয়াতেই আমরা নিজেদের দেশকে যথার্থভাবে হারাই।’ মনে রাখতে হবে, রবীন্দ্রনাথ এখানে ঔপনিবেশিক আমলের সরকারের কথা বলছেন; স্বাধীন দেশের উন্নয়নকামী জাতীয় সরকারের কথা নয়।
প্রতিকার ও পরিবর্তন
কবিগুরু পরনির্ভরশীল মানসিকতা ত্যাগ করে, দেশজ সম্পদকে দেশের মানুষের কাজে লাগাতে বলেছেন। ‘আমাদের যাহা নাই তাহার জন্য আমরা রাজদ্বারে ধর্ণা দিয়া পড়ি এবং চাঁদার খাতা লইয়া গলদঘর্ম হইয়া বেড়াই- কিন্তু তাহাকে কেমন করিয়া কাজে লাগাইতে হইবে, সেদিকে কি আমরা দৃকপাত করিব না?’ এ যেন অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সম্পদ সমাবেশের নীতি নিদের্শনা।
উপরোক্ত চিন্তার মন্তব্য প্রয়োগের চেষ্টা রবীন্দ্রনাথকে গ্রামীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সমবায় পদ্ধতি প্রচলনে উদ্বুদ্ধ করে। রাশিয়ায় ভ্রমণ করে তিনি লিখলেন, ‘আমাদের দেশে পল্লীতে পল্লীতে ধন-উৎপাদন ও পরিচালনার কাজে সমবায় নীতির জয় হোক।’ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি যৌথতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এটি এসেছে তার সাম্য চিন্তার মূল ভাবনা থেকে। কৃষি খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারেও তিনি উৎসাহী ছিলেন।
আজকাল টেকসই দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে অনেকে [অমর্ত্য সেনের তত্ত্ব অবলম্বনে] দরিদ্রদের স্ব-ক্ষমতা [এন্টাইটেলমেন্ট], বিশেষ করে আয়ের সাথে অন্যান্য সামাজিক খাতের সেবা লাভের সুযোগ বৃদ্ধির কথা বলছেন। বর্তমান সময়ে বহু গবেষণার পর আমরা বুঝেছি যে, গুণমানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ সর্বজনীন না হলে দরিদ্র মানুষের সামাজিক অগ্রাভিগমন নিশ্চিত করা যায় না। আশ্চর্যের বিষয়, বহু বছর আগে রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন, ‘আজ আমাদের সকলের চেয়ে বড় দরকার শিক্ষার সাম্য।’ শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বজনীনতা অর্জনের জন্য তিনি মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের কথা বলেছেন, বিশেষ করে জাপানি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। ‘আধুনিক সমস্ত বিদ্যাকে জাপানী ভাষায় সম্পূূর্ণ আয়ত্তাধীন করে তবে জাপানী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সত্য ও সম্পূূর্ণ করে তুলেছে। তার কারণ জাপানীরা শিক্ষা বলতে সমস্ত দেশের শিক্ষা বুঝেছে – ভদ্রলোক বলে এক সংকীর্ণ শ্রেণীর শিক্ষা বোঝেনি।’
ঐক্যবোধের প্রয়োজনীয়তা
দ্রুত আর্থ-সামাজিক বিকাশের জন্য জাতীয় ঐক্যবোধের অপরিহার্যতার প্রতি কবিগুরু বিভিন্ন সময় আমাদের সচেতন করতে চেয়েছেন। বলেছেন, ‘আজ আমাদের দেশটা যে এমন বিষম গরীব তাহার প্রধান কারণ, আমরা ছাড়া ছাড়া হইয়া নিজের দায় একলা বহিতেছি। আমাদের দুর্ভাগ্য দেশে ভেদ জন্মাইয়া দেওয়া কিছুই শক্ত নহে, মিলন ঘটাইয়া তোলাই কঠিন।’ অবশ্য অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় শ্রেণী বা গোষ্ঠীস্বার্থের অপঘাতকে স্বীকার করে নিয়ে, রীতিমতো দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদীর মতো তিনি বলেছেন, ‘বিকাশের অর্থই ঐক্যের মধ্যে পার্থক্যের বিকাশ।’
কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীতে উন্নয়ন চিন্তা ভাণ্ডারে তার মৌল অবদান স্বীকার করে, সমসাময়িক বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশের জন্য প্রাসঙ্গিক কতিপয় বিষয়কে তাকে প্রণতি জানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করি।