Published in বণিক বার্তা on Monday 6 April 2020
আগেরটিসহ মোট পাঁচটি প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে। রিয়েল ইকোনমি এখন মোটামুটি স্থবির হয়ে পড়েছে। এখন প্যাকেজগুলোর মাধ্যমে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল লোনগুলো দিয়ে ব্যক্তি ও করপোরেট খাতের শ্রমিকদের মজুরি ও কর্মচারীদের আয় নিশ্চিত করা যেতে পারে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরে যখন অর্থনীতি আরো ঘুরে দাঁড়াবে তখন রিকভারিটা ভালো করা সম্ভব হবে। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সরবরাহ চেইন অব্যাহত রেখে চাহিদাকে চাঙ্গা রাখবে। সেদিক থেকে যেমন প্যাকেজটি ঠিক আছে, আবার ক্ষুদ্র ও মাঝারিদেরও দেয়া হয়েছে। এখন যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো প্যাকেজের অর্থগুলো ব্যাংকের মাধ্যমে সাবসিডাইজড লোন হিসেবে পাবে, ফলে ব্যাংকের তারল্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যান্য দেশে প্যাকেজের একটি বড় অংশ করপোরেট খাতের ঋণ, ট্যাক্স ওয়েভার ইত্যাদির মাধ্যমে। আবার দেশে বেতন-মজুরি সরাসরি দেয়া হয়েছে, আর আমাদের এখানে প্যাকেজের অর্থ যাচ্ছে উদ্যোক্তা, রফতানিকারক, ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। সরকার তাদের ঋণ দিচ্ছে সহজ শর্তে, যাতে করে বেতন-মজুরি পরিশোধ করতে পারেন। এখানে যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এই সতর্কতাটাও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি। এই প্যাকেজটা না হলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারটা অনেক শ্লথ হতো। এছাড়া ওপেন মার্কেট সেলটাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বিশেষ প্রান্তিক পর্যায়ে।
সম্মাননীয় ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)