Published in প্রতিদিনের সংবাদ on Sunday, 8 October 2017
নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) কমিয়ে আনতে আইনি কাঠামো সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আইনের দুর্বলতাই ঋণ গ্রহীতাকে খেলাপি হতে উৎসাহিত করে বলে তারা মত দেন।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, কিছু গ্রাহক ইচ্ছা করেই খেলাপি হয়েছে। তারা বাংলাদেশ অর্থ ঋণ আদালত আইনের দুর্বলতার সুযোগ লুফে নিচ্ছে। ঋণ খেলাপিরা যাতে আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিতে না পারে, এ জন্য আইনটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আইনের দুর্বলতা ঋণ গ্রহীতাকে খেলাপি হতে উৎসাহিত করে। আইনে তাদেরকে সময় দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংক খেলাপির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলেই তিনি আদালতে চলে যান এবং ব্যাংকের বিরুদ্ধে একটি রীট পিটিশন করে বসে থাকেন। আবার ঋণ খেলাপি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করে সময় ক্ষেপন করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি শুধু সময় ক্ষেপন করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত এপ্রিল থেকে জুন পযর্ন্ত বিদায়ী অর্থবছরে এই শেষ প্রান্তিকে শ্রেণী বিন্যাসিত ব্যাংক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ১ শত ৪৮ কোটি টাকা। আগের বছরে এ সময়ে এ ঋণের পরিমান ছিল ৭৩ হাজার ৪ শত ৯ কোটি টাকা।
ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম নুরুন নেওয়াজ বলেন, ব্যাংকগুলোকে এনপিএল একটি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরো সচেষ্ট হতে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংকারের প্রধান দায়িত্বই হবে ঋণ দেয়া এবং আদায় করা। তিনি ব্যাংক ঋণ দেয়ার সময়ে গ্রাহকের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে একটি সুন্দর পদ্ধতি গড়ে তুলতে ব্যাংকারদের প্রতি আহবান জানান।