এ ব্যাপারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সার্বিক বিবেচনায় এখন সরকারের সবচেয়ে অগ্রাধিকার খাত হওয়া উচিত করোনা মোকাবেলা। কিন্তু করোনা মোকাবেলায় বাজেটে ২১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে শেয়ার ও ইকুইটিতে বিনিয়োগের জন্য ২৮ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়ার জন্য ২৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ দুই খাতের তুলনায় করোনা মোকাবেলা অগ্রাধিকার পেয়েছে কম। তিনি বলেন, এ খাতে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত ছিল। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে করোনা মোকাবেলায় এবারের বাজেটে সরকার ২১ হাজার ২২ কোটি কোটি বরাদ্দ দিয়েছে। জরুরি সহায়তা তহবিলে ১০ হাজার কোটি টাকা, ব্যবসায়ীদের প্রণোদনার সুদ পরিশোধে তিন হাজার কোটি টাকা, এপ্রিল-মে দুই মাসে ব্যাংকগুলোর সুদ বাবদ দুই হাজার কোটি টাকা, করোনা মোকাবেলায় সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণে ৩২২ কোটি টাকা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি ২০০ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) এবং কৃষি খাতে পুনঃঅর্থায়নে তিন হাজার কোটি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানের জন্য পিকেএসএফের মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ অর্থ সরাসরি সরকারিভাবে বাজেট থেকে দেয়া হবে। এর বাইরে করোনার প্রকোপ দেশে শুরু হলে জরুরি ভিত্তিতে ৫২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ওই অর্থে অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসামগ্রী আমদানি করা হয়। করোনা মহামারীতে দায়িত্ব পালনকালে মারা যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর বাইরে অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব মোকাবেলার জন্য প্রণোদনা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আরও এক লাখ চার হাজার কোটি টাকা রেখেছে।