Originally posted in বণিকবার্তা on 6 August 2025
২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এমন ধরনের গণতন্ত্র যাতে আবার নতুন করে স্বৈরতন্ত্র আসতে না পারে। সেজন্য অন্য অভ্যুত্থানের চেয়ে ছাত্রদের এ গণ-অভ্যুত্থানটি ভিন্ন। এবার সামগ্রিক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভ্যুত্থানের যে চিন্তাচেতনা সেটি আমাদের মূলধারার রাজনীতিকে কীভাবে পরিবর্তন করবে এবং রাজনীতি এটিকে কীভাবে ধারণ করবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। সেটি দেখার অপেক্ষায় আমরা আছি এবং নির্বাচন সেটির সুযোগ করে দেবে বলে ভরসা রাখি। আমরা বৈষম্যবিরোধিতার কথা বলেছি। বৈষম্য নিরসনে যতটুকু দরকার হয়তো ততখানি করতে পারেনি। সেজন্যই আমরা বলছি মূলধারার রাজনীতিতে এটিকে ফেরত নিয়ে আসতে হবে। নতুন রাজনৈতিক শক্তিকে মূলধারার রাজনীতিতে একত্র করে দেখতে হবে তারা তাতে কীভাবে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের সেই সুযোগ আসবে।
এ সরকারকে অনেক ক্ষেত্রেই ফায়ার ফাইটিং করতে হয়েছে। যেসব দুর্যোগকে উত্তরাধিকার সূত্রে তারা পেয়েছে, সেগুলো মোকাবেলা করতে তাদের অনেক সময় দিতে হয়েছে। এজন্য হয়তো পুরো জিনিসটা (সংস্কার) এখনো হয়নি। আর পুরো জিনিসিটা তারা করতে পারবেও না। কারণ এ সরকারের সেই অর্থে রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক ভিত্তি নিয়ে (নির্বাচিত সরকারকে) বাকি সংস্কারগুলো শেষ করতে হবে। সেগুলোকে নির্বাচনী ইশতেহার এবং নির্বাচনী বিতর্কের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো