Published in কালের কন্ঠ on Tuesday, 20 February 2018
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কোটি ডলার রপ্তানির একটি লক্ষ্যমাত্রার কথা শুনছি। যেটা সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা আছে, সেটা উল্লেখ করছে উদ্যোক্তারা। কিন্তু আমরা উদ্যোক্তাদের মুখ থেকে শুনতে চাই, তারা ১০ বা ১৫ বছর পর এই খাতকে কোথায় দেখতে চায়। আমরা অনেক ছোট ছোট সমস্যার কথা শুনে আসছি এই খাতে, বিক্ষিপ্তভাবে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে সেই ব্র্যান্ড ইমেজ গড়ে তোলার জন্য যা যা করণীয়, সেই জায়গাগুলোতে সামগ্রিকভাবে লক্ষপাত করা দরকার।
এই খাতের বেশির ভাগ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে। সরাসরি প্রথম পক্ষের ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারছি না। সুতরাং এখানে সেই মানটি গড়ে তুলতে হবে, যাতে এখানে বড় বড় ব্র্যান্ড আসে, বড় বড় রিটেইলার আসে। আমরা হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোর অনেক সমালোচনা করেছি। সাভারে স্থানান্তরের কথা বলেছি। ট্যানারি মালিকরা বলেছে, সাভারে সব কিছু প্রস্তুত হয়নি। তখনো আমরা ট্যানারি মালিকদের বলেছি, আপনারা আগে সেখানে যান, তারপর সরকারকে চাপ দিন। এখন আমরা বলতে চাই, এখন দায় সরকারের। এখন কেন সব কিছু প্রস্তুত না? কেন এখন শুনতে হচ্ছে যে কঠিন বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা ওই প্রকল্পের মধ্যে ছিল না। সর্বশেষ কথাটি হলো, ২০২৪ সালের পর বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবে। তখন আমরা পরিবেশসম্মতভাবে পণ্য উৎপাদন করছি কি না, তা জানতে চাইবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ক্রেতারা।
অথচ এই সময়ে চামড়াশিল্পের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। কেননা চীনের থেকে বাজার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।