Published in মানব জমিন on 10 November 2020
জো বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কি ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বিদায়ী মার্কিন প্রশাসন এবং তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ডনাল্ড ট্রাম্প বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ছিলেন। বিশেষ করে তিনি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিরোধ নিষ্পত্তি কাঠামোকে অচল করে দিয়েছিলেন। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ বিষয়গুলো থেকে সরে এসে বৈশ্যিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্রাচার্য মানবজমিনকে বলেন, বিদায়ী মার্কিন প্রসাশন এবং তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ভীষণভাবে বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিলেন। তবে নতুন প্রশাসন বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় ফিরে আসবে বলে মনে করি। তিনি (ডনাল্ড ট্রাম্প) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তুলে নিয়েছিলেন। তিনি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিলেন। বিশেষ করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার যে বিরোধ নিষ্পত্তি কাঠামো ছিলো সেটাকে অচল করে দিয়েছিলেন।
জো বাইডেন এসব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন দেবপ্রিয়।
খ্যাতিমান এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে জলবায়ু উষ্ণায়নে প্যারিস চুক্তি করেছিল, সেটাতে ফিরে যাবে আশা করি। এছাড়া ইরানের সঙ্গে যে পরমাণু চুক্তি সেটাতেও ফিরে যাবে বলে আশা করি। মধ্যপ্রাচ্যেও কিছু ইতিবাচক পরির্বতন আসবে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামগ্রিকভাবে, নতুনভাবে, যৌথভাবে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে ফিরে আনতে নতুন প্রশাসন বড় ধরনের সম্ভাবনাময় ভূমিকায় আসবে। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা আদৌ কোন চিন্তা করে কি-না আমার জানা নাই। তাদের হয়তো বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা করার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। যদি কেউ কিছু বলেন সেটা অনুমান করে বলে থাকতে পারেন, সেটা আমার বলা উচিত নয়। তবে বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থায় ফিরে এলে বাংলাদেশের মতো যেসব নিম্ন আয়ের দেশ- তাদের জন্য, দুর্বল দেশগুলোর জন্য এটা অনেক উপকার হবে। কারণ আমরা বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার ভেতরে উপকারি, আধিপত্যবাদীর ভেতরে নয়।