নতুন ভ্যাট আইন: চ্যালেঞ্জ ও করণীয় – তৌফিকুল ইসলাম খান

Published in প্রথম আলো on Wednesday, 31 May 2017

Towfiqul-islam

তৌফিকুল ইসলাম খান: ২০১২ সালে নতুন ভ্যাট আইন প্রণয়নের পর এই সময়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। উভয় পক্ষই কাছাকাছি এসেছে। তবে সম্পূরক শুল্কের ব্যাপারটা এখনো পরিষ্কার হয়নি। ভ্যাটের হার নিয়ে আমাদের দ্বিমত আছে। আশপাশের দেশের তুলনায় আমাদের ভ্যাটের গড় হার কিছুটা বেশি। তাই আমরা এটা কমানোর কথা বলেছি।

ভ্যাট কমালে সরকারের রাজস্বপ্রাপ্তি কমে যাবে। আমরা কীভাবে এটা পুষিয়ে নেব? আমাদের ভ্যাটের আওতা বাড়ছে, তার মাধ্যমে সংগ্রহ বাড়তে পারে, আবার প্রশাসনিক দক্ষতার ওপর এটা নির্ভর করছে। অর্থাৎ, আমরা কতটা দক্ষতার সঙ্গে ভ্যাট সংগ্রহ করতে পারি, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।

আরেকটি ব্যাপার জানতে পারলাম, কিছু পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ছে। তবে পত্রিকার খবরে এটা পরিষ্কার হলো না, আমদানি নাকি স্থানীয় পর্যায়ে এটা বাড়ছে। তামাকের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ছে, এটা নিয়ে আমাদের কারও কথা নেই। কিন্তু জ্বালানি তেলের ওপরও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব আছে। তাহলে তো সরকার আবার পুরোনো জায়গায় যাবে। তখন সরকারকে আবার ভর্তুকি দিতে হবে।

মোবাইল ফোনের ওপর সম্পূরক শুল্ক বসবে। এমনিতেই কলের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আছে। মনে রাখা দরকার, মোবাইল ফোন এখন আর বড়লোকের জিনিস নয়। এটা এখন প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে গেছে। বিদ্যুতের ব্যাপারে  ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে; তবে এটা এমআরপি হিসেবে সরকারের কাছ থেকে আসবে কি না, তার নিশ্চয়তা লাগবে।

বড় সমস্যা হচ্ছে, কার টার্নওভার ৩০ লাখ, কার ৮০ লাখ, এটা কে নির্ধারণ করবে? এতে এফবিসিসিআইয়ের বড় ভূমিকা পালন করার সুযোগ আছে। সব জায়গায় ইসিআর ও পিওএস ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে ভালো। কারণ, আমরা ভোক্তারা ভ্যাট দিলাম, অথচ সরকারের কোষাগারে তা জমা পড়ল না, এটা হতে পারে না। এই যন্ত্রগুলো ঠিক কি না, তা আমরা কীভাবে বুঝব, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।