Originally posted in বাংলাদেশ প্রতিদিন on 26 January 2023
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, যেসব বিলাসী পণ্য আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলো অবশ্যই নিরুৎসাহ করতে হবে। কারণ আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার পাশাপাশি আমদানি সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিলাসী পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখতে হবে, যাতে খুব বেশি এসেনশিয়াল নয় এমন পণ্য না আসে। একই সঙ্গে সরকার যেসব পণ্য আমদানি বাতিল করেছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানির বিপরীতে শতভাগ এলসি মার্জিন আরোপ করেছে, সেটিও চলমান রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য সরকারের উদ্যোগ অবশ্যই মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখতে হবে। বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য সরকার যেসব পলিসি নিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের রিজার্ভ কমে যাওয়ার পাশাপাশি আমদানি সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। যেসব বিলাসী পণ্য আসছে সেগুলো অবশ্যই নিরুৎসাহিত করতে হবে। ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথমত সরকার কিছু বিলাসী পণ্য আমদানি বাতিল করেছে। আর কিছু পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে। মানে পদক্ষেপ নিয়েছে। এর পরও যেটুকু আমদানি হচ্ছে সেটি গত বছরের তুলনায় অনেক কমে গেছে। এর মানে সরকারের উদ্যোগ কাজে লাগছে। সেটি কিন্তু দেখা যাচ্ছে। এর পরও অবশ্যই মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখতে হবে। সরকার চাইলেও একসঙ্গে সবগুলো বিলাসী পণ্য আমদানি বাতিল করতে পারছে না। তবে এসব পণ্য আমদানির আগে যাচাই-বাছাই করতে হবে।