Originally posted in বণিক বার্তা on 1 March 2022
দুই দশকে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের আকার বেড়েছে ১৩৪১ শতাংশ
উন্নত অর্থনীতির পথে অগ্রযাত্রার অন্যতম বড় পূর্বশর্ত হলো ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদনমুখী শিল্প খাত বড় হতে হতে কৃষিকে ছাড়িয়ে যাওয়া। এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতিগুলো এভাবেই আজকের অবস্থানে এসেছে। একই পথে হাঁটছে বাংলাদেশও। দ্রুতগতিতে আকার বাড়ছে দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যানের বিশ্লেষণে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের আকার বেড়েছে ১ হাজার ৩৪১ শতাংশেরও বেশি।
গত দুই দশকে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের আয়তনে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। অর্থনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে খাতটি। এর পেছনে কৃতিত্ব দেয়া হয় মূলত পোশাক খাতকে। গত দুই দশকে খাতটির বিকাশ হয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। আবার একই সঙ্গে গড়ে উঠেছে পোশাকবহির্ভূত অন্যান্য ভারী শিল্পও। ভৌত অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে শিল্প খাত।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দুই দশক আগে ২০০১-০২ অর্থবছরে দেশের উৎপাদনমুখী শিল্পের মোট উৎপাদনের আকার ছিল ৯০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট উৎপাদন ১১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের প্রক্ষেপণ হলো শিল্প খাতে মোট উৎপাদনের পরিমাণ এখন ১৩ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সে হিসেবে গত দুই দশকে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের আকার বেড়েছে অন্তত ১ হাজার ৩৪১ শতাংশ।
এখনো দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং খাত দাঁড়িয়ে আছে মূলত পোশাক শিল্পের ওপর ভর দিয়ে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় শিল্পোদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আসছে। খাদ্য-পানীয়-তামাক, ইস্পাত, সিমেন্ট শিল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে। পোশাকের পাশাপাশি সম্প্রসারিত হচ্ছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যার, কাঠ ও কাঠজাত পণ্য, ভোজ্যতেল, রাসায়নিক, প্লাস্টিক পণ্য, গ্লাস, স্টিল, সাধারণ ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র এবং পরিবহন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ উৎপাদন কার্যক্রমও।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্কয়ার গ্রুপের যাত্রা হয় ১৯৫৮ সালে। বর্তমানে ওষুধ শিল্পের পাশাপাশি বস্ত্র খাত, টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদনসহ নানামুখী ব্যবসা রয়েছে গ্রুপটির। শূন্য থেকে শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় প্রজন্মের হাত ধরে আরো বড় হচ্ছে। স্থানীয় বাজারনির্ভর শিল্প থেকে এখন স্কয়ারের বিনিয়োগ রয়েছে দেশের বাইরেও। গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের।
জানতে চাইলে স্কয়ার গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা তপন চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, গত দুই দশকে অর্থনীতির রূপান্তরে মূল ভূমিকা ছিল উৎপাদনমুখী শিল্পের। এ সময়ে উৎপাদনমুখী খাত শুধু বড় হয়নি, বৈচিত্র্যও এসেছে। শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। রফতানির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব শিল্পের ভূমিকা বড় হয়েছে। সব মিলিয়ে উৎপাদনমুখী শিল্পের আকার অনেক বড় হয়েছে। উদ্যোক্তারা ক্রমেই বিনিয়োগের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে চলেছেন। তাদের শিল্পোদ্যোগগুলোকে সফল করতে সহায়তা করেছে সরকারের নীতি। যেমন গ্যাস-বিদ্যুতের মতো অবকাঠামোয় সরকারের সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যদিও এখন জ্বালানি নিয়ে অনিশ্চয়তার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আবার করের কাঠামোগত জটিলতার পাশাপাশি আছে করের চাপ। এ বিষয়গুলোর দিকে নজর দিলে উৎপাদনমুখী শিল্প অর্থনীতিকে আরো অনেক সমৃদ্ধ হওয়ার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের টেকসই ক্রমবিকাশ নিশ্চিত করতে বৃহদায়তনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, উৎপাদন খাতে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) রয়েছে, যাদের অবদান অর্থনীতিতে দৃশ্যমান হচ্ছে না। অর্থনীতি রূপান্তরে ভূমিকা থাকলেও তাদের বেশির ভাগই অপ্রাতিষ্ঠানিক, যা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের টেকসই বিকাশের পথে বড় অন্তরায় হয়ে উঠেছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে এসএমইগুলোর অবদান অনেক বেশি হলেও তা দৃশ্যমান হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বড় একটি অংশ এখনো অপ্রাতিষ্ঠানিক রয়ে গেছে। একটি বড় কোম্পানি ব্যাংকের সঙ্গে সুদহার নিয়ে সমঝোতা করতে পারে, ছোট কোম্পানি সে সুযোগ পায় না। অথচ তারাও উৎপাদন করছে, অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। ব্যাংক সহযোগিতাসহ এসএমইগুলোর সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে সরকারের রাজস্ব আহরণের পরিসরও অনেক প্রসারিত হতো।
বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশের মোট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বৃহৎ শিল্পসংশ্লিষ্ট। আবার এসব শিল্পই মোট বেতন-মজুরি ও অন্যান্য ভাতার মধ্যে ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশ পরিশোধ করছে। শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাড়ে ৫০ শতাংশই ছোট প্রতিষ্ঠান। যদিও মোট মজুরিতে এসব প্রতিষ্ঠানের অবদান মাত্র ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া মোট বেতন-ভাতায় মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সাড়ে ৮ শতাংশ ও ক্ষুদ্রায়তনের প্রতিষ্ঠানগুলো সাড়ে ৩ শতাংশ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বণিক বার্তাকে বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রবৃদ্ধির অধিকাংশই মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের। এসএমই বা ক্ষুদ্র-মাঝারির অবদান ততটা বেশি না। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে প্রাধান্য বেশি মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের। এ কারণে আমাদের সংগঠন থেকে বারবার বলা হচ্ছে ক্ষুদ্র-মাঝারিদের বিষয়ে মনোযোগী হতে। বাংলাদেশে বড় শিল্পগুলোর ধরন বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, শুধু একটি শিল্পের সাপ্লাই চেইনের পর্যায়গুলোয় সব ধরনের উৎপাদন সক্ষমতা গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের বড় শিল্পের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা তুলা থেকে সুতা তৈরির স্পিনিংয়ের কাজ করছে, তারা শুধু স্পিনিংই করছে। যারা উইভিং করে, তারা শুধু উইভিংই করছে। বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ধরনটা ভিন্নভাবে বড় কনগ্লোমারেটদের হাতে চলে গেছে। এর অন্যতম কারণ হলো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে টিকে থাকার যে নীতিসহায়তা সেটা নিশ্চিত করা যায়নি। এটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এটা না হলে একজনের হাতে সব চলে যাচ্ছে।
স্থায়ী সম্পদের পরিমাণের দিক থেকেও বড় শিল্পগুলো এগিয়ে। উৎপাদনমুখী শিল্পের মোট স্থায়ী সম্পদের ৭০ শতাংশই বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর দখলে। এর পরের অবস্থান ছোট শিল্পগুলোর। শিল্প খাতের মোট সম্পদে ছোট শিল্পগুলোর অংশ ১৪ শতাংশ। মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে তা ১২ শতাংশ। অন্যদিকে ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অধীনে স্থায়ী সম্পদ রয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ।
দেশের বেসরকারি খাতে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করে ব্যাংক খাতের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বণিক বার্তাকে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে বেসরকারি খাত মূল ভূমিকা পালন করেছে। যেসব খাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলোয়ও বেসরকারি খাত সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে। আর ইসলামী ব্যাংক দেশের প্রতিটি খাতে বিনিয়োগ সহযোগী হিসেবে উদ্যোক্তাদের পাশে থেকেছে। তৈরি পোশাক খাত থেকে শুরু করে দেশের ছোট-বড় সব শিল্পের উল্লেখযোগ্য অংশ আমাদের ব্যাংকের অর্থায়নে বেড়ে উঠেছে। বেসরকারি খাতের সমৃদ্ধির প্রতিটি ধাপে ইসলামী ব্যাংক গর্বিত অংশীদার।
উৎপাদনমুখী শিল্পের নিট স্থায়ী সম্পদের মধ্যে মেশিনারি ও যন্ত্রপাতির পরিমাণই বেশি, ৪৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। এর পরই ভূমি ও ভূমি উন্নয়নমূলক সম্পদের অবস্থান, ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। অবকাঠামো রয়েছে ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং অন্যান্য সম্পদ ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের জিডিপি অনেক বেড়েছে। এখন মাসে রফতানি হচ্ছে ৫ বিলিয়ন ডলারের, আবার প্রতি মাসে আমদানি হচ্ছে ৬-৭ বিলিয়ন ডলারের। এটা প্রমাণ করে যে এখানে শিল্পের মতো ভোগের বড় ক্ষেত্র রয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্থানীয় কাঁচামালের সিংহভাগই ব্যবহার করে কুটির শিল্প, যার হার ৯৩ শতাংশ। ছোট শিল্পগুলোর ব্যবহারের হার ৮২ দশমিক ৮ শতাংশ। ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে মাঝারি শিল্প। বড় শিল্পগুলোর ব্যবহারের হার ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিদেশী কাঁচামাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ দৃশ্য সম্পূর্ণ বিপরীত। উৎপাদনে বিদেশী কাঁচামালনির্ভরতা সবচেয়ে বেশি বড়দের, ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ। মাঝারি শিল্পগুলোর ক্ষেত্রে এ হার ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া উৎপাদনে ছোট শিল্পগুলোর ১৫ দশমিক ১ শতাংশ ও ক্ষুদ্র শিল্পগুলোর ৬ দশমিক ২ শতাংশ নির্ভরতা রয়েছে।
মোট উৎপাদনে বৃহৎ শিল্পগুলোর অবদান সবচেয়ে বেশি, যার হার ৬০ শতাংশ। এর পরই সবচেয়ে বেশি অবদান ছোট শিল্পগুলোর, যার হার ২৪ শতাংশ। আর মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের যথাক্রমে ১২ ও ৪ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আকর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক অর্থনীতির কাঠামো পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সামগ্রিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এর মাধ্যমে শিল্পের গুণগত পরিবর্তন—যেমন ভ্যালু চেইন উন্নয়ন হওয়া, সাপ্লাই চেইন শক্তিশালী হওয়ার মতো বিষয়গুলো ঘটেনি। এ কারণে এ প্রবৃদ্ধিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক বলা চলে না। বৃহৎ শিল্পগুলো গোটা সাপ্লাই চেইন তৈরি করে নিতে পারছে। ছোট আকারের প্রতিষ্ঠানগুলো নানা কারণে বড়দের পাশাপাশি অংশগ্রহণে যেতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়ে টিকে থাকতে পারছে না।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বণিক বার্তাকে বলেন, আমাদের জন্য প্রবৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রবৃদ্ধির গুণগত মানের দিকে নজর দেয়ার প্রয়োজন তৈরি হয়েছে, যা করতে পারলে অর্থনীতিতে ছোট আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হবে। এখনো সুনির্দিষ্ট কিছু খাতের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা বেশি। এক্ষেত্রে তেমন বড় পরিবর্তন এখনো আসেনি। এটাও গুণগত দুর্বলতা। ফলে প্রবৃদ্ধি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না। অধিকাংশ শিল্প এখনো বৈশ্বিক বাজারের জন্য প্রস্তুত না। বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার মতো শিল্প যে আমরা গড়ে তুলতে পারছি না, এটাও বড় দুর্বলতা। এছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শিল্পের উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে বিদেশী বিনিয়োগের অবদান কম। যদিও বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানো, প্রযুক্তির খুঁটিনাটি বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে। এসব জায়গায় বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করা গেলে ক্ষুদ্র-মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সহজ হতে পারে বলে আমি মনে করি। আগামী দিনগুলোয় স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগকে আকর্ষণ করা দরকার।