Originally posted in কালবেলা on 9 September 2024
অন্তর্বর্তী সরকারের আগামী এক মাস কেমন চাই
আর্থিক খাতে বেশকিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যে তারা নিয়েছেন। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়েছে। ব্যাংক খাতের উন্নয়নে তিনটি টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে আলাদা একটি টাস্কফোর্স গঠনের কথাও বলা হয়েছে। তবে এসব টাস্কফোর্স কাদের নিয়ে গঠিত হবে এবং এর কাজ কী হবে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। এসব উদ্যোগ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নিতে হবে। এ ছাড়া খেলাপি ঋণের বিষয়েও একটা উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে ইচ্ছাকৃত
খেলাপিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। খেলাপি ঋণের এত বড় বোঝা নিয়ে ব্যাংকিং খাত ভালোভাবে চলতে পারবে না। সেইসঙ্গে সম্পদ পুনরুদ্ধারে আলাদা কমিটি করতে পারেন। দেশ থেকে যে অর্থ পাচার হয়ে গেছে, সেটা ফেরত আনতে বেশ কিছু উদ্যোগের কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন আমাদের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে অর্থ পাচারের যেসব কেস আছে, সেগুলোকে কেস বাই কেস বিবেচনা করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন। আর আর্থিক খাতের সংস্কারে যেসব আইন পরিবর্তন করা দরকার, সেগুলোও করতে হবে। যেমন বর্তমান সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, এক পরিবার থেকে পরিচালকের সংখ্যা চার থেকে তিনে নামানো হলেও ব্যাংক পরিচালকদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালকদের মেয়াদ ৯ থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়েছে। এটি সংশোধন করা দরকার। সেইসঙ্গে ব্যাংকের পর্ষদে কারা থাকতে পারবেন, সেই বিষয়ে আরও কঠোর দিকনির্দেশনা আসা দরকার। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করতে হবে। আইন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যেগুলো সংসদে পাস করতে হবে, সেগুলো হয়তো তারা পারবে না। তবে যেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায়, সেগুলো তারা শুরু করতে পারেন। আর যেগুলো সংসদে পাস করতে হবে, সেগুলোরও প্রাথমিক কাজটা তারা শুরু করতে পারেন। যাতে পরবর্তীতে যেই সরকারই আসুক, তারা যেন অবশ্যই সেগুলো সংসদের মাধ্যমে পরিবর্তন করে।