Originally posted in বনিক বার্তা on 22 June 2024
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গত কয়েক বছরে বেশ ঘনিষ্ঠ হয়েছে। তবে সেটিকে আরো কার্যকরভাবে উইন-উইন সিচুয়েশনে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমি মনে করি। ভারতের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ গভীর। আমাদের যে তিনটি লাইন অব ক্রেডিট হয়েছে, সেগুলো কীভাবে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারি, সেদিকে মনোযোগ থাকবে। চতুর্থ কোনো লাইন অব ক্রেডিটও হতে পারে। আমাদের অবকাঠামোগত কিংবা দ্বিপক্ষীয় অনেক কানেক্টিভিটির দরকার আছে, সে রকমও চিন্তা করা যেতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে অর্থছাড় কিংবা শর্তগুলো যাতে আমাদের অনুকূলে থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
আমাদের পানি বণ্টনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনার আশা করছি। ফারাক্কা পানি বণ্টন চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হচ্ছে। সেটারও আলাপ-আলোচনা শুরু হওয়ার হয়তো কিছুটা ইঙ্গিত পাব। তিস্তার পানি নিয়ে ভারতের কাছে আমাদের কিছু প্রত্যাশা আছে, আশা করি সে ব্যাপারে কিছু অগ্রগতি হবে।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছে। এলডিসি স্কিম আরো কিছুদিন প্রলম্বিত করার জন্য যে আহ্বান জানানো হয়েছে, সে প্রসঙ্গও হয়তো বাংলাদেশ তুলতে পারে। সেটির প্রস্তুতি হিসেবে দ্বিপক্ষীয় কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপের আলোচনা হতে পারে। মাল্টি মোডাল কানেক্টিভিটিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে আরো বিনিয়োগ আনা যায়, সে ব্যাপারেও আলোচনা হতে পারে। বিশেষ করে আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় কীভাবে ভারতের বাজার সুবিধা নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আকর্ষণ করা যায়, সে ব্যাপারেও হয়তো কিছু দিকনির্দেশনা থাকতে পারে।
– অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মাননীয় ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)