Originally posted in Ajker Patrika on 28 December 2023
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে এসেছে। দরিদ্ররা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে গেছে। অনেকেই খাবারে কাটছাঁট করছে।
আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা আছে। বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কারসাজি আছে, সিন্ডিকেশন আছে। এর বিপরীতে সরকার থেকে যে নীতিমালা নেওয়া হয়েছিল, তা পর্যাপ্ত নয়। ঠিক সময়ে মুদ্রানীতি ব্যবহার করা হয়নি। একদিকে মুদ্রানীতি ব্যবহার করতে না পারা, আরেক দিকে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, সব মিলিয়ে আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে এসেছে। দরিদ্ররা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে গেছে। অনেকেই খাবারে কাটছাঁট করছে।
আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা আছে। বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কারসাজি আছে, সিন্ডিকেশন আছে। এর বিপরীতে সরকার থেকে যে নীতিমালা নেওয়া হয়েছিল, তা পর্যাপ্ত নয়। ঠিক সময়ে মুদ্রানীতি ব্যবহার করা হয়নি। একদিকে মুদ্রানীতি ব্যবহার করতে না পারা, আরেক দিকে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, সব মিলিয়ে আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছি।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটা বিষয় হলো, বাজারে যথেষ্ট সরবরাহ আছে কি না। সরবরাহ থাকার পরও মূল্যবৃদ্ধির মানে হলো, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে মুনাফাখোররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং এবং বাজার ব্যবস্থাপনা আমরা করতে পারছি না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আছে, প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, সব প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা আরও কার্যকর করতে হবে।
এবার আমরা দেখেছি, বেশ কিছু পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। মূল্য নির্ধারণ করে কোনো লাভ নেই। তাতে দেখা যায়, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ওপরে প্রভাব পড়ে। তারা তো মূল্য বাড়ায় না। তারা নিজেরাই কারও কাছ থেকে পণ্য কিনে এনে বিক্রি করে। যারা পণ্য আমদানি করে, যারা উৎপাদন করে, যারা মধ্যস্বত্বভোগী, বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আগামী দিনগুলোতে সুদের হার বাড়াতে হবে। সুদের হার বাড়ানোর অর্থ হচ্ছে, মানুষের হাতে অর্থ কম হবে, বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমবে। পাশাপাশি বাজার পর্যবেক্ষণ এবং বাজার ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। ব্যয় সংকোচনেরও পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের ব্যয়, বিশেষ করে সরকারের পরিচালন ব্যয়, প্রশাসনিক ব্যয়, এসব ব্যয় সংকোচন করতে হবে। মুদ্রানীতি এবং রাজস্বনীতি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দুটির মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। অন্যথায় মূল্যস্ফীতি কমানোর ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে না।