Originally posted in খবরের কাগজ on 20 April 2024
বাংলাদেশ ও অন্যান্য উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশের জন্য দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বাজারসুবিধা সম্প্রসারণের একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এখানে উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (এভরিথিং বাট আর্মস বা ইবিএ) ও যুক্তরাজ্য (ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম বা ডিসিটিএস) তাদের স্ব স্ব এলডিসি স্কিমের মেয়াদকাল উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য উত্তরণ-পরবর্তী আরও তিন বছর বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাজার সুবিধা-সম্পর্কিত আলোচনায় এটা একটা মানবিন্দু (রেফারেন্স পয়েন্ট) হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশকে এখন দ্বিপক্ষীয়ভাবে কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারতসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে এমসি-১৩-এর সিদ্ধান্তের আলোকে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।…
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন (২৬ ফেব্রুয়ারি-১ মার্চ ২০২৪) ছিল বাংলাদেশের জন্য আলাদাভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ নভেম্বর ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে স্বল্পোন্নতবহির্ভূত উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। বাংলাদেশকে একদিকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সংহতি রাখতে হয়েছে; একই সঙ্গে উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে নিজস্ব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হয়েছে। অন্যদিকে নিকট ভবিষ্যতের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও ইস্যুগুলোকেও বিবেচনায় রাখতে হয়েছে। সম্মেলনে নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় যে, এবারের এমসি-১৩-তে বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিদলের প্রস্তুতি ছিল বেশ ভালো। এ ধরনের সম্মেলনের ক্ষেত্রে প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সব সময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশের জেনেভার মিশন জেনেভায় এমসি-১২ ও এমসি-১৩-এর মধ্যবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে এবং তার সুফল আবুধাবিতে দেখা গেছে। এমসি-১৩-তে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের নেতৃত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনপ্রধান ও অন্য সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারি ডেলিগেশন আবুধাবিতে গ্রিনরুম (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাভুক্ত সীমিতসংখ্যক দেশের অংশগ্রহণমূলক আলোচনা) ও সাধারণ আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় মতবিনিময়ের বিভিন্ন সুযোগকেও কাজে লাগিয়েছে। ফলে সর্বক্ষেত্রে সম্ভব না হলেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলো বাংলাদেশের অনুকূলে এসেছে, যা সম্মেলন শেষে এমসি-১৩-এর মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণায় প্রতিফলিত হয়েছে।
বাংলাদেশের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় ছিল বেশ কয়েকটি- ক. শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত বাজারসুবিধার প্রসারণ, খ. স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে প্রদেয় অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহায়তা কার্যক্রমের সময়-নির্দিষ্ট প্রসারণ, গ. মৎস্য খাতের ভর্তুকির আলোচনায় উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য সময়-নির্দিষ্ট বিশেষ সুবিধা, ঘ. বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারবিষয়ক আলোচনায় বহুপক্ষীয় বাণিজ্যব্যবস্থায় স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থের নিশ্চয়তা বিধান।
এর বাইরে সরকারি খাদ্য সংগ্রহে প্রদত্ত কৃষি ভর্তুকিকে কৃষি খাতে প্রদত্ত ভর্তুকির সর্বোচ্চ হিসাবের (যা কৃষি জিডিপির ১০ শতাংশের সমপরিমাণ) বাইরে রাখা, ই-কমার্সের ওপর ১৯৯৮ সাল থেকে প্রচলিত শুল্ক নিষেধাজ্ঞার সমাপ্তি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রাতিষ্ঠনিক প্ল্যাটফর্মের বাইরে অনুষ্ঠিত বহুপক্ষীয় আলোচনায় অংশগ্রহণ করার বিষয়ে অবস্থান নির্ধারণ ইত্যাদি।
উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধার প্রসারণ। এ বিষয়ে অবশ্য ২৩ অক্টোবর ২০২৩-এ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ অধিবেশনে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, যা এমসি-১৩-তে অনুমোদিত হয়। এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য- প্রথমত, সিদ্ধান্তটি ‘বেস্ট এনডিয়েভার’ (সেরা প্রচেষ্টা) আকারে গৃহীত হয়েছে, অর্থাৎ এটা মেন্ডেটরি বা বাধ্যতামূলক নয়, বরং সদস্যদের সদিচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এ ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট সময়ের কথা বলা হয়নি, যদিও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর এ-সংক্রান্ত প্রথম প্রস্তাবে ১২ বছরের কথা বলা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ৬-৯ বছরে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। তৃতীয়ত, প্রস্তাবটি কেবল সেই সব দেশের জন্য প্রযোজ্য, যাদের স্বল্পোন্নত দেশ-নির্দিষ্ট বাজারসুবিধা স্কিম আছে। উদাহরণস্বরূপ, যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কোনো স্কিম নেই, সিদ্ধান্তটি সে দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশের জন্য দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বাজারসুবিধা সম্প্রসারণের একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এখানে উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (এভরিথিং বাট আর্মস বা ইবিএ) ও যুক্তরাজ্য (ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম বা ডিসিটিএস) তাদের স্ব স্ব এলডিসি স্কিমের মেয়াদকাল উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য উত্তরণ-পরবর্তী আরও তিন বছর বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাজারসুবিধা-সম্পর্কিত আলোচনায় এটা একটা মানবিন্দু (রেফারেন্স পয়েন্ট) হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশকে এখন দ্বিপক্ষীয়ভাবে কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারতসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে এমসি-১৩-এর সিদ্ধান্তের আলোকে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। এমসি-১৩-তে এ সিদ্ধান্তও হয়েছে যে, উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে কারিগরি সহায়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক সাহায্য উত্তরণ পরবর্তী সময়ে আরও তিন বছরের জন্য প্রদান করা হবে।
স্বল্পোন্নত দেশগুলো এর বাইরে যেসব সুবিধা ভোগ করে সেগুলোও যাতে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে তারা বাড়তি সময়ের জন্য ভোগ করতে পারে এমন একটি প্রস্তাবও রাখা হয়েছিল উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশের স্বার্থ বিচেনায় রেখে। এ সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এমসি-১৩-এ গৃহীত হয়নি। মেধাস্বত্ব অধিকার, ওষুধ রপ্তানিতে ভর্তুকি প্রদান ইত্যাদি ইস্যুতে বাড়তি সময় সুবিধা ভোগ করতে সমর্থ হলে উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশ উপকৃত হতো। এমসি-১৩-এর সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, এ সম্বন্ধীয় আলাপ-আলাচেনা জেনেভায় অব্যাহত থাকবে এবং এমসি-১৪-তে এ বিষয়ে আলোচনার ফলাফল উপস্থাপন করা হবে। জেনেভায় বাংলাদেশ মিশন নিশ্চয়ই এমসি-১৩ পরবর্তী আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের (তথাকথিত এনেক্স ২ প্রস্তাব) পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
কৃষি খাতসংক্রান্ত ‘পিস ক্লজ’-এর আলোচনায় বেশ বড় ধরনের মতপার্থক্য থেকে যায়, যার কারণে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি। ভারতের প্রদেয় কৃষি খাতের ভর্তুকি ১০ শতাংশ সীমা অতিক্রম করে যদি সরকারি খাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভর্তুকি এ হিসাবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়; ভারতের যুক্তি ছিল এ ভর্তুকি ‘গ্রিন সাবসিডি’র অনুরূপ, যেহেতু এর লক্ষ্য হলো প্রান্তিক মানুষের জন্য খাদ্যসহায়তা। কিছু দেশ এর বিরোধিতা করে এই যুক্তি দিয়ে যে, এই খাদ্যের একটি অংশ ভারত আবার রপ্তানিও করে। ভারতের দাবি ছিল ‘পিস ক্লজ’-কে চিরস্থায়ী করা। অন্য কয়েকটি দেশের অবস্থান ছিল এ-সংক্রান্ত আলোচনা কৃষি খাতবিষয়ক বৃহত্তর পরিসরের আলোচনার অংশ হতে হবে। শেষ অবধি দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছান সম্ভব হয়নি।
ই-কমার্সের ওপর শুল্কারোপে যে নিষেধাজ্ঞা ১৯৯৮ সাল থেকে বর্তমান, সে বিষয়ে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশের অবস্থান ছিল। এতে ই-পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারক উন্নত দেশগুলোই লাভবান হচ্ছে; আর আমদানিকারক উন্নয়নশীল দেশগুলো শুল্ক আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এক অর্থে এই যুক্তি প্রযোজ্য। সিপিডির গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার এ নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার শুল্ক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ই-কমার্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্য কিছুটা মিশ্র। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রক্ষণাত্মক স্বার্থ (ডিফেন্সিভ ইন্টারেস্ট) যেমন আছে, তেমনি আছে আক্রমণাত্মক স্বার্থ (অফেন্সিভ ইন্টারেস্ট)। তার কারণ বাংলাদেশ সেবা খাতে রপ্তানিও করে থাকে এবং নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে গন্তব্য দেশগুলো রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করবে, যা এসব রপ্তানির প্রতিযোগিতা সক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আবুধাবিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যদি পরবর্তী আলোচনায় অগ্রগতি না হয় তাহলে ৩১ মার্চ ২০২৬ বা এমসি-১৪-এ দুটির মধ্যে যেটিই আগে আসবে সেই তারিখ থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রপ্তানির ওপর কোনো শুল্ক বসবে না (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য), এমন একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে বাংলাদেশের জন্য তা ইতিবাচক হবে।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন আলোচনায় ধারাবাহিতভাবে উদ্যোগী ও অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতে এ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে উত্তরণকালীন স্বল্পোন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থও বিবেচনায় রাখতে হবে। বাংলাদেশ সরকার টেকসই উত্তরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে, যার অধীনে সাতটি উপকমিটি কাজ করে যাচ্ছে। ‘স্মুথ গ্র্যাজুয়েশন’-এর লক্ষ্যে এসব সাবকমিটি অনেক সুনির্দিষ্ট পরামর্শও প্রণয়ন করেছে। লক্ষ্য ও সময় নির্দিষ্টভাবে এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অধীনে উন্নয়নশীল সদস্যদেশকে যেসব বিশেষ ও বিভাজিত (স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল) সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং উত্তরণশীল স্বল্পোন্নত দেশের ক্ষেত্রে যেসব বিদ্যমান সুবিধা আছে (যেমন- টেকনোলজি ব্যাংক এবং বাণিজ্যের জন্য সহায়তা ফান্ড থেকে উত্তরণ-পরবর্তী আরও পাঁচ বছরের জন্য সহায়তাপ্রাপ্তি, এলডিসি ক্লাইমেট ফান্ড, লিগ্যাল সাপোর্ট) সেগুলোরও সুযোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশের জন্যও টেকসই এলডিসি উত্তরণ-কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি মূল করণীয় হতে হবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এমসি-১৩-পরবর্তী আলোচনার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ইস্যুতে নিজস্ব অবস্থান নির্ধারণ, এসব আলোচনার অভিঘাত বিচার-বিশ্লেষণ ও তার প্রেক্ষিতে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
লেখক: সম্মাননীয় ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)