Originally posted in বাংলা ট্রিবিউন on 8 June 2022
ব্যতিক্রমী সময়ে প্রয়োজন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও নীতি সিদ্ধান্ত। আর এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপিত হবে একটি ভিন্নতর প্রেক্ষাপটে এবং একটি ভিন্নতর চাহিদাকে সামনে রেখে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাবাহিক শক্তি ও অর্জনের প্রতিফলন ছিল নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির সঙ্গে উচ্চতর প্রবৃদ্ধির সংযোগ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের প্রাক্কালে কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কোভিডের নেতিবাচক অভিঘাত থেকে উত্তরণের ক্রান্তিকালে ভোক্তা ও উৎপাদক উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতার দুর্বলতা মোকাবিলার দ্বৈত চাপের মধ্যে রয়েছেন, যার প্রভাব পড়েছে জীবনযাত্রার মান ও বিনিয়োগে। মূল্যস্ফীতির মূল অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও উৎপাদনের উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি, যা দেশের অর্থনীতিতে আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি করছে। যেমন, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে (জুলাই-এপ্রিল) আগের অর্থবছরের তুলনীয় সময়ের নিরিখে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের মূল্য গড়ে মেট্রিক টন প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০.২ শতাংশ, কেজিপ্রতি চিনি ৩১.৩ শতাংশ, অপরিশোধিত তেল ব্যারেলপ্রতি ৯১.০ শতাংশ, প্রাকৃতিক গ্যাস ১২৫.৬ শতাংশ এবং তুলার মূল্য কেজিপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৩.৭ শতাংশ।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ও দামের ওপরেও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সর্বসাম্প্রতিকালে যোগ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মানেজড ফ্লোট’ থেকে ‘ফ্রি ফ্লোট’-এ যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারের অবমূল্যায়নের কারণে আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে বাড়তি বোঝা।
কোভিড থেকে ঘুরে দাঁড়াবার এ সময়ে বিশেষ করে নিম্ন ও স্থির আয়ের মানুষ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উপান্তিক মানুষ ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত জনগণও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জনিত কারণে জীবনমানের অবনয়ন স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। মাথাপিছু জাতীয় আয় গড়ে ২৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে শুনে উত্তরোত্তর আয় বৈষম্য, ভোগ বৈষম্য ও সম্পদ বৈষম্যের শিকার এসব মানুষ, যারা এখন আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বিপর্যস্ত, তারা স্বস্তি পাবেন না। তারা আসন্ন বাজেট থেকে প্রত্যাশা করবেন কিছুটা স্বস্তি ও ক্রয়ক্ষমতার সুরক্ষা।
সিপিডি’র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে এক রুমের বাসায় থাকা চার জনের একটি পরিবারের জীবনযাপনের ন্যূনতম মাসিক ব্যয় বর্তমান বাজার মূল্যে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার পাঁচশত টাকার বেশি। এ ধরনের পরিবারের দু’জনও যদি সর্বোচ্চ ন্যূনতম মজুরিতে কাজ করেন তাহলেও সে আয় দিয়ে তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান সম্ভব নয়। সাম্প্রতিককালের পরিচালিত বিভিন্ন জরিপ থেকেও এ বাস্তবতার সমর্থন মেলে।
যারা উদ্যোক্তা ও উৎপাদক তাদের চড়া দামে উৎপাদনের উপকরণ ক্রয় করতে হচ্ছে। তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাদের বিনিয়োগ ও উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, এবং স্থানীয় ও বৈদেশিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতার ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জানুয়ারি-জুন ২০২২-এর আর্থিক নীতি স্টেটমেন্ট– বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্কলিত ব্যক্তি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৪.৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বিগত সময়ে এ হারে কিছুটা বৃদ্ধি সত্ত্বেও তা ১২.৫ শতাংশের বেশি হয়নি।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কোভিডের অভিঘাত ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির প্রকৃত প্রাপ্তির ওপর মূল্যস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব এখন নতুন বাস্তবতা, যা বাজেট ২০২২-২৩-এর প্রণয়ন ও অর্থ বরাদ্দের নিরিখে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে।
একইসঙ্গে, সাম্প্রতিককালে বৈদেশিক ভারসাম্যের অবস্থার উল্লেখযোগ্য অবনতিও নীতি নির্ধারকদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুতগতিতে, রফতানি বৃদ্ধি তার সাথে সমতুল্য হারে বাড়ছে না, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক।
ফলশ্রুতিতে চলমান অর্থবছরের প্রথম এগার মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; বিগত অর্থবছরের এ সময় যা ছিল ১৮.০ বিলিয়ন ডলার; চলতি হিসাবে ঘাটতি এ সময়ে ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার, গত বছর যা ছিল ১.৬ বিলিয়ন ডলার; আর্থিক হিসাবের উদ্বৃত্ত নেমে এসেছে ১.২ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছর ছিল ৯.৬ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে বৈদেশিক লেনদেনের সার্বিক ভারসাম্য বর্তমান অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৩.৭ বিলিয়ন ডলারে, যেখানে গত অর্থবছরের তুলনীয় সময়ে উদ্বৃত্ত ছিল ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। মনে রাখতে হবে, সাম্প্রতিক সময়ের রফতানি আয় বৃদ্ধি মূলত পরিমাণ—বৃদ্ধিনির্ভর, আর আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি প্রধানত মূল্য—বৃদ্ধিনির্ভর। নেতিবাচক বাণিজ্য ভারসাম্য ও বাণিজ্যের এ চরিত্র বাণিজ্য ভারসাম্য কাঠামোর দুর্বলতার দিকেই ইঙ্গিত করে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ গতবছরের শেষের ৪৮.০ বিলিয়ন ডলার থেকে হ্রাস পেয়েছে ৪২.০ বিলিয়ন ডলারে; নয় মাসের আমদানি সক্ষমতার রিজার্ভ এখন পাঁচ মাসের আমদানির সমপরিমাণ। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ডলারের চাহিদা সরবরাহের তারতম্যের কারণে সৃষ্ট অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে টাকার মুদ্রামান প্রায় পাঁচ টাকা অবমূল্যায়িত করার পরও ‘মানেজড্ ফ্লোট’ থেকে ‘ফ্রি ফ্লোট’-এ যেতে হয়েছে। অর্থনীতিতে আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতির চাপ এর ফলে আরও বেড়েছে।
কোভিড থেকে উৎক্রান্তিকালীন এ সময়ে ব্যক্তি খাতে বিশেষ করে এসএমই খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নতুন কর্মসৃজন, এবং মূল্যস্ফীতির চাপের মোকাবিলা– এ ত্রিবিধ চাহিদার নিরিখেই ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণীত হতে হবে।
বাজেটের আকার নিয়ে প্রায়ই ‘বিশাল’ বিশেষণটি ব্যবহার করা হয়। প্রকৃত পক্ষে যে বাজেটের আকার জিডিপির ১৫.০- ১৬.০ শতাংশেরও নিচে তা কোনও বিবেচনায়ই বিশাল নয়। বাংলাদেশে সরকারি ব্যয় জিডিপির অংশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের তুলনায়ও কম, মধ্য-আয়ের দেশে গড়ে-এর আকার জিডিপির ২৫.০ শতাংশের বেশি। এর পেছনে একটা বড় কারণ আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের দুর্বলতা। জিডিপির অংশ হিসেবে রাজস্বের অংশ এখনও আমরা ১০.০ শতাংশ পর্যন্তও নিতে পারিনি, অথচ সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী-পরিকল্পনায় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ২০২০ সাল নাগাদ জিডিপির অংশ হিসাবে এ হার ১৪.০ শতাংশে উন্নীত করার। বাজেটের ঘাটতি জিডিপির ৫.০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হলে বাজেটের আকার তাই ১৫.০ শতাংশের বেশি করা সম্ভব হয় না। এটা একটা ধারাবাহিক কাঠামোগত দুর্বলতা।
বাংলাদেশে কর আয়ের দুই-তৃতীয়াংশই আসে ভ্যাটসহ অপ্রত্যক্ষ করের সূত্রে, আর এক-তৃতীয়াংশ মাত্র আসে প্রত্যক্ষ কর থেকে (যার দুই তৃতীয়াংশ কোম্পানি কর ও এক-তৃতীয়াংশ মাত্র ব্যক্তি আয় কর)। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অন্য অনেক দেশে করের উল্লেখযোগ্য অংশই আসে ব্যক্তি কর থেকে। বাংলাদেশের কর কাঠামো বণ্টনের ন্যায্যতার পরিপন্থী। বিনিয়োগ বান্ধব হতে হলে প্রণোদনা, কর ও বিনিয়োগ পরিবেশে বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে যে, বাজেটের একটি মূল দর্শন হলো আয় ও সম্পদের পুনর্বণ্টন, যা কর- জিডিপি হার না বাড়িয়ে, আয়কর আরও সক্ষমতার সাথে আদায় না করে ও জনকল্যাণমুখী ব্যয় নিশ্চিত করা ব্যতিরেকে অর্জন করা সম্ভব নয়।
২০২২-২৩ অর্থবছরের কর প্রস্তাবে সর্বোচ্চ ব্যক্তি কর যা কোভিডের সময়ে ৩০.০ শতাংশ থেকে ২৫.০ শতাংশে নামানো হয়েছিল তা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়াই যৌক্তিক হবে, অন্যদিকে ঠিক হবে কোম্পানি করের যে যৌক্তিকরণ চলমান রয়েছে তা অব্যাহত রাখা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য উদ্যম উদ্যোগের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ রাখতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ডিজিটাল স্বক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ও মানবসম্পদের উন্নয়নের লক্ষ্যে ও ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল ও ইন্টেলিজেন্স সেলকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখলে তা ব্যয়িত অর্থের বহুগুণে সরকারের রাজস্ব আদায় প্রচেষ্টায় ইতিবাচক অবদান রাখবে।
সরকারের ব্যয়ের দুটি ভাগ—রাজস্ব ব্যয় ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয়। এগুলোর মধ্যে টানাপোড়েনের মধ্যেই ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণীত হবে। রাজস্ব ব্যয়ের চার-পঞ্চমাংশই যায় চলমান বেতন-ভাতা-পেনশন, ভর্তুকি ও ঋণ পরিসেবায়। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে পারলে অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য যেমন আরও বেশি অর্থ সংকুলান করা যাবে অন্যদিকে রাজস্ব বাজেটের উদ্বৃত্ত দিয়ে উন্নয়ন বাজেটেরও অর্থায়ন করা যাবে, ঘাটতি বাজেট হ্রাস করা যাবে, ঋণ, তা দেশীয় বা বৈদেশিক হোক, কম গ্রহণ করতে হবে। বাজেটে বরাদ্দের অগ্রাধিকার সঠিকভাবে নির্ধারণ ও সাশ্রয়ী ও সুশাসনভিত্তিক বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা আগামী অর্থবছরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
উন্নয়ন বাজেটের চলমান ও সমাপ্য প্রকল্পের জন্য অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে হতে হবে সতর্ক, বিশেষত যেগুলিতে নিজস্ব অর্থায়নের অংশই বেশি।
খাতভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ নির্ধারণের সময়ে এবার প্রান্তিক জনগণের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপের মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা হবে অত্যন্ত জরুরি। আর এজন্য বরাদ্দের ভিত্তি ও মাথাপিছু প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে এবং বণ্টনে-বিতরণে, লক্ষ্য-নির্দিষ্টতার ওপর জোর দিতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে খাদ্য ও নগদ সহায়তা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে; বাজেটে তার সম্প্রসারিত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে।
শিক্ষা খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের এখনই সময়। সরকার প্রণীত ২০১৮ সালের ‘প্রস্ফুটিত শিশু’ প্রতিবেদনে শিশুদের জন্য বাজেট বরাদ্দ মোট সরকারি ব্যয়ের ১৫.০ শতাংশ থেকে ক্রমান্বয়ে ২০.০ শতাংশে উন্নীত করার অভীষ্ট রাখা হয়েছিল। এ বাজেটে তার প্রতিফলন অত্যন্ত জরুরি।
ভর্তুকির ব্যবস্থাপনা ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটের নিরীখে একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস ও সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভর্তুকির জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। তবে বর্তমান অবস্থার বিবেচনায় মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে ভর্তুকি সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতার প্রয়োজন হবে। ভোক্তা ও উৎপাদক স্বার্থ বিবেচনায় রেখে ও আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে মূল্যের প্রবণতার নিরিখে এখনই সিদ্ধান্ত না নিয়ে বাজেট বাস্তবায়নের পরবর্তী কোন পর্যায়ে এ মূল্য সমন্বয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে। শুল্ক সমন্বয়, আমদানি পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যায় এবং আমদানি পর্যায় থেকে উৎপাদক পর্যায়ে বাজার ব্যবস্থাপনায় নজরদারি বাড়াতে হবে এবং বাজার কারসাজি ও দুর্নীতির মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত শূন্য-সহিষ্ণুতা নীতির বাস্তবায়নের এখনই প্রকৃষ্ট সময়।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্তের গুরুত্বকে বিবেচনায় রেখে, সম্পদ আহরণে দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং অগ্রাধিকারভিত্তিক সম্পদ বিতরণের ওপর নির্ভর করে, সাশ্রয়ী, সুশাসনভিত্তিক ও দক্ষ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
লেখক: সম্মননীয় ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)