Originally posted in ভোরের কাগজ on 20 December 2022
করোনা মহামারির ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। চলতি অর্থবছরে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, বহির্বিশ্বের বাণিজ্য পরিস্থিতি ও যুদ্ধ অর্থনীতিকে নতুন চাপে ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে এক বছরের জন্য বাজেট প্রণয়নকে যৌক্তিক মনে করেন না বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি এক বছরের বাজেটের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করি না। প্রথাগত বাজেট তৈরির ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে বলে তিনি মত দেন।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, আমি বারবারই এ বিষয়ে বলেছি আসছি, আগামী দুই-তিন বছরের জন্য একটি উত্তরণকালীন ব্যবস্থা বাজেটে থাকতে হবে। এছাড়া অষ্টম পঞ্চবার্ষিকীর পরিকল্পনা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেটার সঙ্গে কীভাবে বাজেটকে যুক্ত করা হবে- এ বিষয়টিও ভাবতে হবে। সাধারণভাবে বাজেটে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর মতো ক্ষমতা থাকছে কিনা সেটাই বড় বিষয়। কারণ, যেহেতু সরকারের আর্থিক সংকট রয়েছে, তাই বাজেট প্রণয়নের আগে এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে রাজস্ব আদায় এবং সরকারি ব্যয়।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নয়, কর্মসংস্থান প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, মানুষের আয় সেভাবে বাড়েনি।