Originally posted in বাংলাদেশ প্রতিদিন on 13 March 2024
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তিন ধরনের কর্মযজ্ঞ চালাতে হয়। এগুলো হলো পূর্ব প্রস্তুতি, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যমান আইন ও সংস্থাগুলোর সক্রিয় নজরদারি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
পূর্ব প্রস্তুতি প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ রমজানের আগেই নিতে হয়। সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে পার্থক্য থাকলে যেগুলো আমদানি করার দরকার সেগুলো আগেই আমদানি করতে হয়। আশা করি সেসব পণ্য যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে। যেগুলো স্টকে রাখার কথা, যেগুলো প্রাইভেট সেক্টরকে আমদানি করতে দেওয়ার কথা, যেগুলো টিসিবির মাধ্যমে বিতরণ হওয়ার কথা, খোলা বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা- এসব তো রমজানের আগেই করতে হয়। আশা করি এগুলো ঠিকঠাকভাবে করা হয়েছে। বাজার ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো পণ্য উৎপাদক ও আমদানি স্তর থেকে ভোক্তা স্তর পর্যন্ত আসতে কোনো ধরনের সমস্যা যেন না হয় সেদিকে সতর্ক নজরদারি রাখতে হবে। এই পর্যায়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নানা ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হয়। অবৈধভাবে গুদামজাত করা হয়। বাজার প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। এগুলো যেন কেউ না করতে পারে সে জন্য নজরদারি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, উৎপাদনের ভ্যালু চেইন যেটি আছে অর্থাৎ সরবরাহ চেইন শৃঙ্খল সেখানে যেন কোনো ধরনের বাধা না আসে সেদিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। আমরা অনেক সময় দেখি উৎপাদন বা আমদানি স্তর থেকে ভোক্তা স্তর পর্যন্ত পণ্য আসতে আসতে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সিন্ডিকেট, গুদামজাতকরণ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে আসে। ফলে কোনো কোনো পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়। তৃতীয়ত, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের যেসব আইন ও সংস্থা রয়েছে সেগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, কম্পিটিশন কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের যে তদারকি, খবরদারি, নজরদারি করার কথা, সেগুলো তারা যেন সঠিকভাবে করে।-নিজস্ব প্রতিবেদক